- কসম রাতের, যখন তা আচ্ছন্ন হয়।
- কসম দিনের, যখন তা ঝলমলে উজ্বল হয়ে ওঠে।
[তাজাল্লা:-ঝলমল-উজ্বল‑জ্যোতিময়-উদ্ভাসিত‑কিরণময়-ভাস্কর‑দীপ্তিময়]
- আর শপথ তাঁর যিনি সৃষ্টি করেছেন নর ও নারী।
- নিশ্চয়ই তোমাদের প্রচেষ্টা-মেহনত‑সাধনা বিভিন্ন প্রকৃতির। [ছা”ইয়া:-চেষ্টা-সাধনা-মেহনত-উদ্যোগ‑প্রচেষ্টা-প্রয়াস- অধ্যবসায়-পরিশ্রম‑স্পৃহা-আগ্রহ- লাগাতার চেষ্টা-সাধন-আরাধনা-আকাঙ্ক্ষা-উদ্দম-অভিলাষ‑আকুলতা]
- সুতরাং যে দান বা উপহার দেবে এবং মুত্তাকী হবে। [মুত্তাকীর বৈশিষ্ট্য 2:177, 50:31,32,33, 3:15,16,17, 3:133–135, 2:3,4,5]
- এবং সুন্দর-উত্তম-কল্যাণকর (কাজকেই) ধ্রুব‑সত্য মনে করবে।
[সাদাক্ব:-সত্য‑যথার্থ‑বাস্তব‑প্রকৃত‑নিখাদ‑অবিকৃত‑সনাতন- ব্রহ্ম‑হক্ব‑শাশ্বত‑নির্ভেজাল‑অমোঘ ‑ধ্রুব‑অক্ষয়-প্রমাণিত‑খাঁটি]
[হুছনা:–সুন্দর-মনোরম-মনোহর-মধুর‑মোহনীয়-অনুপম-উত্তম‑দারুণ‑চমৎকার‑মনোমুগ্ধকর-আকর্ষণীয়-অসাধারণ‑মুগ্ধকর‑চিত্তাকর্ষক-অপরূপ‑সুশ্রী-লাবণ্যময়-প্রীতিকর‑শ্রেষ্ঠ‑উৎকৃষ্ট‑সৌন্দর্য- ‑শোভনীয়-ঝকঝকে-শ্রেয়-কল্যাণকর-মঙ্গলময়-দারুণ‑সেরা-রমণীয়-প্রশংসনীয়]
হিন্দু ধর্মের‑বিখ্যাত শ্লোক যা “উপনিষদে বর্ণিত -“সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্-যার অর্থ-“পরম সত্য就是 মঙ্গলময় ও সুন্দর” “সত্য本身就是 কল্যাণকর ও সৌন্দর্যময়”।“সৎ কাজ (শিবম্) করলে তা সুন্দরম্ ফল দেয়, কারণ এটি সত্যম্-এর পথ।”
- আমি তার (জান্নাতে যাওয়ার) জন্য সহজ-সরল‑হেদায়েতের পথে চলা সহজ করে দেব।
- পক্ষান্তরে যে কঞ্জসি-ছ্যাঁচড়ামি-কৃপণতা করবে, আর বেপরোয়া হবে ।
- আর সুন্দর-মহান‑কল্যাণকর কাজকে প্রত্যাখ্যান করবে।
- আমি তার জন্য কঠিন পথ (স্মাগলিং,দূর্নীতি,ঘুস,সুদ,জুলুম,অন্যায়, অত্যাচার,শোষণ,দাঙ্গা,হাঙ্গামা,হানাহানির পথ) সহজ করে দিব।
- যখন সে ধ্বংস হবে (অর্থাৎ পাপিষ্ঠ হয়ে মরবে) তখন তার (সঞ্চিত) ধন-সম্পদ কোন কাজেই আসবে না।[69:28, 111:2]
- সঠিক হেদায়েতের পথ দেখানো নিঃসন্দেহে আমারই দায়িত্ব।
- আর নিঃসন্দেহে আখেরাত ও দুনিয়ার বাদশাহি-মালিকানা-রাজত্ব আমারই। [93:4]
- সেজন্য আমি তোমাদেরকে দাউ দাউ করে জ্বলন্ত, আগুন সম্পর্কে সাবধান ও সতর্ক করে দিচ্ছি।
- চরম হতভাগ্য‑কপালপোড়া ছাড়া কেউ তাতে প্রবেশ করবে না।
- যে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
- আর তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে।
- যে তার ধন-সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধি-পরিশুদ্ধি-যাকাতের উদ্দেশ্যে। [নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও ধন-সম্পদ কিনে নিয়েছেন। এর মূল্য হিসেবে (আখিরাতে) তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। সুরা তাওবাহ‑আয়াত:-১১১]
- (সে সম্পদ দান করে) তার প্রতি কারো অনুগ্রহের প্রতিদান হিসেবে নয়। [তারা বলে- ‘আমরা তোমাদেরকে খাবার খাওয়াচ্ছি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না, চাই না কোন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও ধন্যবাদ। সুরা আল ইনসান আয়াত‑৯]
- একমাত্র তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়।
(Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)