- শপথ সেই ফেরেশতাদের, যারা নির্মম কষ্ট দিয়ে (খারাপ লোকদের) প্রাণ টেনে বের করে (জানকবজ করে)
- আর সেই ফেরেশতাদের, যারা কোমলভাবে (ভাল লোকদের) প্রাণের বাঁধন খুলে দেয়;
- শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা ক্ষিপ্র গতিতে সাঁতার কাটে
- তারপর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়।
- এবং সেই ফেরেশতাদের, যারা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে (অথবা কাজ সুসম্পন্ন করে)! [35:1]
- যে দিন প্রকম্পিতকারী (শিঙ্গাধ্বনি সবকিছু) কাঁপিয়ে দেবে।
- তার পরে আরও কম্পন আসবে।
- কত হৃদয় সে দিন ভয়ে ভীত‑সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে,
- চোখগুলো থাকবে ভীত‑বিহবল ।
- তারা বলে, “আমাদেরকে সত্যই কি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে?
- আমরা যখন পচা-গলা হাড় হয়ে যাব (তখনও)?’
- তারা বলে, ‘তাই যদি হয় “তাহলে তো সেটা হবে এক সর্বনাশা প্ৰত্যাবর্তন।
- এটা তো কেবল এক বিকট মহাগর্জন,
- আর তখনি তারা খোলা ময়দানে সমবেত হবে।
- আচ্ছা মূসার হাদিস কি তোমার কাছে এসে পৌঁছেছে? [20:9–98]
- যখন তার রব তাকে পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় ডেকেছিলেন। [18:60–64, 20:12]
- (এবং বলেছিলেন) “ফেরাউনের কাছে যাও, সে তো (অপরাধের) সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
- তাকে জিজ্ঞেস কর, তোমার কি নিষ্পাপ–নির্মল‑খাঁটি-পরিশুদ্ধ হওয়ার ইচ্ছে আছে?
- আমি কি তোমাকে তোমার রবের দিকে হেদায়েতের‑পথ দেখাব, যাতে তুমি (তাঁকে) ভয় করো?”
- তারপর মুসা তাকে মহানিদর্শন (মোজেযা) দেখালো। [20:23]
- কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অবাধ্য হল।
- তারপর সে (আল্লাহর বিরুদ্ধে) জোর প্রচেষ্টা চালানোর জন্য (সত্যের) উল্টোপথে ফিরে গেল।
- তারপর জনসমাবেশ করে ঘোষণা করল:
- বলল, “আমিই তোমাদের সবচেয়ে বড় (রব) পরিচালক।
- তাই আল্লাহ তাকে আখিরাত ও দুনিয়ার কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন।
- যে (আল্লাহকে) ভয় করে তার জন্য অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।
- (হে মানুষ!) তোমাদেরকে সৃষ্টি করা বেশি কঠিন না আসমানকে, আল্লাহ তা নির্মাণ করেছেন। [17:70, 37:11, 40:57, 79:27–33]
- তিনি তার উচ্চতা উত্তোলন করেছেন, তারপর তা সুবিন্যস্ত করেছেন।
- আর তিনি এর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং এর দিবালোক প্রকাশ করেছেন।
- এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন। [21:30, 41:11]
- তিনি তার ভিতর থেকে বের করেছেন তার পানি ও তার তৃণভূমি।
- আর পাহাড়-পর্বত — তিনি তাদের মজবুতভাবে বসিয়ে দিয়েছেন, –
- এসব তোমাদের জন্য এবং তোমাদের জীব‑জন্তুদের ভোগের জন্য।
- অতঃপর যখন মহাসংকট-মহা বিপর্যয় এসে যাবে।
- সেদিন মানুষ স্মরণ করবে যা কিছু করার জন্য সে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। [53:39, 56:63–73]
- আর জাহান্নামকে সেদিন দর্শকদের সামনে প্রকাশ করা হবে। [29:54, 39:48, 82:16]
- তখন (দুনিয়ায়) যে সীমালঙ্ঘন করেছিল,
- আর দুনিয়ার জীবনকে (আখিরাতের উপর) প্রাধান্য দিয়েছিল
- নিঃসন্দেহে তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম।
- আর যে তার রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করবে এবং (অপকর্মের) কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে ফিরিয়ে রাখবে-
- নিঃসন্দেহে জান্নাতই হবে তার বাসস্থান।
- তারা তোমার কাছে বিশেষ সময় (কিয়ামত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, তা কখন ঘটবে ?
- এর বর্ণনার সাথে তোমার কি সম্পর্ক? (অর্থাৎ এ সম্পর্কে কিছু বলার মত কোন জ্ঞান তো তোমার নেই।) [7:187, 33:63, 42:17]
- এর প্রকৃত জ্ঞান তো তোমার রবের কাছেই। [53:42]
- এই (কেয়ামতকে) যে ভয় করে, তোমার কাজ তো কেবল শুধু তাকে সতর্ক করা।
- যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (দুনিয়ায়) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশী অবস্থান করেনি। Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ) (Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)