- আমি শপথ করছি কিয়ামাত দিবসের। [৩:৭৭,১৬১,১৮৫; ৫:৩৬; ৬:১২,৬০; ৭:৩২,১৭২,১৮৭; ১৭:১৩,৬২,৯৭; ১৮:১০৫; ১৯:৯৫; ২০:১২৪; ২১:৪৭; ২৮:৪১; ৬০:৩; ৪৬:৫; ৪৫:২৬; ৩৯:৩১,৪৭,৬০,৬৭; ৭৯:৪২-৪৪; ৩৩:৬৩ ]
- আমি আরও শপথ করছি সেই নফসে লাউয়ামার যে নিজেকে ধিক্কার/তিরস্কার/ভর্ৎসনা/নিন্দা/গালমন্দ করে। [নফসে আম্মারা ছুউয়া — নফস মন্দ বা খারাপ কাজের দিকে নির্দেশ দেয় 12:53]
- মানুষ কি মনে করে যে, (তার মরার পর) আমি তার হাড়গুলোকে একত্রিত করতে পারব না। [36:78, 37:16]
- কেন নয়? আমি তো তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
- তবুও মানুষ তার সামনের (ভবিষ্যৎ) জীবনেও পাপ করতে চায়।
- সে প্রশ্ন করে, “কেয়ামতের দিন কবে (আসবে)?”
- যখন চোখ ধাঁধিয়ে হতচকিত স্থির হয়ে যাবে,
- এবং চাঁদ ধ্বসে যাবে।
- আর চাঁদ ও সূর্যকে একত্রিত করা হবে।
- সেদিন মানুষ বলবে- ‘আজ কোথায় পালাবো?’
- না না, কোথাও পালানোর মতো জায়গা নেই।
- সেদিন ঠাঁই হবে (একমাত্র) তোমার রবেরই কাছে।
- সে দিন সকল মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে সে কী আগে পাঠিয়েছে আর কী পেছনে ফেলে রেখে গিয়েছে।
- বরং মানুষ নিজেই তার সবকিছু দেখতে পাবে।
- যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করতে চাইবে।
- তুমি জিভ বেশি নাড়াবে না, যাতে তুমি তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। [ওহীর মাধ্যমে যখন কুরআন নাযিল হয়, তখন তা শেষ হওয়ার আগে কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করো না এবং বল, হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান তুমি বাড়িয়ে দাও”।[20:114] কাফেরগণ বলে, তার প্রতি সমগ্র কুরআন একবারেই নাযিল করা হল না কেন? আমি এরূপ করেছি এর মাধ্যমে তোমার অন্তর মজবুত রাখার জন্য।আর আমরা একে সাজিয়েছি সাজানোর মতো।[ ২৫:৩২] অথবা এর উপরে বাড়িয়ে নাও, আর কুরআন আবৃত্তি করো ধীরস্থিরভাবে শান্ত‑সুন্দর আবৃত্তিতে। [৭৩:৪]আল্লাহ্র কাছ থেকে একজন রসূল, তিনি পাঠ করছেন পবিত্র পৃষ্ঠাসমূহ/সহিফা [৯৮:২] দয়াময় আল্লাহ্। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষকে।তিনি তাকে শিখিয়েছেন সুস্পষ্ট ভাষা। [৫৫:১‑৪] নিঃসন্দেহে আমরা তোমার উপর কুরআন নাযিল করেছি অল্প‑অল্প করে।সুতরাং তুমি ধৈর্য ধ’রে, তোমার রবের নির্দেশের অপেক্ষা কর আর তাদের মধ্যেকার কোন পাপিষ্ঠ অথবা কাফিরের আনুগত্য করো না।এবং সকাল‑সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম জিকির কর।রাতে তার পরম আনুগত্য করো এবং সুদীর্ঘ রাতব্যাপী সর্বোচ্চ চেষ্টা সাধনায় রত হও। [৭৬:২৩-২৫]
- নিশ্চয়ই একে জমা করা/একত্র করা ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমাদেরই।
- সুতরাং যখন আমরা তা পাঠ করি তখন তুমি কুরআনের/পাঠের অনুসরণ করো।
- তারপর তার বয়ান/বর্ণনা/ভাব প্রকাশ/ভাষা/ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমাদেরই। [কুরআন তাফসীর ও ব্যাখ্যাসহ নাজিলকৃত ২৫:৩৩; ১২:১১১; ১৭:১২; ৬:৫৫; ৬:৯৭,৯৮,১১৪,১১৯,১২৬,৭:৩২,৫২,১৭৪; ১০:৫,২৪,৩৭; ১১:১; ১৩:২; ৩০:২৮; ৪১:৩,৪৪]
- সাবধান! প্রকৃতপক্ষে তোমরা নগদ লাভ/ দ্রুত অর্জন‑কেই ভালোবাস।
- আর তোমরা আখেরাতকে পাত্তা দাও না/ উপেক্ষা-অবহেলা কর।
- সেদিন কিছু মুখ হবে হাস্যোজ্জ্বল-উৎফুল্ল।
- তার রবের দিকেই তাকিয়ে থাকবে।
- আর সেদিন অনেক মুখ হবে বিবর্ণ‑বিষন্ন‑মলিন।
- তারা ধারণা করবে যে, তাদের সঙ্গে অভাবগ্রস্থ‑দরিদ্র‑ফকিরের মতো আচরণ করা হবে।
- সাবধান, যখন ( দুশ্চিন্তা,ভয় ও আতংকে) গলা ও কন্ঠ শুকিয়ে আসবে।
- আর বলা হবে, ‘কে তাকে (জাহান্নামের ভয়ানক কঠিন শাস্তি থেকে) বাঁচাবে’?
- এবং মানুষ বুঝে ফেলবে যে, এটাই তার (আপনজন ও জান্নাতিদের থেকে আলাদা হওয়ার) চির বিদায়ের ক্ষণ।
- এবং ( ভয় ও আতংকে তার) (এক) পা (আরেক) পায়ের সাথে জড়িয়ে যাবে,
- সেদিন তোমার রবের কাছেই পা গুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। [ ছাওয়াক- পা ২৭:৪৪; ৭৫:২৯; ৬৮:৪২; ১৯:৮৬; ৩৯:৭১]
- সে সত্য (কুরআনকে) মানেনি, (কুরআনের সাথে) সংযোগ ও করেনি। [পৃথিবীর একমাত্র সত্য কুরআন ১৮:২৯; ৬:১১৪,১১৫]
- বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
- অতঃপর অতি দম্ভভরে (আমোদ‑ফুর্তির সাথে) তার পরিবার‑পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল।
- ধ্বংস তোর জন্য, হ্যাঁ ধ্বংস! [আওলাইয়া- দূর্ভোগ, দুঃসহ যন্ত্রণা,দূর্গতি, দূর্য়োগ, ভোগান্তি, অসহনীয় কষ্ট, দুঃসময়, মহাবিপদ, ধ্বংস]
- আবার শুনে রাখ, ধ্বংস তোর জন্য, হ্যাঁ, ধ্বংস!
- মানুষ কি মনে করে, তাকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে?
- সে কি স্খলিত এক ফোঁটা বিন্দু ছিলনা?
- তারপর সে ‘আলাকা’য় পরিণত হয়। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে সৃষ্টি করেন এবং সুঠাম‑সুবিন্যস্ত করেন।
- এরপর তিনি তা হতে বানান যুগল- নর ও নারী।
- তবুও কি সেই স্রষ্টা মৃতকে আবার জীবিত করার শক্তি-ক্ষমতা রাখেন না? Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)
(Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)
♥️♥️♥️♥️♥️
খুব ভাল ও সহজ অনুবাদ করেছেন„
❤️