পুরোপুরি, পারফেক্টলি অঙ্গভঙ্গি করে অভিনয় করে শিখিয়ে, তাকে তার দেশ চায়নায় অথবা ইংল্যান্ডে, আয়ারল্যান্ডে যখন পাঠাবেন, সে কিন্তু কোনদিনই তার প্রয়োজন অনুযায়ী তার মনের দুঃখ‑কষ্ট, বেদনা, তার কতটুকু প্রয়োজন, তার সে পেটের চাহিদা অনুযায়ী অন্যের কাছে কিন্তু সে সতস্ফুর্ত, ফুর্তভাবে পরিপূর্ণ মনের ইমোশন নিয়ে, আবেগ নিয়ে কখনোই সে ভিক্ষা চাইতে পারবে না। সে রোবটের মত কিছু কথা বলবে, তাতে মানুষের মূল না, গলাটাই স্বাভাবিক। সে বলবে, “আমাকে কয়টা ভিক্ষা দেবেন? আমি টিন‑টিন ধইরা কিছু খাই নাই, দয়া কইরা কিছু ভিক্ষা দেন।” এইরকম করে বললে ইংরেজদের মন গলার কথা না। সুতরাং, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, আল্লাহর কাছে আকুল আবেদন, আকুল নিবেদন অবশ্যই আপনাকে মাতৃভাষায় করতে হবে। আর যদি আরবিতে করতে চান, অবশ্যই সেটা বুঝবেন। যখন যেই দোয়াটা করবেন, সেই দোয়াটার সাথে সাথে বাংলার অর্থটা যেন আপনার ব্রেনে ঘুরতে থাকে। এবং যখনই দোয়াটা করছেন, সেই পরিপূর্ণ ইমোশনটা যেন আপনার অন্তরে উপস্থিত থাকে। তাহলেই ওই দোয়াটা, ওই দোয়াটার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আপনার একটা কানেকশন তৈরি হবে, সংযোগ তৈরি হবে। দ্যাটস দা স্পিরিট, এটাই হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূল আধ্যাত্মিকতা—যে আল্লাহর সাথে রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করা, আল্লাহর সাথে আকিমুস সালাত করা। আল্লাহ কখনো আপনার কাছে কোয়ান্টিটি চান না, আল্লাহ কোয়ালিটি চান। আপনি দিনের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ বানিয়েছেন, তারপরে ইশরাক, তারপরে আওয়াবিন, তারপর চাষ, তারপরে হাজত, তারপরে সফরের নামাজ, বৃষ্টির নামাজ, ঋণমুক্তির নামাজ—মানে সারাদিন আর কোনো কাজকর্ম নাই। রোবটের মত, মেশিনের মত শুধু বকবক বকবক করেই যাচ্ছেন। আপনার কোনো ইমোশন নাই, কি চাচ্ছেন, কার কাছে চাচ্ছেন, কেন চাচ্ছেন—কোনো সংযোগই নাই। আল্লাহর সাথে আপনার কোনো রিলেশন বিল্ড আপ হচ্ছে না। আপনি দিনে ১০০ রাকাত পড়তে পারেন, কিন্তু ১% সংযোগ, ১% একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা, পারফেকশন আসে নাই, আসবে না, আসার কথাও না।
কিন্তু আরেক ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে বুঝে, ইউনুস নবীর মত, মুসা নবীর মত, ইব্রাহিম নবীর মত, আইয়ুব নবীর মত, সুলাইমান নবীর মত, দাউদ নবীর মত যদি দুটো লাইন বলে, ওই দুটো লাইনই ওই হাজার‑কোটি রাকাত নামাজের চেয়ে বেশি ইফেক্টিভ। এই জিনিস আল্লাহ শিখিয়েছেন কোরআনের পাতায় পাতায়। আমরা শিখি না, আমরা শাইখুল কোরআন হতে চাই না, আমরা হতে চাই শাইখুল হাদিস। এখন আপনি বলেন তো, এইরকম করুন: মিনতি, আকুল আবেদন, একনিষ্ঠ প্রার্থনা, একনিষ্ঠ ভিক্ষা, একনিষ্ঠ চাওয়া-পাওয়া—এটার কি কোনো প্রকারভেদ হতে পারে? এটার কি কোনো সময় হতে পারে? মুসা নবী কি তখন সেই মাদিয়ান শহরে সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন যে, কখন এশারের সময় হবে, তখন আমি আল্লাহর কাছে চাইবো? ইউনুস নবী কি অপেক্ষা করেছিলেন, “ও এখন তো সকাল সাতটা বাজে, যোহরের সময় হোক, তখন আমি আল্লাহর কাছে চাইবো”? আইয়ুব নবীর কোনো ওয়াক্ত নাই। আপনার যখন প্রয়োজন হবে, তখনই চাইবেন। আপনি যদি পারেন, তো সারাদিন চাইবেন। কে আপনাকে নিষেধ করেছে? আল্লাহ তো বলেছে, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” আপনি মুত্তাকী হন, আপনার প্রত্যেক ডাকে আল্লাহ সাড়া দেবে। কিন্তু মুত্তাকী তো আপনি হতে চান না। আপনি শিয়া হতে চান, আপনি সুন্নি হতে চান, আপনি আহলে হাদিস হতে চান, আপনি জামাতি হতে চান, আপনি আটরশি হতে চান, আপনি ভান্ডারী হতে চান, আপনি দয়াল বাবার মুরিদ হতে চান; কিন্তু আপনি দয়াল আল্লাহর মুরিদ হতে চান না। দ্যাটস দা প্রবলেম! আপনি ডাইরেক্ট আল্লাহর সাথে রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করতে চান না, আপনি ভায়া মিডিয়া খোঁজেন, শিরুকের মধ্যে ঢুকতে চান। আল্লাহ যত আপনাকে বলে যে, “আমি আমার বান্দাদের বলি, আমি তাদের ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে।” কিন্তু আমরা তো তাকে সাত আসমানের উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি। কতদূরে! সেখান থেকে কি আর আমার ডাক সে শুনবে? তারপর হাদিস দিয়ে তাকে আবার নামিয়ে আনি—প্রতি রাত্রে প্রথম আসমান পর্যন্ত টেনে হিচড়ে সেখান থেকে নামিয়ে আনি। কিন্তু সে যে আমার ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে থাকে, কোরআনে যে আল্লাহ বলে দিয়েছেন—আমি ভুলে যাই। এজন্যই তো মাজারে মাজারে, মন্দিরে মন্দিরে, মসজিদে মসজিদে, গির্জায় গির্জায় আল্লাহকে খুঁজি, ভগবানকে খুঁজি, স্রষ্টাকে খুঁজি, মুর্শিদের পায়ের নিচে খুঁজি, দয়াল বাবা, কিবলা, কাবার মারেফতি জ্ঞানের মধ্যে খুঁজি, ফানাফিল্লা হতে চাই, বাকাবিল্লাহ হতে চাই। কোনোদিনই আপনি হতে পারবেন না। কারণ, আল্লাহ ওই মাজারে, মন্দিরে, মসজিদে, গির্জায়—ওখানে আপনি তাকে খুঁজে পাবেন না। আপনার ঘাড়ের রগের চেয়ে কাছে! আপনি ডাকলেই সাড়া দেবে, ডাকলেই শুনবে। সে কিভাবে ডাকবেন? খুব জোরে জোরে ডাকার দরকার নেই, আপনি আস্তে করে ডাকলেও আল্লাহ শোনে।
খুবই আশ্চর্যের বিষয়—সিরাতের গ্রন্থগুলো যদি আপনি পড়েন, আপনি দেখবেন যে, আল্লাহর রাসূল ৬১৪ সাল, নবুয়তের চার বছর পর্যন্ত তিনি দুই ওয়াক্ত নামাজ পড়েছিলেন। ৬১৯ সাল মানে মেরাজ যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দুই ওয়াক্ত নামাজ, তিন ওয়াক্ত পড়েছেন—এভাবে বলা। মিরাজে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নিয়ে আসলেন। এখানেই তো ঝামেলাটা বেঁধেছে। এই মিরাজের হাদিস সত্য প্রমাণ করতে গিয়ে এখন কোরআন তো তন্নতন্ন করে খুঁজেও কেউ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মিলাইতে নামাজ মিলাইতে পারতেছে না। এই হেরে গেল কোরআন, জিতে গেল হাদিস! হাদিসে আছে পাঁচ ওয়াক্ত, তোমাদের কোরআন তো অপূর্ণ! কোরআনে তো সব পাবা না? যদি পাও, তাহলে নামাজ বের করে দেখাও। একেবারে কানা দাজ্জালের মত করে দিছে। কানা দাজ্জাল যেমন বিপদে ফেলায়, দিছে কানা দাজ্জাল যে আসতে পারতেছে না। এই হাদিসের কারণে নয়তো কবে চলে আসতো। এক হাদিসে বলা হয়েছে, তার ডান চোখ কানা; আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, বাঁ চোখ কানা। এখন তো আল্লাহ তার কোন চোখ কানা করবে? হাদিস তো সত্য প্রমাণ করতে হবে। হাদিস সত্য প্রমাণ করতে গেলে তো তার চোখ দুটাই কানা করতে হয়। এখন হাদিসের সত্য প্রমাণ করা যাইতেছে না। আর দাজ্জাল বলতেছে, “দুইটা চোখ কানা করলে আমি চোখে দেখব কিভাবে? এটা কেমন কথা হলো! আমার দুই চোখ কানা করে দিবেন, এখন হাদিস সত্য প্রমাণ করতে যেয়ে এখন দাজ্জালকে আল্লাহ পাঠাইতে পারতেছে না”—এমন একটা সিচুয়েশন দাঁড় করায় ফেলানো হয়েছে।
যেইখানে আল্লাহ বলছেন, “আল্লাহ তার বান্দা প্রতি কখনো সাধ্যের বেশি বোঝা চাপিয়ে দেন না। আল্লাহ কখনো তার বান্দার প্রতি জুলুম করেন না।” আল্লাহর কথার কোনো রদবদল নাই, আল্লাহর সুন্নতের কোনো পরিবর্তন নাই। সেইখানে আল্লাহকে জুলুমকারী বানানো হচ্ছে। আল্লাহকে প্রতি ২৮ মিনিট পরপর এক নামাজ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ দিয়েছেন, নবী সেটা বুঝেন পেন নিয়েও আসছেন, মুসা নবীর পর পরামর্শে তিনি আবার রিটার্ন ব্যাক করেছিলেন। যদিও প্রশ্ন হচ্ছে যে, আল্লাহর রাসূল যখন ৫০ ওয়াক্ত নামাজ খুশি মনে মেনে নিয়ে চলে আসছেন, সেই সময় তো ঘড়ি ছিল না। তাহলে আল্লাহর রাসূল টাইম ডিভাইশনটা কিভাবে করছিলেন? মানে, আল্লাহ কি ওই টাইম ওইভাবে বলে দিছেন? মানে, ঘড়ি কি সাথে সাথে রেডিমেড দিয়ে দিয়েছিলেন, নাকি দেননি? মানুষের কোনো নাওয়া-খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম, হাগা-মোতা সব বন্ধ করে দিয়ে প্রতি ২৮ মিনিট পরপর আল্লাহ নামাজ দিয়েছেন। মানুষকে এইভাবে আল্লাহকে বান্দার প্রতি জুলুমকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে হাদিসের মাধ্যমে। আর মুসা নবীকে আল্লাহর রাসূলের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি বুদ্ধি, ইন্টেলিজেন্ট এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এবং এ হাদিসের মধ্যেই বলা আছে যে, আগের সব নবীরা দুই ওয়াক্ত করে নামাজ পড়তেন—মুসা নবী, ঈসা নবী, ইব্রাহিম নবী। আল্লাহর রাসূলও ৬১৪ সাল পর্যন্ত দুই ওয়াক্ত নামাজে পড়েছিলেন। মিরাজে গিয়েই পাঁচ ওয়াক্ত হয়ে গেল।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে: আল্লাহ মিরাজ থেকে আমি ধরে নিলাম এই হাদিস সত্য—আমি ধরে নিলাম, তর্কের খাতিরে—এই হাদিসে সত্য পাঁচ ওয়াক্ত দিয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি কি? ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা। তাহলে হোয়াট ইজ চাষত নামাজ? হোয়াট ইজ আওয়াবিন নামাজ? হোয়াট ইজ ইশরাক নামাজ? এগুলো কোন মিরাজে যাইয়া আবার আনছিল? এই নামাজের নামগুলো কিভাবে দেয়া হলো? শুধু তাই না, আরো যে নিদারুণ দুঃখজনক ঘটনাগুলো আছে—এই নামাজের ডিভিশনের মানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ১৫-২০ ওয়াক্ত যে কিভাবে নিয়ে গেছে। মানে, সেই পারলে এরা সে ৫০ ওয়াক্ত বানাতো! এই মাযহাব বাহিনী মানে মুসলিম বিশ্বকে পুরো অকর্মণ্য বানানোর মানে। ইহুদি-খ্রিস্টানরা এইভাবে হাদিস ব্রেন দিয়ে ঢুকাইছে এদের মধ্যে যে, এরা যেন দিন‑রাত ২৪ ঘন্টা শুধু এই উঠক‑ব্যঠকের মধ্যেই থাকে—একেবারে অলস, অকর্মণ্য ঢেকি হয়ে বসে থাকে। এবং এখনো আপনি দেখবেন যে, আরবের ম্যাক্সিমাম আরবে, আরবিয়ানরা হচ্ছে ভাদাইম্মা টাইপের অলস, বেকার। ওরা কাজ‑কর্ম সেইভাবে পরিশ্রমী কোনো জাতি না। এবং আমার এখনো মনে আছে ছোটবেলায়, আমার স্যার বলতো, “খায়ের স্যার, যারা জানোস, এই আরবিয়ানরা কবে?” সেইদিনও মনে আছে, ছোটবেলা আমাদের বাড়িতে আরবের লোকজন আসতো ভিক্ষা চাইতে, মুসাফির হিসেবে আসতো। তা আমার বাবা বলতো, “আরে দে দে দে, আমার নবীর দেশের লোক, দে কিছু দিয়া দে!” এই তেল আবিষ্কার না হইলে এরা মনে হয় এখনো ভিক্ষা করতো। এদেরকে এইভাবে অকর্মণ্য বানানো হয়েছে। এই দিনের মধ্যে ১৫-২০-৩০ ওয়াক্ত নামাজ দিয়ে।
অথচ সূরা মুজাম্মিল পড়ে দেখুন: আল্লাহ আল্লাহর রাসূলকে বলছেন, “আপনি রাত্রে উঠুন, দিনে থাকে আপনার কর্মব্যস্ততা।” মানে, ইসলাম হচ্ছে মানুষকে পরিশ্রমী বানাবে। বলেছেন, “যে জাতির নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করে না।” সূরা নাজমে আল্লাহ বলেছেন, “মানুষ তাই পায়, যা সে চেষ্টা করে।” আল্লাহ পাকের সিস্টেমগুলো কত চমৎকার, কত প্র্যাকটিক্যাল, কত বাস্তবিক, কত রিয়ালিস্টিক! সেইখানে ইসলামটাকে একটা অকর্মা-ধর্ম, সবাইকে একটা ভাদাইমা বানানোর একটা মিশনে নামছে। এই ইহুদি-খ্রিস্টানদের মাধ্যমে হাদিসগুলো ঢুকিয়ে মানুষকে এইভাবে কি যে পড়ছে! দিনের মধ্যে সে ১০০ রাকাত! ইমাম আবু হানিফা প্রতি রাত্রে ১০০ রাকাত নামাজ পড়তেন, এশারের নামাজের ওযু দিয়ে ফজরের নামাজ পড়তেন। বিশাল আল্লাহর ওলি হয়ে গেছেন! তো আল্লাহ কি কোয়ান্টিটি চায় না, কোয়ালিটি চায়? আপনি ১০০ রাকাত নামাজ পড়লেন, কি বলতেছেন নিজেও জানেন না। কিছু আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে হাজির‑নাজির মাইনা, আল্লাহকে বলতেছেন যে, “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাউসার দিয়েছি, তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে কুরবানি করো, নামাজ পড়ো।” আল্লাহকে আপনি অর্ডার দিতেছেন—“বলো, আল্লাহ এক; বলো, আল্লাহ অমুখ্যাপেক্ষী।” আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে হাজির‑নাজির জেনে আল্লাহকে এইভাবে আল্লাহর সাথে বেয়াদবি করতেছেন, ফাতরামি করতেছেন। আল্লাহকে এইভাবে শিখাইছে! নবীদের এত নবীদের ঘটনা, এত নবীদের হিস্টরি—আল্লাহ কেন কোরআনে বলছেন, তারা কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইছে? এগুলো, এই কৌশলগুলো আল্লাহ কেন শিখিয়েছেন? এমনি শুধু আরবিতে পড়ে পড়বেন? শুধু প্রতি রমজান মাসে এক খতম, দুই খতম, তিন খতম দিবেন? পড়বেন, কিছুই বুঝবেন না? এইজন্য আল্লাহ পাঠাইছে এগুলা? এই কোরআন? এইজন্য আল্লাহ বলছে, কোরআনকে বলছে যে, “মানুষের মনের চিকিৎসা এই কোরআনের। এই কোরআন তোমাদের জন্য হেদায়েত, তোমাদের জন্য রহমত।” এইভাবে হবে রহমত? আপনার বাস্তব জীবনের যেকোনো কোন কোন সিচুয়েশনে কি কাজ করবেন, কোন নবী কোন সিচুয়েশনে কিভাবে কি করছিল—সে শিক্ষা যদি আপনি নিতে না পারেন, তাহলে এই কোরআন পাঠানোর দরকারটা কি? কি লাভ হইলো? কিভাবে আপনি এর মধ্যে হেদায়েত খুঁজে পাবেন?
আল্লাহ বলেছেন যে, মুত্তাকীরা হচ্ছে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত। কিভাবে আপনি মুত্তাকী হবেন—কোরআনের পাতায় পাতায় বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি জানেনই না কিছু যে, কিভাবে আপনি মুত্তাকী হবেন। কোন সাতটা কাজ করলে আপনার সকল আমল বরবাদ হবে, আপনি জানেনই না। আপনি দিন‑রাত্রের মধ্যে ১০০ রাকাত করে এসে ইমাম আবু হানিফার মত আল্লাহওয়ালা দরবেশের মত করে আপনি নামাজ পড়তেছেন, অথচ আপনার আমল সব বরবাদ হয়ে যাইতেছে। আপনি জানেনই না! কত রকম নামাজ বানিয়েছে—এই পুরো মুসলিম বিশ্বকে অকর্মা ঢেকি বানানোর জন্য: ফরজ নামাজ, সুন্নত নামাজ, ঈদের নামাজ, নফল নামাজ, তারাবির নামাজ, জানাজার নামাজ, শবে বরাতের নামাজ, শবে কদরের নামাজ, গায়েবানা নামাজ, চাষতের নামাজ, আওয়াবিন নামাজ, ইশরাক নামাজ, বৃষ্টির নামাজ, চন্দ্র‑সূর্য গ্রহণের নামাজ, আশুরার নামাজ, নামাজ‑হাজতের নামাজ… আনলিমিটেড প্যাকেজ গ্রামীণ ফোনের!