(19) জান্নাতে যেতে ২৩ টি আমল/হাক্কুল্লাহ (জান্নাতের পথে কুরআন থেকে ‑১/৪)
আমাদের আজকের খুতবার বিষয়ে পবিত্র কোরআনের আলোকে মহান আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ যা মেনে চললেই একটা মানুষের নেককার এবং সৎকর্মশীল হওয়া যথেষ্ট। শুধু কোরআন থেকে কেন আলোচনা করা হচ্ছে? কারণ হাদিসে অনেক আমল আছে কিন্তু তার কোন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি নেই। আপনি একটা হাদিস শুনলেন যে অমুক দোয়া পড়লে 80 বছরের গুনাহ মাফ কিন্তু হাশরের মাঠে গিয়ে দেখলেন হাদিসটা জাল ছিল, জয়ীফ ছিল তখন আপনি ধরা খেয়ে গেলেন এরকম অজস্র হাদিস আছে যার আসলে গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দেয়া যায় না। যেহেতু আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর 200 300 বছর পরে এগুলো রচিত হয়েছে এবং তার
মৃত্যুর 600 700 বছর পরে এগুলো বই পুস্তক কিতাব আকারে মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তো নেক আমল নিয়ে সৎকর্ম নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে মিসকনসেপশন আছে। ওয়াজ মাহফিলে হুজুররা আমাদের বলে থাকে যে আল্লাহ কখন কোন আমল কবুল করে নেয় বলা যায় না। ছোট্ট একটা দুটো আমলেই কাজ হয়ে যেতে পারে। কেউ একজন একটা বিড়ালকে বা কুকুরকে পানি খাইয়েছে সেই উসিলায় আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছে, কেউ একজন কোন হুজুরকে বাড়িতে দাওয়াত এনে খাইয়েছে সেই উসিলায় আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছে, কেউ একজন খুব গভীর রাতে দু রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছে সেই উসিলায় আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছে
সে জান্নাতে দাখিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোরআনের কনসেপ্ট এরকম নয়। কোরআনের কনসেপ্ট হচ্ছে যে দুটা একটা কাজের মাধ্যমে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন না। ইটস কোয়া্ইট ইম্পসিবল, অসম্ভব। আপনি কিভাবে যেতে পারবেন? পরিষ্কারভাবে মহান আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন সূরা আরাফ আয়াত আট নয় সূরা মুমিনুন আয়াত 102, ১০৩ যে আপনি জীবনে অনেক পাপ করবেন, অন্যায় করবেন, গুনাহের কাজ করবেন আবার সমান্তরাল ভাবে আপনি অনেক নেক আমল করবেন ভালো কাজ করবেন, এ দুটোকেই হাশরের মাঠে, মিজানের পাল্লায় উঠানো হবে যদি আপনার নেকের পাল্লা ভারী হয় তাহলে আপনি জান্নাতে যাবেন আর যদি আপনার পাপের পাল্লা ভারী হয় তাহলে আপনি জাহান্নামে যাবেন। ধরুন আপনার নেকের পাল্লা হলো 51 কেজি আর পাপের পাল্লা হলো 49 কেজি মানে অর্ধেকের বেশি 100 গ্রাম 200 গ্রাম হলেই আপনার জন্য যথেষ্ট আপনি সাকসেসফুল হাশরের মাঠে। এজন্যই আপনি আপনার সমস্ত নেক আমল এবং পাপ দেখতে পাবেন জিলজাল সূরায় আল্লাহ সেটাও সুন্দর করে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আপনি আপনার নেক আমলগুলো জাররা পরিমাণ বিন্দু পরিমাণ হলেও তা দেখতে পাবেন আর বিন্দু বিন্দু ফোঁটাফোটা অনুপরিমাণ পাপও আপনি সেদিন দেখতে পাবেন। একেবারে সবার সামনে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার, পরিষ্কারভাবে বিচার করা হবে। কারো প্রতি
বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না। আপনি যতটুকু আমল অর্জন করে গিয়েছেন ঠিক ততটুকু প্রতিদান আল্লাহর কাছে আপনি ঠিকই পাবেন। সেইদিন কারো প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না। আপনি অনেক বেশি আমল করেছেন, আরেকজনে কম আমল করেছে কিন্তু সে অমুককে পানি খাইয়েছে বা অমুক পীরের মুরিদ হয়েছে বা অমুক দিনের দু রাকাত নামাজ কবুল হয়েছে, এই দুটা একটা উসিলায় তাকে আল্লাহ মাফ করে জান্নাতে দিয়ে দেবে বিষয়টা মোটেই তা নয়।
তাহলে কিন্তু হাশরের মাঠে আর ইনসাফ থাকে না। তবে হ্যাঁ আল্লাহ ক্ষমা করতে পারে কোনগুলো? যেগুলো হাক্কুল্লাহ ধরুন নামাজ রোজা হজ এগুলো আল্লাহর সাথে রিলেটেড
হাক্কুল্লাহ ইবাদত যেমন = আপনি 70 বছর নামাজ পড়েননি আল্লাহ আপনাকে মাফ করেই দিতে পারে যেহেতু এটা আল্লাহর হক আপনি সারাজীবনে একদিনও রোজা রাখেননি ডাজেন্ট ম্যাটার আল্লাহ মাফ করে দিতে পারে যেহেতু এটা আল্লাহ আল্লাহর হক দুনিয়াতে বসে ঐরকম মাফ পাওয়া যাবে হাক্কুল্লায় ধরুন আপনার বয়স 80 বছর 79 বছর পর্যন্ত আপনি কোনদিন নামাজ কালাম পড়েননি হজ করেননি রোজা রাখেননি মৃত্যুর এক মাস আগে আপনি কেঁদে কেঁদে বললেন আল্লাহ তোমার যা হক নষ্ট করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ম অন্তরের অন্তস্থল থেকে খাস তওবা করলেন, চোখের পানি ছেড়ে দিলেন, আল্লাহ হা সাথে সাথে
মাফ করে দেবে আপনাকে যেহেতু ওটা হাক্কুল্লাহর মধ্যে পড়ে কিন্তু আপনি সারাজীবন ঘুষ খেয়েছেন, মানুষের সম্পদ লুট করেছেন, জুলুম করেছেন, মানুষের জায়গা জমি মেরে খেয়েছেন, খাদ্যে দু নাম্বারি করেছেন- ভেজাল দিয়ে বিক্রি করেছেন, মানুষকে মাপে কম দিয়েছেন, গীবত করেছেন, মিথ্যা বলেছেন, এই যে, যত প্রকারের হাক্কুল ইবাদ- এটা হয়ে দাঁড়াবে সবচেয়ে বড় ইস্যু- এখানে আপনি ক্ষমা পাবেন না। আপনার তার কাছে গিয়ে মানে যার হক আপনি নষ্ট করেছেন সেখান থেকে আপনার ক্ষমা নিয়ে আসতে হবে। এ কারণেই দেখবেন যে হাশরের মাঠের বর্ণনাগুলোতে পাওয়া যায় যে মানুষ পাগলের মত দিক‑বিদিক ছোটাছুটি করবে
হাদিসে এরকমও আছে মানুষ তার নিজের শরীরের গোশত কেটে দিয়ে দিবে- যে ভাই আমার শরীরের গোস্ত কেটে তুমি নিয়ে যাও তবুও তোমার ওই হকটা আমাকে ছেড়ে দাও আমি ওই একটু পাপের জন্য আমি আটকে গেছি। জান্নাতে যেতে পারছি না। এ কারণে আমাদের টার্গেট হবে লাইফে- যে- আমরা পাপ করতেই পারি তবে সেই পাপটা হাক্কুললাহ না হাক্কুল ইবাদ সেটা যেন আমরা সিরিয়াসলি চিন্তা করি। হাক্কুল ইবাদ যেন কখনোই আমাদের দ্বারা নষ্ট না হয় আর কোরআনের পাতায় পাতায় কিন্তু এই হাক্কুল ইবাদের কথাই বলা। হাক্কুললার মধ্যে শুধুমাত্র একটা বিষয় আল্লাহ খুব সিরিয়াস খুব সতর্কতা দিয়েছেন খুব হুশিয়ারি
দেখিয়েছেন সেটা হচ্ছে শিরক করা। হাক্কুল্লাহর মধ্যে শুধু শিরকটা হচ্ছে সবচেয়ে সেন্সিটিভ, শুধু এই শিরকটা থেকে যদি আপনি বেঁচে থাকতে পারেন বাকি যত হাক্কুল্লাহ আছে, ইনশাআল্লাহ আপনি তওবা করলে সাথে সাথে আপনি মাফ পেয়ে যাবেন শুধু শিরকটার ব্যাপারে আপনাকে সবসময় সিরিয়াস এবং সতর্ক থাকতে হবে।
তো আমরা শুরু করি যে- কি কি আদেশ কোরআনের আলোকে আল্লাহ দিয়েছেন। আমরা শুরুতেই বলেছি আমরা শুধু কোরআন থেকে দেখব কারণ হাদিসের গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি নেই কিন্তু কোরআনে যে সমস্ত কমান্ড আল্লাহ দিয়েছেন এগুলো যদি অন্তত আমরা মেনে চলতে পারি আমাদের 100% গ্যারান্টি আছে যে এই আদেশ গুলো মানার মাধ্যমেই আমরা হাশরের মাঠে আমাদের নেকির পাল্লা ভারী হয়ে যাবে- কোন ধরা খাওয়ার চান্স নেই। যে- না অমুক আমলটা করেছি সেটা জাল হাদিসের মধ্যে পড়ে গেছে বা জয়ীফ হাদিসের মধ্যে পড়ে গেছে সেটা সঠিক হাদিস ছিল না এরকম ধরা আপনার খাওয়ার বিন্দু পরিমাণ চান্সও নেই এজন্যই কোরআনের আদেশ নিয়ে আমরা আলোচনা করব যে কোরআনের কোন কোন আদেশ গুলো অনুসরণ করলে আমরা হাশরের মাঠে সফলকাম হতে পারবো। ইনশাআল্লাহ প্রথমে আমরা যাব সূরা আরাফের 26 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন হে বনি আদম আমি তো তোমাদের জন্য পোশাক পরিচ্ছদ অবতীর্ণ করেছি- নাযিল করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্য স্বরূপ আর তাকওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম পোশাক। এগুলো আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।”
কত চমৎকার একটা আয়াত। আমরা জুব্বা পড়বো না পাঞ্জাবি পড়বো, গোলটুপি পড়বো না লম্বা টুপি পড়বো? এসব নিয়ে কত হাদিস কত ফিকহা, কত মাসালা, কিন্তু আল্লাহ কত চমৎকার করে এখানে বলে দিয়েছেন যে সৌন্দর্যের জন্য আর তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য এই পোশাক আমি নাযিল করেছি তবে এই পোশাকের চেয়ে উত্তম পোশাক হচ্ছে তোমাদের তাকওয়ার পোশাক তোমরা আল্লাহকে কতটা ভয় করো আল্লাহ সম্পর্কে কতটা সাবধান সতর্ক থাকো? সেই ইনভিজিবল অদৃশ্য পোশাকটাই হচ্ছে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সূরা হুজরাতেও আমরা এর একটা ইন্ডিকেশন পাই আল্লাহ বলছেন সূরা হুজরাতের 13 নাম্বার আয়াতে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত হচ্ছে যারা মুত্তাকী। কে দামি দামি পোশাক পড়লো কে জুব্বা পড়লো টুপি পড়লো কে সুট পড়লো টাই পড়লো এটা আল্লাহ দেখে না, আল্লাহর কাছে মুত্তাকী হওয়া এটা হচ্ছে সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট এবং এটার ভিত্তিতেই আল্লাহ আমাদের মর্যাদা নির্ধারণ করেন। আমি অনেক দরিদ্র হতে পারি, দেখতে অনেক খারাপ হতে পারি, কিন্তু আমি যদি টপ ক্লাস উচু মাপের মুত্তাকী হতে পারি আল্লাহর চোখে আমি অত্যন্ত রেস্পেক্টফুল আমি সবচেয়ে
সম্মানিত এই পৃথিবীর বুকে। এই চমৎকার একটা মেসেজ আল্লাহ সূরা আরাফের 26 নাম্বার আয়াতে দিয়েছেন এবং একজন খাঁটি মুসলিম মুমিন মুত্তাকী হওয়ার ক্ষেত্রে এই আয়াতটা হতে পারে আমাদের জন্য দারুণ এক পথনির্দেশ।
এবার আমরা দেখি আল্লাহর আদেশ গুলো কয় প্রকার? আল্লাহর এই আদেশ নিষেধ গুলো পবিত্র কোরআনে আছে তিন ক্যাটাগরির তিন প্রকারের। একটা হচ্ছে অব্লিগেটরি একটা ফরবিডেন আরেকটা হচ্ছে রাইটুয়াস ডিডস। একটা ফরজ- বাধ্যতামূলক, একটা হারাম- নিষিদ্ধ, আরেকটা হচ্ছে ন্যায়সংগত কর্ম। এই তিনটার মাধ্যমেই আমরা দুনিয়াতেও সাকসেসফুল হতে পারি, আমরা আখিরাতেও সাকসেসফুল হতে পারি। আমরা প্রথমে
আলোচনা করব যে সমস্ত কাজগুলো আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই হাক্কুল্লাহ সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করব প্রথমে যাব সূরা বাকারা দু নাম্বার সূরার 285 নাম্বার আয়াতে এখানে আল্লাহ আমাদের চারটা জিনিসের প্রতি ঈমান আনতে বলেছেন বিশ্বাস করতে বলেছেন আপনি হাদিসে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে গেলে অনেকগুলো পাবেন ঈমান আকিদা নিয়ে হুজুরদের অনেক ওয়াজ পাবেন দলাদলি মারামারি বহু কিছু পাবেন কিন্তু আমরা শুধু কোরআনে আল্লাহ যে চারটা বিষয়ের কথা বলেছেন এই চারটা বিষয় আমাদের জন্য যথেষ্ট সূরা বাকারা আয়াত 285 আল্লাহ বলছেন আমানা বিল্লাহি প্রথমে কিসের উপরে আমরা ঈমান
(09:10) আনবো আমানা বিল্লাহি আল্লাহর উপরে আমরা ঈমান আনবো বিশ্বাস করবো আল্লাহকে তারপরে মালাইকাতিহি ফেরেশতাদের উপরে তিন নাম্বারে অকুতুবিহি তার কিতাবগুলোর উপরে আল্লাহ যতগুলো কিতাব নাযিল করেছেন তাওরাত ইঞ্জিল জাবর কুরআন এখান থেকে আমরা আরেকটা বিষয় শিখতে পারি যে আল্লাহ যেগুলো নাযিল করেছেন সেগুলো কিন্তু আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন এখন আপনি যদি শিয়াদের উসুলুল কাফির উপরে ঈমান আনেন যে এটাও আল্লাহ নাযিল করেছে নাহাজুল বালাগা সেটাও আল্লাহর পক্ষ থেকে আসছে ওহীয়ে গায়রে মাতলু হিসেবে আল্লাহর কাছ থেকেই আসছে আল্লাহ নাযিলকৃত সুনানে আবু দাউদ সুনানে মাজা আল্লাহর নাযিলকৃত বুখারি শরীফ আল্লাহর নাযিলকৃত আপনি ভুল করবেন। কারণ সেগুলোর উপরে ঈমান আনার কথা আল্লাহ এখানে বলেননি। আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ যে আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন কোরআনে যে চারটার কথা বলা আছে এটলিস্ট সেই চারটার উপরে আপনাকে অবশ্যই ঈমান আনতে হবে। এর বাইরের গুলো আল্লাহ থেকে যে নাযিলকৃত নয় এই আয়াত তারও সাক্ষী দেয় ইনডাইরেক্টলি। চার নাম্বারে এই আয়াতে কিসের উপর ঈমান আনতে বলা হয়েছে? তার রাসূলদের উপরে তাহলে আমরা আল্লাহর প্রতি যে আমাদের অবলিগেশন তার প্রথমটা পেলাম সূরা বাকারার 285 নাম্বার আয়াতে তার মধ্যে চারটা জিনিসের প্রতি আল্লাহ আমাদের ঈমান আনতে বলেছে এক আল্লাহর
প্রতি দুই তার ফেরেশতাদের প্রতি তিন তার নাযিলকৃত কিতাব সমূহের প্রতি এবং চার তার মনোনীত রাসূলদের প্রতি।
এরপর দু নাম্বার পয়েন্টে আমরা যাব সেটা হচ্ছে সূরা বানি ইসরাইল 17 নাম্বার সূরার 23 নাম্বার আয়াতে এখানে আল্লাহ বলছেন আলা তাবুদু ইল্লা ইয়াহু অর্থ তোমরা আল্লাহকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না আল্লাহকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করার আনুগত্য করার কোন সুযোগ আমাদের নেই আপনি যদি ইমাম জাফর বিন সাদিকের আনুগত্য করেন তিনি যা যা বলেছেন তার মাযহাবে ইমাম তাইমিয়া ইমাম বাংলা ভাই ওসামা বিন লাদেন জালালউদ্দিন রুমি ইমাম মালেক ইমাম শাফি ইমাম হানাফী তাদের
আনুগত্য করেন চক্ষু বন্ধ করে আপনি বিরাট ধরা খেতে পারেন?
অন্ধভাবে কাউকেই আপনি আনুগত্য করতে পারবেন না। একমাত্র আনুগত্য করবেন আল্লাহর।এখন প্রশ্ন হচ্ছে এর আগের আয়াতটাতে আমরা দেখলাম যে আল্লাহ যে চারটা জিনিসের প্রতি ঈমান আনতে বলেছে তার প্রথমটাই ছিল আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এখানেও আবার দু নাম্বার পয়েন্টে আমরা দেখলাম যে আল্লাহ বলছেন আল্লাহর প্রতি আনুগত্য থাকা আল্লাহর ইবাদত করা কিন্তু আমরা কি কেউ আল্লাহকে দেখেছি তার প্রতি কিভাবে ঈমান আনবো তার আনুগত্যই বা কিভাবে করব? এর উত্তর হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা আর তার আনুগত্য করার একটাই স্পেসিফিক বিষয় আমাদের সামনে আছে। সেটা হচ্ছে আল্লাহর নাযিলকৃত কুরআন। এই কুরআন নবীর মুখ থেকে এসেছে কিন্তু তার নিজের নয় মানে তার রচিত নয়। এখানে যা যা আছে সবকিছু হচ্ছে আল্লাহর বাণী তাহলে এই কোরআনকে এই সোয়া 6000 আয়াতের উপর ঈমান আনা মানেই হচ্ছে আল্লাহর উপর ঈমান আনা। যদি আমি ঈমান আনি যে এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, এগুলো আল্লাহরই কথা তাহলে আমি আল্লাহর ইবাদতের প্লেসমেন্ট টাও পেয়ে যাই এই কোরআনে যা যা করতে আল্লাহ বলেছেন সেগুলো করাই হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা আর যেগুলো করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন সেগুলো মেনে চলাই আল্লাহরই ইবাদত করা মানে আল্লাহর হুকুম মানাটাও ইবাদত আবার আল্লাহর নিষেধ মানাটাও হচ্ছে তার ইবাদত।
তাহলে আমি এমন কোন কিছু যদি করি যেটার হুকুম আল্লাহ দেননি অথবা এমন কোন কিছু থেকে বিরত হই যেটার হুকুমও নিষেধ আল্লাহ দেননি যেমন আমরা সূরা তাহরিমের এক নাম্বার আয়াতে দেখতে পাই যে আল্লাহর নবী তার জন্য কোন একটা জিনিস হারাম করেছিলেন। সাথে সাথে আল্লাহ কোরআনের আয়াত নাযিল করেছেন যে “হে নবী আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছো?” এই আয়াতটা খুব গভীরভাবে আপনাকে চিন্তা করতে হবে। অবশ্য পুরা কোরআনটা আল্লাহ গভীরভাবে চিন্তা করতে বলেছেন সূরা মোহাম্মদের 24 নাম্বার আয়াতে। গভীরভাবে চিন্তা করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ যা হারাম করেনি সেটা আপনি হারামও করতে পারবেন না। সেই অধিকার নবীকেই আল্লাহ দেয়নি আর তো আপনি? আর আমি কোথাকার কোন সলিমুদ্দিন কলিমুদ্দিন। তাহলে আমরা দু নাম্বার পয়েন্টটা বুঝলাম যে আল্লাহর ইবাদত মানে হচ্ছে আল্লাহ যা যা করতে আদেশ দিয়েছেন সেটা মেনে চলা, একইভাবে যা যা করতে নিষেধ করেছেন সেটা মেনে চলা। আল্লাহর কোন হারামকে হালাল মনে করা যাবে না আবার কোন হালালকে হারামও মনে করা যাবে না। তাহলে নবীকে যেভাবে আল্লাহ সাথে সাথে আয়াত নাযিল করে বলে দিয়েছেন সতর্ক করে দিয়েছেন যে কেন তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তা হারাম করেছো? সেখানে আমাদের কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। পুরো ইবাদত যদি আপনি এখনো বুঝতে না পারেন আপনার জন্য সুরা বাকারার ২১ আয়াতই যথেষ্ট। মুত্তাকী হওয়ার গুণাবলী অর্জনে যা যা করবেন সবই ইবাদত এর অন্তভুক্ত।
এবার আমরা আসি তিন নাম্বার পয়েন্টে- 39 নাম্বার সূরার 11 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন কুল বলো- মানে ‑আল্লাহ তার নবীকে বলতে বলছেন যে কুল বল ইন্নি নিশ্চয়ই আমি আদিষ্ট হয়েছি যে আমি যেন ইবাদত করি আল্লাহর । কিভাবে মুখলিসদের মত একনিষ্ঠ ভাবে। তাহলে আমরা পেয়ে গেলাম যে আল্লাহর ইবাদত। একটু আগে যেখানে বলা হলো দু নাম্বার পয়েন্টে এবার তিন নাম্বার পয়েন্টে আমরা দেখলাম যে আল্লাহর ইবাদতটা কিভাবে করতে হবে? মুখলিসদের মত- একনিষ্ঠভাবে ফুল কনসেন্ট্রেশন দিয়ে। ওটার মধ্যে যেন কোন রিয়া না থাকে, একেবারে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে- গভীরতা থেকে- যেন সেই ইবাদতটা হয়। যেমন আল্লাহর আদেশ পালন করা নিষেধ পালন করা। আমরা একটু আগেই জেনেছি যে ইবাদত সেটা কিভাবে হতে হবে। সেটা অন্তরের অন্তস্থল থেকে একনিষ্ঠভাবে মুখলিসিনদের মত হতে হবে। ধরুন আল্লাহর আদেশ হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ ব্যয় করা সূরা বাকারার 219 নাম্বার আয়াতে। 215 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে কাদের কাদের ব্যয় করবে 177 নাম্বার আয়াতেও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। সূরা বাকারার 177 এবং 215 নাম্বার আয়াতে সূরা তওবার ৬০ নাম্বার আয়াতে যে কাদের কাদেরকে আমরা ব্যয় করব কাদেরকে দান করব সাদকা করব এবং সূরা লাইল এর 18 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন এরকম দান সাদকা ব্যয় করার মাধ্যমেই আমরা আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারব। খাতগুলো কি কি পরিবার আত্মীয়-স্বজন অভাবী প্রতিবেশী মুসাফির ভিক্ষুক এতিম অসহায় এদেরকে আমরা দান করব সাদকা করব এখন যদি আমার উদ্দেশ্য থাকে যে আমি আমার পরিবারকে কে আত্মীয়-স্বজনকে প্রতিবেশীকে দান যে করছি তাদেরকে খাবার দাবার দিচ্ছি টাকা-পয়সা দিচ্ছি পোশাক আশা কিনে দিচ্ছি তারা আমাদেরকে আমাকে ভালো বলবে আমাকে ভালোবাসবে সব জায়গায় আমার সুনাম হবে তাহলে কিন্তু এখানে আমার এই মুখলিসিন এই
(15:44) একনিষ্ঠতা কিন্তু থাকে না আমার 100% কনসেন্ট্রেশন থাকতে হবে যে আমি যাই করছি একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে খুশি করার জন্য এইভাবে যদি আমি করি সেটা কিন্তু ইবাদত হিসেবে কাউন্ট হবে আর যখনই আমি এই মুখলিসিন বা এই একনিষ্ঠতা থেকে সরে আসবো সরে এসে ইবাদতগুলা করব মানে আল্লাহর আদেশ নিষেধই পালন করব যে আমি আল্লাহর নিষেধ কিছু পালন করছি কেন যে সমাজ আমাকে খারাপ বলবে খারাপ চোখে দেখবে যে আল্লাহ যা যা নিষেধ করেছেন যে চুরি করো না ডাকাতি করো না ঘুষ খেও না সুদ খেও না গীবত করো না মিথ্যে বলো না তো আমি ঘুষ খেলে মানুষ খারাপ বলবে সুদ খেলে মানুষ খারাপ বলবে
(16:20) চুরি করলে মানুষ খারাপ বলবে এই নিষেধগুলো আমি পালন করতেছি মানুষের ভয়ে তাহলে কিন্তু এগুলো ইবাদত হিসেবে কাউন্ট হবে না যখন আমি এগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমি এগুলো করবো এই নিষেধগুলো থেকে বিরত থাকবো এবং আদেশগুলো সেইভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করব তখনই আমার এগুলো আল্লাহর ইবাদত হিসেবে কাউন্ট হবে এবার আমরা আসি চার নাম্বার পয়েন্টে সূরা তওবা আয়াত 20 আল্লাহ বলছেন যারা ঈমান এনেছে হিজরত করেছে আর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে আল্লাহর কাছে তারা বড়ই মর্যাদাবান আর তারাই সফলকাম জিহাদ নিয়ে আলাদা ভিডিও আছে জিহাদ এবং কিতাল
(17:03) কিন্তু আলাদা জিনিস জিহাদ হচ্ছে নিরস্ত্র লড়াই আর কিতাল হচ্ছে সশস্ত্র যুদ্ধ নিজেদের জীবন যে সূরা আনামে 162 আয়াতে আল্লাহ বলেছেন না যে নিশ্চয়ই আমার সালাত আমার কুরবানি আমার জীবন আমার মরণ সবকিছু বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য তো আমাদের জীবন তো আল্লাহরই জন্য আমাদের সম্পদ তাও আল্লাহরই জন্য এই জীবন আর এই সম্পদ দিয়ে যখন আমি আল্লাহর পথে লড়াই করব আল্লাহর আদেশ‑নিষেধ গুলো সমাজে প্রচার করার জন্য জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা সাধনা করব তখনই কিন্তু আমরা আল্লাহর কাছে বড়ই মর্যাদাবান হব সফল কাম হব এবং আমরা সূরা ফুরকানের 52 নাম্বার আয়াতে জানি যে
(17:40) সবচেয়ে বড় জিহাদ জিহাদে আকবার হচ্ছে কোরআন প্রচার করা তাহলে চার নাম্বার পয়েন্টে আমরা কি পেলাম আমরা পেলাম জিহাদ নিজেদের নিজেদের জীবন আর সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করব আমরা সংগ্রাম করব সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং সাধনা করব এরপরে নাম্বার পয়েন্ট সেটা কি সেটা হচ্ছে 64 নাম্বার সূরা তাগাবুনের 16 নাম্বার আয়াত আল্লাহ বলছেন তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো তোমাদের সাধ্যমত ভয় করো আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন যে আলেম কারা যারা আল্লাহকে ভয় করে তারাই হচ্ছে আল্লাহর চোখে আলেম ওই দাওরা হাদিস পাশ কওমি পাশ আলিয়া পাশ এটা কিন্তু আল্লাহর চোখে আলেম না মানে কোরআনের সংজ্ঞা
(18:24) অনুযায়ী আলেম না আলেমরাই আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে এইখানে এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন কি তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী যতটুকু সাধ্য তোমার আছে সেই সাধ্য অনুযায়ী যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো তারপরেই বলছেন তোমরা শোনো শ্রবণ করো কি শুনবো অবশ্যই আল্লাহর বাণী কারণ আল্লাহর কথা তো আর ডাইরেক্টলি আমরা শুনতে পাবো না আল্লাহর এই কোরআনের বাণী শুনবো আমরা এটা হচ্ছে এই আয়াতের দ্বিতীয় অর্ডার তারপরেই বলছেন যে তোমরা তার আনুগত্য করো আনুগত্য কিভাবে করব ওই যে বাণী শুনবো ওই বাণীতে যা যা করতে বলেছেন আল্লাহ সেগুলো করাই হচ্ছে তার আনুগত্য করা শেষ বলেছেন এবং তার পথে
(19:02) ব্যয় করো ওই যে ঘুরে ফিরে সেটাই আসছে সেই হাক্কুল ইবাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম কাজই হচ্ছে এই সূরা বাকারার 219 নাম্বার আয়াতের মত করে বলতে হয় যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ যত বেশি আমি ব্যয় করব দান করব সদকা করব তত বেশি আমি আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারব সূরা লাইল আয়াত 18 এবং সূরা শামস সূরা ফজরের শেষ চারটা আয়াতেও একই কথা যে আমরা যত এই দান সদকার মাধ্যমেই আমরা পারি হাক্কুল কে পালন করতে যত বেশি দান সদকা আমরা করব তত বেশি আত্মশুদ্ধি আমাদের হবে তো এই চারটা কাজই আল্লাহ এখানে বলে দিয়েছেন একসাথে আল্লাহকে আমরা সাধ্যমত ভয় করব আল্লাহর কোরআনের বাণীগুলো
(19:43) শুনবো এবং সে অনুযায়ী আল্লাহর আনুগত্য করব এবং সর্বশেষ সাধ্যমত কি করব আমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করব কোন কোন খাতে সেটা তো আমরা জানি সূরা বাকারা 215 সূরা বাকারা 177 সূরা তওবা 60 ছয় নাম্বার কাজ 33 নাম্বার সূরা আহযাবের 41 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন উসকুরুল্লাহা জিকরান কাসিরা তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো কাসির অধিক পরিমাণ বেশি বেশি স্মরণ করো আমরা বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করব সকালে দুপুরে বিকেলে বিপদে আপদে সুখে আনন্দে সবসময় যত বেশি পারি আমরা আল্লাহকে স্মরণ করব কারণ আল্লাহ কোরআনেই বলেছেন আমরা যত বেশি আল্লাহকে স্মরণ করব
(20:32) ততই আমাদের কলব আমাদের মন প্রশান্ত হবে ততই আমরা তৃপ্তি পাবো আমাদের হৃদয়টা তৃপ্ত হবে তখনই যখনই আমরা আল্লাহর স্মরণ করব আবার এই স্মরণ মানে সেই পীরবাদী গোষ্ঠীর মত লাফিয়ে লাফিয়ে দাপিয়ে দাপিয়ে ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ এরকম বলা নয় কিন্তু সূরা তহার 14 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে আমার স্মরণে আমার জিকিরে সালাত কায়েম করো কিন্তু ওখানে কি করা হয় নামাজ আলাদা পড়ে নামাজ পড়ার পরে গিয়ে আলাদা জিকির করে কিন্তু আল্লাহ সূরা তহার 14 নাম্বার আয়াতে মুসা নবীকে কি শিখিয়েছেন আল্লাহর জিকিরে সালাত করতে বলেছেন তার মানে এই সালাতের মধ্যেই কিন্তু
(21:12) আল্লাহর জিকির আছে কিন্তু আমরা সালাতটাকে বানিয়েছি আলাদা জিকিরটাকে বানিয়েছি আলাদা আবার সূরা আরাফের 155 203 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন এই স্মরণটা কিভাবে হবে যদি আপনি আলাদাভাবেই সেটাকে রিচুয়ালিস্টিক ভাবে করতে চান তার কিন্তু প্রসেস আলাদা আপনাকে বিনম্র স্বরে ভয়ভীতি সহকারে ভীত অবস্থায় মনে মনে সশস্ত্র চিত্তে আল্লাহর স্মরণ আল্লাহর জিকির করতে হবে মনে মনে সশ্রদ্ধ চিত্তে একাকি সকাল সন্ধ্যায় অনুনয় বিনয়সহ অনুচ্চস্বরে ভীতিসহকারে আল্লাহকে ডাকতে বলেছেন আল্লাহ সূরা আরাফের 205 নাম্বার আয়াতে তোমার রবকে মনে মনে বিনয়ের সাথে
(22:00) ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল সন্ধ্যায় স্মরণ করো এইভাবে না করে যদি আপনি সেই চিশতিয়া সাবেরিয়া মুজাদ্দেদিয়া তরিকা অনুসরণ করে ওই অলি আউলিয়া গাউস কুতুবের তরিকা অনুসরণ করে আল্লাহর স্ট্রেইট হুকুম সূরা আরাফের 205 নাম্বার আয়াত ভায়োলেট করে লাফিয়ে লাফিয়ে দাপিয়ে দাপিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে জিকির করতে যান আপনি উল্টো আল্লাহ তার এই ডাইরেক্ট অর্ডার ভায়োলেট করার অপরাধে পাপী হয়ে যাবেন তাহলে ফরমালি কিভাবে জিকির করবেন সেটা আল্লাহ বলে দিচ্ছেন সূরা আরাফের 205 নাম্বার আয়াতে আর ইনফরমালি 33 নাম্বার সূরা আহযাবের 41 নাম্বার আয়াতে বলেছেন যে
(22:46) বেশি বেশি সময় আপনিই আল্লাহর জিকির করবেন আল্লাহর স্মরণ করবেন সকালে দুপুরে বিকেলে যখনই আপনি সুযোগ পান সবসময় যেন আল্লাহর স্মরণ আপনার মধ্যে থাকে এরপরে আমরা সাত নাম্বার পয়েন্টটা আলোচনা করব 50 নাম্বার সূরা কাফেরের 39 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন অতএব তারা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ করো এবং তোমার রবের প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আল্লাহর প্রশংসা আল্লাহর মহিমা আমি কিভাবে ঘোষণা করতে পারি আমি সুবহানাল্লাহ বলতে পারি আমি আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারি আল্লাহ চমৎকার চমৎকার কিছু নাম তার কোরআনে দিয়ে
(23:27) দিয়েছেন আমি সেগুলো বলতে পারি এইভাবে আমরা আমরা আল্লাহর প্রশংসা করব তার পবিত্রতা ঘোষণা করব কখন সূর্যোদয় সূর্যাস্তের পূর্বে স্পেসিফিক টাইম আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন তার মানে বিষয়টা ফরমাল হয়ে দাঁড়ালো 30 নাম্বার সূরা রুমের 17 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন সুতরাং তোমরা আল্লাহর তাসবিহ করো তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো কখন সন্ধ্যায় ও সকালে 40 নাম্বার সূরার 55 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ করো নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য আর তুমি তোমার ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো আর সকাল সন্ধ্যা তোমার রবের পবিত্রতা
(24:13) ও মহিমা ঘোষণা করো এখানেও আমরা দেখলাম যে সেই সকাল এবং সন্ধ্যার কথা বলা হচ্ছে যে এই সকালে ও সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করতে হবে 20 নাম্বার সূরা ত্বহার 130 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন সুতরাং তারা যা বলে সে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধারণ করো এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার রবের সব প্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাসবিহ পাঠ করো রাতের কিছু অংশে দিনের প্রান্তসমূহে যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পারো 52 নাম্বার সূরা 48 52 নাম্বার সূরা 49 20 নাম্বার সূরা 130 তাহলে আমরা অনেকগুলো আয়াত পেলাম যেখানে সকাল এবং সন্ধ্যায় বিশেষ করে জোর দেয়া
(24:58) হয়েছে যেখানে আমরা আল্লাহর তাসবি পাঠ করবো তার প্রশংসা ও তার মহিমা ঘোষণা করব এরপরে আমরা আট নাম্বার পয়েন্টে যাব সেটা হচ্ছে 64 নাম্বার সূরা তাগাবুনের 13 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ হুয়া ওয়ালা আট নাম্বার পয়েন্ট 64 নাম্বার সূরা তাগাবুনের 13 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ হুয়ালাহিতা মুমিনুন আল্লাহ তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহর উপরেইতাকালি লিল মুমিনুন মুমিনরা আল্লাহর উপরেই তাওয়াক্কুল করে ভরসা করে নির্ভর করে তাহলে আট নাম্বারে আরেকটা পয়েন্ট আমরা পেলাম সেটা হচ্ছে যে আল্লাহর উপর
(25:50) আমাদের ভরসা করতে হবে আমরা পড়াশোনা করি খুব ভালো চাকরির জন্য কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করি ভালো ইনকামের জন্য রাজনীতি করি কৃষি কাজ করি কত জোনে কত ধরনের কাজ করি বিয়ে শাদী থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা অনেক ধরনের কাজই করি কিন্তু আল্টিমেট ফলাফলের জন্য আমাদের অবশ্যই নির্ভর করতে হবে আল্লাহর উপরে যে আমাকে কোন এমপি মন্ত্রী বা টাকা-পয়সা আমাকে চাকরি-বাকরি দিতে পারবে না আমার ব্যবসা-বাণিজ্য কৃষি কাজ বা অন্য যেকোনো পেশায় সফলতা নির্ভর করতে পারে একমাত্র আল্লাহর দয়া আল্লাহর রহমত আমি হয়তো অনেক পরিশ্রম করতে পারি তারপর পর হয়তো আমি
(26:30) ভালো রেজাল্ট নাও করতে পারি পরীক্ষায় যে যেই ধরনের কাজই করি না কেন সেটা দুনিয়াবী হোক বা আখিরাতি হোক সবসময় আমাদের ভরসাস্থল থাকবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমরা যদি যেকোনো কাজে যেকোনো কর্মে যেকোনো কিছুতে সবসময় এই সেন্টারটা ঠিক রাখতে পারি যে আমার ভরসাস্থল হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাহলে আমাদের জীবনযাপনটা অনেক বেশি সহজ হবে অনেক বেশি সুন্দর হবে নয় নাম্বার পয়েন্ট সূরা বাকারা দুই নাম্বার সূরার 150 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন মিনহুম ফালা তাকশাহুম তোমরা তাদেরকে ভয় করো না আমাকে ভয় করো আমরা সবসময় ভয় করবো কাকে আল্লাহকে এর আগের আয়াতে আমরা দেখেছি যে
(27:20) আমাদের ভরসা থাকবে তাওয়াক্কুল থাকবে নির্ভরতা থাকবে আল্লাহর উপরে আর এখানে সূরা বাকারার 150 নম্বর আয়াতে আমরা দেখলাম যে আল্লাহ আমাদের শেখাচ্ছে যে আমরা পৃথিবীর অন্য কোন কিছুকে ভয় করবো না কোন ক্ষমতার দাপট কোন এমপি মন্ত্রী পুলিশ আর্মি বিডিআর বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন কে আমার কখন কি ক্ষতি করবে না করবে সবসময় ভয়ে থাকবো আতঙ্কে থাকবো মোটেই দরকার নেই আমরা ভয় করব শুধুমাত্র আল্লাহকে আখিরাতে আল্লাহর শাস্তিকে যদি নাফরমান হয়ে মরি আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করব এমনকি দুনিয়াতেও যদি আমরা নাফরমান থাকি অথবা খুব সুখে থাকি তাও আল্লাহ বিপদ আপদ বালা
(28:01) মুসিবত অনেক কিছু দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করবে কিন্তু আল্টিমেটলি আমাদের ভয় থাকতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর প্রতি যেমনটা আমরা আল্লাহকে ভালোবাসবো যেমনটা নির্ভর করব ঠিক তেমন ভাবেই আমাদের ভয়টা আল্লাহ কেন্দ্রিক হওয়া উচিত ভয় নির্ভরতার পরে সেই ভালোবাসার প্রসঙ্গটা যখন চলেই আসলো তখন 10 নাম্বার পয়েন্টে আমরা সেই ভালোবাসার ক্ষেত্রটাও দেখি সূরা বাকারা একই সূরার 165 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষ রূপে গ্রহণ করে তাদেরকে আল্লাহকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসে আর যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর
(28:44) প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে তাদের সবচেয়ে দৃঢ় সবচেয়ে শক্ত সবচেয়ে প্রগাড়ো অবশ্যই এন্টিতে একটা হাদিস বানানো হয়েছে যে তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তোমাদের বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন পরিবার ধন-সম্পদ সবকিছুর চেয়ে আল্লাহর রাসূল কে বেশি ভালোবাসতে না পারে এই হাদিসের উপর ভিত্তি করেই আশেকে রাসূল বাহিনী তৈরি হয়েছে কিন্তু আল্লাহ কিন্তু এখানে সাবধান করে দিচ্ছেন যে আল্লাহকে ছাড়া আল্লাহর সমকক্ষ রূপে এমন কাউকে ভালোবাসা যাবে না আমি আল্লাহকে যতটা ভালোবাসি তার সমান ভালো আমি আমার বাবা-মা স্ত্রী সন্তান আমি কোন নবী রাসূল কোন
(29:20) ইব্রাহিম নবী কোন মুসা নবী কোন ঈসা নবী কোন নবী মোহাম্মদ কাউকে আমি এতটা ভালোবাসতে পারবো না পীর বুজুর্গ তো অনেক দূরের কথা সবচেয়ে টপ ক্লাস ভালোবাসাটা আমার দিতে হবে আল্লাহর প্রতি সবচেয়ে ভালোবেশি আমি আল্লাহকে বাসবো এটাই হচ্ছে ঈমানদারের ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ক্যারেক্টারিস্টিক সবচেয়ে বেশি ভালো আমরা আল্লাহকে বাসবো আমরা আশেকে রাসূল হবো না আমরা হব আশেকে আল্লাহ কারণ রাসূল নবী তিনি কি নিজের যোগ্যতায় নবী হয়েছেন না আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছেন আল্লাহ যদি হযরত আলীকে আবু বকরকে ওমরকে যদি মনোনীত করতো তাহলে তারাই হতো সেই নবী বা রাসূল এটা পুরোপুরি
(30:01) আল্লাহর এখতিয়ার কোরআন কি নবী লিখেছেন ইঞ্জিল কি ঈসা নবী লিখেছেন বা বানিয়েছেন না আল্লাহ তাকে দান করেছেন তার উপর নাযিল করেছেন আল্লাহর কারণেই তিনি সম্মানিত তিনি হচ্ছেন আব্দ আমরা বলি না আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসুলুহু মুহাম্মদ হচ্ছে আল্লাহর আব্দ আল্লাহর চাকর আল্লাহর দাস তারপর হচ্ছে কি রাসুলুহু তার বার্তাবাহক সুতরাং আমরা যেন ভুলেও গুনাক্ষরেও তার কোন নবী রাসূল অলি আউলিয়া গাউস কুতুবকে এতটা বেশি ভালো না বাসি যে আল্লাহর লেভেলে চলে যায় সবচেয়ে বেশি ভালো আল্লাহকে বাসতে হবে তাহলে আমরা এখানে পরপর তিনটা জিনিস
(30:45) পেলাম আট নাম্বারে পেলাম আল্লাহর উপর আমাদের ভরসা রাখতে হবে তাওয়াক্কুল রাখতে হবে নির্ভরতা নয় নাম্বারে পেলাম সূরা বাকারা 150 এ যে আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করবো না আর 10 নাম্বারে পেলাম সবচেয়ে বেশি ভালো আমরা আল্লাহকে বাসবো এরপর 11 নাম্বার পয়েন্ট 11 নাম্বার সূরা হুদের 90 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন রব্বাকুম ইলাইহি ইন্না রব্বি রাহিমুদু আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো ক্ষমা প্রার্থনা করো অতঃপর তারই কাছে তওবা করো নিশ্চয়ই আমার রব পরম দয়ালু অত্যন্ত প্রেমময় অতিব ভালোবাসা পোষণকারী বড়ই প্রেমাদ্র কত চমৎকার একটা
(31:36) আয়াত আল্লাহর কাছে আমরা কি করবো তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব ওয়াস্তাগফিরহু করবো কারণ আমরা এঞ্জেল নই আমরা যতই ভালো থাকার ভালো হওয়ার চেষ্টা করি না কেন ছোটখাটো ভুল ত্রুটি দোষ গুনাহ হয়েই থাকে মুত্তাকীর ভিডিওতে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ডিটেইলস যে মুত্তাকীর ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ক্যারেক্টারিস্টিক হচ্ছে যে শেষ রাতে সে আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে তো এখানে আমরা দেখলাম যে সূরা হুদের 90 নাম্বার আয়াতে আমরা আল্লাহর কাছে এই ক্ষমা প্রার্থনা করব আর কি তার কাছে তওবা করব যাই পাপ করি না কেন গুনাহ করি না কেন তওবা করব নিয়মিত কারণ
(32:14) কারণ আল্লাহ হচ্ছে পরম দয়ালু এই পৃথিবীতে তার মত দয়া তার মত মহব্বত তার মত ভালো আমাকে কেউ বাসে না তিনি হচ্ছেন ওয়াদুদ প্রেমময় 12 নাম্বার পয়েন্ট 40 নাম্বার সূরার সাত নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন লাকুম ইন্নাল্লাজিনা জাহান্নামা আর তোমাদের রব বলেছেন তোমরা আমাকে ডাকোনি তোমরা আমাকে ডাকো তাহলে আল্লাহ বলছেন আসতাজিবু লাকুম ইন্না আমি তোমাদের ডাকে আস্তাজিবু করবো সাড়া দেব আমরা কাকে ডাকবো আমরা আল্লাহকে ডাকবো এই যে কোরআন আল্লাহ পাঠিয়েছে নবী রাসূল এত কিছু পাঠায় কেন যাতে করে আমরা আল্লাহর সাথে সালাত করতে পারি তার সাথে
(33:20) সংযোগ স্থাপন করতে পারি তার সাথে যোগাযোগ করতে পারি কমিউনিকেট করতে পারি কিন্তু যুগে যুগে সবসময় মানুষ এই শিরকের মধ্যেই ডুবে যায় যেই আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সংযোগ স্থাপনের জন্য এত নবী পাঠান রাসূল পাঠান কুরআন পাঠান ইঞ্জিল পাঠান তাওরাত পাঠান আমরা শেষে দেখা যায় সেই নবী রাসূলকেই ডাকাডাকি শুরু করে দেই পীর অলি আউলিয়া গাউস কুতুব হুজুর আল্লামা তাদের সাথেই আমরা সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলি অথচ সম্পর্ক স্থাপন করার কথা ছিল আল্লাহর সাথে আমাদেরকে বোঝানো হয় আরে তুমি তো পাপী মহাপাপী তোমার ডাকে কি আল্লাহ শুনবে আল্লাহর খাস বান্দা অলি আউলিয়া নবী রাসূল
(34:03) গাউস কুতুব তাদের কাছে যাও তারা তোমার হয়ে আল্লাহর কাছে চাইবে তোমার দোয়াটা তারা করে দেবে তাহলে কবুল হবে তোমার সন্তান দরকার চাকরি দরকার ব্যবসা দরকার বিপদ থেকে মুক্ত হওয়া দরকার বাবার কাছে যাও পীরের কাছে যাও গাউস কুতুবের কাছে যাও নবীর কাছে যাও রাসূলের কাছে যাও তারা তোমার হয়ে আল্লাহকে বলে দেবে নারে ভাই আল্লাহ কত প্রেমময় কত ওয়াদুদ তিনি চান যেন আমরা তাকে সরাসরি ডাকি কি তার সাথে সরাসরি আমরা সালাত স্থাপন করি সংযোগ স্থাপন করি রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করি কত সুন্দর করে কত দয়া করে মায়া করে তিনি বলছেন তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে
(34:43) সাড়া দেব আমরা ডাকি না কিন্তু প্রকৃত মুসলিম হতে গেলে মুমিন হতে গেলে মুত্তাকী হতে গেলে আল্লাহর খাস প্রিয় বান্দা হতে গেলে আমাদের এই বিষয়টা ব্রেনে পুরোপুরি সেভ করে নিতে হবে শক্তভাবে যে আমরা সবসময় আল্লাহকে ডাকবো আল্লাহর সাথে রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করবো এরপর 13 নাম্বার পয়েন্ট সূরা ইব্রাহিম 14 নাম্বার সূরার সাত নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন এবং স্মরণ করো যখন ঘোষণা করেন রব্বুকুম তোমার রব লাইন সাকারতুম অবশ্যই যদি তোমরা সাকারতুম করো তোমরা কৃতজ্ঞ হও লাজিদান্নাকুম এবং তোমাদের অবশ্যই অনেক দেব অধিক বাড়িয়ে দেব ওয়ালাইন কাফারতুম
(35:33) ইন্নাজাবিন লাশাদি আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও নিশ্চয়ই আমার শাস্তি বড় কঠোর এটাই তো ইবলিশ চ্যালেঞ্জ করেছিল যে তুমি তোমার অধিকাংশ বান্দাকেই এই সাকারতম পাবে না কৃতজ্ঞ পাবে না অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবে আল্লাহ সূরা আদিয়াতেও তো বলেছে ইন্নাল ইনসান রব্বিহি লাকানুদ নিশ্চয়ই মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ এটা যে কত জঘন্য একটা পাপ আমরা কল্পনাও করতে পারি না ইবলিশের আল্টিমেট টার্গেটই থাকে আমাদের অকৃতজ্ঞ বানানো অথচ ওয়াদুদ আল্লাহ দয়ালু আল্লাহ মেহেরবান আল্লাহ সূরা ইব্রাহিমের সাত নাম্বার আয়াতে কত চমৎকার করে বলছেন যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো কৃতজ্ঞ হও আমি তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে
(36:20) দেব সবসময় সুখে দুঃখে বিপদে আপদে আমার যেরকম চেহারা হোক সুরত হোক আর্থিক অবস্থা হোক বিপদ-আপদ হোক যত ছোট চাকরি হোক যত ছোট ব্যবসা হোক যাই হোক না কেন সবসময় আমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হব যাই দিক আল্লাহ যেই নিয়ামতে দিক আমরা শুকরিয়া আদায় করব তাহলে দেখব নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে বাড়িয়ে দেবে আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা 16 নাম্বার সূরা নাহলের 114 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন অতএব তোমাদেরকে আল্লাহ যা দিয়েছেন তন্মধ্যে যা বৈধ হালাল উত্তম রিজিক যা দিয়েছেন তোমরা তা থেকে আহার করো এবং আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করো যদি
(37:06) তোমরা তারই ইবাদত করে থাকো এখানেও আমরা তাই দেখলাম 14 নাম্বার সূরা ইব্রাহিমের সাত নাম্বার আয়াতে 16 নাম্বার সূরা নাহালের 114 নাম্বার আয়াতে এ দুটো আয়াতেই আল্লাহ আমাদেরকে বলছেন যেন আমরা তার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করি এরপরের পয়েন্ট 14 সূরা নাম্বার 93 আয়াত নাম্বার 11 আল্লাহ বলছেন সূরা দোহার 11 নাম্বার আয়াতে আম্মা বিনিয়ামাতি রব্বিকা ফাহাদ্দেস বিনিয়ামাতি আল্লাহর যে নেয়ামত আল্লাহর যে অনুগ্রহ রব্বিকা তোমার রবের যে নেয়ামত তা কি করো ফাহাদ্দিস করো বর্ণনা করো ব্যক্ত করো প্রকাশ করো আমরা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়াও করি না প্রকাশ তো করি
(37:55) না জানেন ভাবি আমার ছেলেটা না দারুণ মেধাবী অনেক পরিশ্রম করে এজন্য এবার এ প্লাস পেয়েছে ফার্স্ট ক্লাস ফাস্ট হয়েছে ভালো চাকরি পেয়েছে অনেক পড়াশোনা করেছে অনেক কষ্ট করেছে আমার স্বামী দারুণ পরিশ্রম করে গাড়ি করেছে বাড়ি করেছে অনেক টাকা-পয়সা ইনকাম করে এই করেছে সবসময় আমরা পরিশ্রমের ক্রেডিট দেই আমার মেয়েটা রূপসজ্জা ভালো করে ভালো নাচ জানে গান জানে পড়াশোনায় ভালো এজন্য ভালো বিয়ে হয়েছে মেয়েটারই প্রশংসা করছি অমুক নেতা খুব ভালো এজন্য ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন এমপি হয়েছেন মিনিস্টার হয়েছেন কেন হয়তো তার জনপ্রিয়তার কারণে ভালো কাজের কারণে
(38:34) অথবা নেত্রী শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া বা অন্য কারো সুনজর পড়েছে এ কারণে এইভাবে আমরা আল্লাহর নেয়ামত গুলো ঢেকে মানুষকে ক্রেডিট দেই আমরা ভুলে যাই যে ভালো চাকরি ভালো বিয়ে ভালো অবস্থান ভালো গাড়ি বাড়ি সবকিছুই আল্লাহর নিয়ামতের কারণে হয়েছে আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া তার নিয়ামতের শুকরিয়া করা এবং সূরা দোহা এই 93 নাম্বার সূরার 11 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহর নিয়ামতের বর্ণনা করা নিয়ামত গুলো প্রকাশ করা আমাদের বলা উচিত জানেন ভাবি আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আল্লাহর দয়ায় আমার ছেলেটা ভালো চাকরি পেয়েছে আল্লাহর দয়ায় আল্লাহর
(39:17) অনুগ্রহে আল্লাহর নিয়ামতের কারণে আল্লাহ আমাকে দুটো সন্তান বা একটা সন্তান দান করেছেন ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর নিয়ামতের কারণে আমার স্বামী ভালো বাড়ি করতে পেরেছে জায়গা জমি করতে পেরেছে প্রতিটা সেক্টর প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা দিনে প্রতিটা রাতে প্রতিটা ঘন্টায় মিনিটে কিন্তু আমরা ইচ্ছে করলেই আল্লাহর নেয়ামতের প্রকাশ করতে পারি বর্ণনা করতে পারি মানুষের কাছে কিন্তু আমরা করি না সত্যিকারের মুসলিম মুমিন মুত্তাকী হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই এই সূরা দোহার 11 নাম্বার আয়াত মনে রাখতে হবে যে আমরা যেন সবসময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আল্লাহর
(39:53) নিয়ামতের বর্ণনা আল্লাহর নিয়ামতের কথা অন্যের কাছে ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে আম্মাবিনিমাতি রব্বিকা হাদ্দিস যেন আমরা আমাদের সামগ্রিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি যত গুণ যত কোয়ালিটি যত অর্জন সবকিছুতেই যেন আমরা আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া এবং প্রকাশ অব্যাহত রাখতে পারি সর্বশেষ 15 নাম্বার পয়েন্ট সাত নাম্বার সূরা আরাফের 180 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে আসমাউল হুসনা সুন্দরতম নামসমূহ সুতরাং তোমরা তাকে সেসব নামেই ডাকো আর তাদেরকে বর্জন করো যারা তার নামে বিকৃতি ঘটায় তারা যা করতো অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল
(40:43) দেয়া হবে তাহলে এই যে আল্লাহর আসমাউল হুসনা আছে সুন্দর সুন্দর নাম আছে এই সুন্দর সুন্দর নাম দিয়ে আমরা আল্লাহকে ডাকবো কত চমৎকার নাম আল্লাহর আছে রাহমান রাহিম আসসালাম ওয়াদুদ সূরা হাশর পড়লে আমরা আরো কত সুন্দর সুন্দর নাম পাই হু আল্লাহ হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহ হুয়াল মালিকুল কুদ্দুস সালামুল মুমিনুন মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন আল্লাহ মালিক তিনি বাদশা তিনি কুদ্দুস অতি পবিত্র আসসালাম শান্তিদাতা মুমিন নিরাপত্তাদাতা মুহাইমিন তিনি রক্ষক আজিজ মহাপরাক্রমশালী জাব্বার মহাপ্রতাপশালী মুতাকাব্বির অতিব
(41:40) মহিমান্বিত সুবহানাল্লাহ পবিত্র আল্লাহুল খালিকুল বারিউল লাহুল আসমাউল হুসনা আজিজুল হাকিম তিনি সৃষ্টি কর্তা বাড়ি উদ্ভাবক উদ্ভাবনকারী মুসা আকৃতি দানকারী রূপদাতা লাহুল আসমাউল হুসনা সুন্দর উত্তম নামসমূহ তো তারইলাহু মাফিস সামাতি আজিজুল হাকিম আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে তিনি আজিজুল হাকিম তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় প্রজ্ঞাবান এরকম সুন্দর সুন্দর নাম ধরে আমরা আল্লাহকে ডাকবো তাহলে আজকে আমরা আলোচনা করলাম আল্লাহর প্রতি আমাদের যে বাধ্যবাধকতা গুলো আছে সেই সম্পর্কে সেই 15 টা বিষয় সম্পর্কে এর পরের পাঠে আমরা
(42:46) আলোচনা করব যে ধর্মীয় বা দ্বীনের ক্ষেত্রে যে বাধ্যবাধকতাগুলো আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে সেই নয়টা বিষয়ে এরপরে আমরা আলোচনা করব যে আমাদের ইসলামিক যে আচরণগুলো হবে যে বিহেভ গুলো হবে সেই সম্পর্কে কোরআনে যে নির্দেশগুলো দেয়া হয়েছে সেই 50 টা ইসলামিক আচরণ সম্পর্কে এর পরের পর্বে আমরা আলোচনা করব যে সকল কাজ করা যাবে না সেই 85 টা কাজ সম্পর্কে তো আজকে আমরা যে 15 টা বিষয় শিখলাম সেগুলো একটু রিক্যাপ করি আল্লাহর ক্ষেত্রে আমাদের যে যে বাধ্যবাধকতা গুলো আছে সেটা আমরা শুরু করেছি প্রথমেই আমরা পোশাক দিয়ে সূরা আরাফের 26 নাম্বার
(43:28) আয়াতে দিয়ে আমরা আমাদের খুতবা শুরু করি করেছিলাম যে আল্লাহ আমাদের জন্য পোশাক পরিচ্ছেদ নাযিল করেছেন যাতে করে আমরা আমাদের সৌন্দর্য বর্ধন করতে পারি এবং লজ্জাস্থান ঢাকতে পারি কিন্তু সেই একই সাথে আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে সবচেয়ে সুন্দর পোশাক সবচেয়ে বেস্ট ক্লোথ হচ্ছে তাকওয়ার ক্লোথ তাকওয়ার পোশাক এরপরে আমরা আলোচনা করেছি সেই 15 টা বিষয় সম্পর্কে প্রথমেই সূরা বাকারার 285 নাম্বার আয়াতে চারটা বিষয়ের প্রতি আল্লাহ আমাদের ঈমান আনতে বলেছেন সেটা হচ্ছে এক আল্লাহর প্রতি তার ফেরেশতার প্রতি তার কিতাব সমূহের প্রতি এবং তার রাসূলদের প্রতি দু নাম্বারে
(44:04) আমরা দেখেছি সূরা বানি ইসরাইলের 23 নাম্বার আয়াতে যে শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করার কথা আল্লাহ বলেছেন তিন নাম্বারে 39 নাম্বার সূরা জুমারের 11 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আমরা আলোচনা করেছিলাম যে সেই ইবাদতটা যেন হয় আমাদের একনিষ্ঠভাবে সেই একনিষ্ঠতার সেই মুসলিহীনদের কথা আমরা আলোচনা করেছি এরপর চার নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি সূরা তওবার 20 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে আমাদের জানমাল সবকিছু দিয়ে আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব এরপরে আমরা পাঁচ নাম্বার পয়েন্টটা আলোচনা করেছি 64 নাম্বার সূরা তাগাবুনের 16 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে
(44:40) আল্লাহকে যথাযথভাবে আমাদের ভয় করতে হবে এরপর ছয় নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি আল্লাহ পাককে সবসময় বেশিরভাগ সময় যতটা বেশি সময় সম্ভব আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে আল্লাহর জিকির করতে হবে 33 নাম্বার সূরার 41 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী এরপর সাত নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি যে আল্লাহর তাসবি তাহলিল পাঠ করতে হবে আল্লাহর প্রশংসা আল্লাহর গুণ কীর্তন করতে হবে স্পেশালি সকালে এবং সন্ধ্যায় 50 নাম্বার সূরার 39 নাম্বার আয়াতে 30 নাম্বার সূরার 18 নাম্বার আয়াতে 40 নাম্বার সূরার 55 নাম্বার আয়াতে 20 নাম্বার সূরার 130 নাম্বার আয়াতে এবং 52
(45:18) নাম্বার সূরার 48 49 নাম্বার আয়াতে এরপর আট নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি 64 নাম্বার সূরার 13 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আমাদের সকল ভরসা তাওয়াক্কুল নির্ভরতা হতে হবে একমাত্র আল্লাহর প্রতি নয় নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি সূরা বাকারার 150 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করতে হবে আল্লাহকে ছাড়া অন্য কোন কিছুকে আমরা ভয় করবো না 10 নাম্বার পয়েন্টে সূরা বাকারার 165 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আমরা আলোচনা করেছি যে সবচেয়ে বেশি ভালো আমরা এই পৃথিবীতে আল্লাহকে বাসবো সবচেয়ে বেশি ভালো তার চেয়ে বেশি ভালো আমরা পৃথিবীতে কাউকে
(45:53) বাসবো না ভালোবাসাটা কিভাবে আসবে যখনই আমরা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া গুলো চিন্তা করব যে আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন আমাকে ঘর দিয়েছেন বাড়ি দিয়েছেন পিতা-মাতা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন পরিবার পরিজন স্ত্রী সন্তান চাকরি-বাকরি পড়াশোনা বিদ্যাবুদ্ধি কত ধরনের নিয়ামত আল্লাহ কতভাবে যে দিয়েছেন আমরা হয়তো গুণনা করলে শেষও করতে পারবো না সেই নিয়ামতের যত বেশি আমরা স্মরণ করব ততই কিন্তু আমাদের সেই আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাটা অটোমেটিক চলে আসবে এরপর 11 নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি 11 নাম্বার সূরার হুদের 90 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে আমরা আল্লাহর
(46:27) কাছে সবসময় ক্ষমা প্রার্থনা করব ইস্তেগফার করবো এবং তওবা করব 12 নাম্বার পয়েন্টে 40 নাম্বার সূরার সাত নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আমরা আলোচনা করেছি যে আমরা আল্লাহকে ডাকবো আল্লাহ বলেছেন তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব 13 নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি 16 নাম্বার সূরার 114 এবং 14 নাম্বার সূরা ইব্রাহিমের সাত নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে আমরা সবসময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব তার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করব কারণ জীবনে এরকম সময়টা আসতেই পারে যে আমাদের বিপদ আসবে আপদ আসবে অনেক ধরনের প্রবলেম ক্রিয়েট হবে সে সময় যেন আমরা
(47:02) ভেঙে না পড়ি আমরা ধৈর্য ধারণ করি এটা কিভাবে হবে যখনই আমরা আল্লাহর নিয়ামতের কথাগুলো চিন্তা করব যা যা আল্লাহ দেয়নি সেটা ভুলে গিয়ে যা যা দিয়েছেন সেই বিষয়গুলো যখন আমি রিক্যাপ করার চেষ্টা করব মেমোরিতে তখনই কিন্তু আল্লাহর নিয়ামত গুলো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে এবং সেই একই সাথে যা নিয়ামত আল্লাহ দিয়েছেন সেগুলোর প্রশংসা সেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা আমরা আল্লাহর প্রতি আদায় করব এরপর 14 নাম্বার পয়েন্টে আমরা আলোচনা করেছি 93 নাম্বার সূরা দোহার 11 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে আল্লাহ যা যা ব্লেসিংস যা যা নিয়ামত আমাদের দিয়েছেন সেগুলো আমরা
(47:38) সবসময় অন্যের কাছে বর্ণনা করব প্রকাশ করব মানুষকে জানাবো যত বেশি মানুষকে বলব জানাবো তত বেশি আমি উপকৃত হব তত বেশি আমি সওয়াবের অধিকারী হব এবং সর্বশেষ 15 নাম্বার আয়াতে আমরা জেনেছি সূরা আরাফের 180 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যে আমরা আল্লাহকে সুন্দর সুন্দর নামে ডাকবো কোরআনে অজস্র সুন্দর সুন্দর নাম আল্লাহ দিয়েছেন এবং আমাদেরকে বলেছেন যে এই আসমাল হুসনা এই সুন্দরতম নামগুলো ধরে তোমরা আল্লাহকে ডাকো মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই আল্লাহর প্রতি যেই 15 টা কাজ এই 15 টা কাজ সুন্দরভাবে সারাজীবন করার তৌফিক দান করুক এবং আমরা যেন খাঁটি মুমিন মুসলিম মুত্তাকী হয়ে
(48:24) মৃত্যুবরণ করতে পারি সেই সাধনায় যেন চিরকাল রত থাকতে পারি সেই তৌফিক যেন আল্লাহপাক আমাদেরকে দান করেন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন
MONE HOY MOHAN ALLAH BANI,