“কুরআন না বোঝার ৫ টি কারণ”

"কুরআন না বোঝার ৫ টি কারণ" দি গ্রেট কুরআন (বাংলা ভার্সন)

Title: “কুরআন না বোঝার ৫ টি কারণ”
URL: “https://www.youtube.com/watch?v=ceV9sMV3hJs&list=PLwJ404QllQ_5CkGGPQtNvNcF-BhFW07Qc&index=4”


অভিশপ্ত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। সকল প্রশংসা সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। কোরআন না বোঝার কারণ কি? মূলত পাঁচটা কারণ।

প্রথম কারণ:- আরবি ভাষা না জানা। তবে যারা আরবের হুজুর তাদের প্রায় শতভাগই নিজ দেশের রাজা বাদশাদের শৃঙ্খলিত কৃতদাস আর রাজা বাদশাহরা তাদের বাদশাহী রক্ষায় রচিত শরীয়তের নামাজ রোজা হজ যাকাত কেই যথেষ্ট বলে মনে করেন। এর বাইরে কোরআন গবেষণায় তাদের তিল পরিমাণও আগ্রহ নেই ইচ্ছাও নেই, নেই প্রয়োজনও। কারণ তাতে বাদশাহী হারাবার ভয় আছে । আছে জাকজমকপূর্ণ ভোগ‑বিলাস হারাবার শঙ্কাও। এজন্যই প্রাক্তন দরবারি আলেম রচিত পাঁচ খুঁটি বা পঞ্চ স্তম্ভ বাস্তবায়নেই তাদের সকল মনোযোগ। তাইতো দরবারি আলেমদের সহযোগিতায় করআন ধরলেই সওয়াব, পড়লেই সওয়াব, মুখস্ত করলেই সওয়াব এসব অপপ্রচার প্রতিষ্ঠা করে আরামপ্রিয় সাধারণ মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও ভক্তি অর্জন করতে পেরেছে পুরোপুরি।

দ্বিতীয় কারণ:- যেকোনো ভাষায় ভাব প্রকাশের প্রধানত তিনটা পথ থাকে। এক:- গদ্য- মানে প্রবন্ধ,নিবন্ধ,আখ্যান,গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি। দুই:-পদ্য‑মানে কাব্য,ছন্দ,ছড়া বা কবিতা। আর তিন:- গান- মানে গীত,সঙ্গীত,সুর বা লহরী ।

গদ্য কি? গদ্য হচ্ছে ‑কথা বাণী বা বক্তৃতা যা পুরোপুরি শাব্দিক বা আভিধানিক বা ডিকশনারীর অর্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আর পদ্য বা কাব্য,ছন্দ,ছড়া বা কবিতা কি? যার প্রত্যেকটি পদে পদে ও ছন্দে ছন্দে আংশিক আভিধানিক আর আংশিক ভাব অর্থের সংমিশ্রণ থাকে। এর অবশ্য অনেক শাখাপ্রশাখা রয়েছে। তিন:- গান- গীত,সঙ্গীত,সুরলহরী হচ্ছে — ছন্দ‑অছন্দ ভাব- গদ্য বা পদ্যকে যখন তান,লয়,নাদ,মূর্ছনা সুর বা লহরির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তখন সেটাই গানের রূপান্তর।

মানে একই বিষয় মনের ভাব কথার মাধ্যমে প্রকাশকে বলে গদ্য; ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশকে বলে পদ্য আর সুরের মাধ্যমে প্রকাশকে বলে গান । তবে গানের বৈশিষ্ট্য হলো কাব্য বা ভাববাদ। এর সাথে আভিধানিক অর্থ সম্পর্ক থাকে না বললেই চলে।

আমরা মানব শরীরও এরকম তিনটা ভাগে বিভক্ত। গদ্য, পদ্য, গান। আমাদের দেহ হলো গদ্য, দেহের অঙ্গ,পোশাক, বাহ্যিক সৌষ্ঠব হলো পদ্য বা কবিতা, সবকিছুর ভারসাম্যপূণ্য উপস্থাপন, কথা-বার্তা-চলাফেরার মাধুর্য্য হলো গান বা সুর লহরী। আমাদের নফস আছে সেই নফসেরও আবার একইভাবে তিনটা প্রকার আছে। নফসে লাউয়ামা, নফসে মুতমাইন্না, নফসে আম্মারা। সূরা ইউসুফের 53 নাম্বার আয়াতে গেলে আপনি পাবেন নফসে লাউয়ামা। সূরা কিয়ামাহর দুই নাম্বার আয়াতে গেলে পাবেন নফসে আম্মারা। সূরা ফজরের ২৭থেকে ৩০ আয়াতে গেলে পাবেন নফসে মুতমাইন্না। এই নফস সম্পর্কে বিস্তারিত ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। নফসের মধ্যে থাকে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক আকল। আর নফসটাকে খুব চমৎকারভাবে আল্লাহ ব্যালেন্স করে দিয়েছেন সূরা শামসের সাত আট নয় নম্বর আয়াত পড়লে আপনি খুব ভালোভাবেেউপলব্ধি করবেন। “কসম নফসের, আর সেই সত্তার যিনি তাকে ব্যালেন্স করেছেন- সুষম করেছেন ‑সুসামঞ্জস্যপূর্ণ্য করেছেন। অতঃপর তিনি তাকে অবহিত করেছেন তার পাপসমূহ ও তার তাকওয়া সম্পর্কে ‑মানে তাকে সৎকর্ম অসৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন- পাপ‑পুণ্যের জ্ঞান ( আল্লাহ অটোমেটিক্যালি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের মধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। আর আছে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক আকল। এরপরে যে তৃতীয় সত্তা সেটাই হচ্ছে নূর- আলো বা জ্যোতি। আল্লাহর নুর ও মুত্তাকীর ভিডিওটা যারা দেখেছেন তারা বোঝেন যে খাটি মুমিন মুত্তাকী হলে আল্লাহ তাদেরকে এই নূর দান করেন, রাব্বুনাল্লাহ এর উপর অটল থাকলে তাদের কাছে ফেরেশতা নাযিল করেন। আখিরাতে তারা সেই নূর প্রাপ্ত হয় আল্লাহর স্পেশাল গেস্ট বা বিশেষ মেহমান হিসেবে কঠিন হাশরের মাঠে তারা উপস্থিত হবেন। এই নূর কিভাবে অর্জন করতে হয়? বেস্ট পদ্ধতি হচ্ছে মুমিন‑মুত্তাকী হওয়া । সুরা হাদিদের ১৩,১৪,১৫ অঅয়াত পড়লে আপনি এই নুরের সন্ধান পাবেন।

কুরআন ও এরকম তিনটা পদ্ধতিতে বোঝা সহজ হয়ে যায়। গদ্য পদ্য আর সুর লহরি ।

গদ্যটাকে আপনি দেহের সাথে তুলনা করতে পারেন। অর্থ্যাৎ হাত, পা চোখ‑মুখ বললে আপনি শাব্দিকভাবে হাত পা চোখ‑মুখ বুঝবেন। গদ্যের ভাষা- শাব্দিক ভাষা,আভিধানিক বা ডিকশনারীর ভাষা। কোরআনের আরেকটা ভাষা আছে পদ্য বা কাব্যিক ভাষা। সেটা বুঝতে গেলে আপনার নিজের নফসের লেভেল গুলো বুঝতে হবে। আপনার নফস যেই লেভেলের সেই লেভেলে আপনি অনুধাবন করতে পারবেন, উপলব্ধি করতে পারবেন।

আর তৃতীয় যেটা সেই নূর বুঝতে গেলে আপনাকে মুত্তাকী হতে হবে তাহলে কোরআনের যে নূর যে মূল জ্যোতি যেটা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন, নাযিল করেছেন তা উপলব্ধি করতে পারবেন। যত টপ ক্লাস বা উচ্চমানের মুত্তাকী আপনি হতে পারবেন তত টপ ক্লাস‑উচ্চমানের কোরআনের নূর আপনি অর্জন করতে পারবেন। অর্থ্যাৎ এই যে সুর লহরী বা সঙ্গীত এই ভাষাতেই আল্লাহ বেশিরভাগ কথা বলেছেন। এজন্য এই সুর লহরি বা নূরের মর্ম উপলব্ধি করতে গেলে আপনাকে সেই ভাষার সাথে রিদম বা ছন্দের তাল মেলাতে হবে ।

আমরা জানি যে দাউদ নবীর উপরে যে জাবুর নাযিল করা হয়েছিল সেটা কিন্তু এই সুর লহরির মাধ্যমেই তাকে তেলাওয়াত করতে হতো কিন্তু খুব দুঃখের বিষয় যে আমাদের প্রচলিত শরীয়ত এই সুর লহরিকে হারাম বলে ঘোষণা করেছে।তারচেয়ে বেশী আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে তারা কিন্তু ওয়াজ মাহফিলে (যেখানে স্বাভাবিক কথা বলাই যথেষ্ট) সেখানে কিন্তু তারা সুর লহরি ছাড়া ওয়াজ করে না।

কি ভয়ঙ্কর স্বিবরোধিতা আপনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারছেন। সুতরাং যারা এই মুত্তাকী হতে পারবে, টপ লেভেলের উচ্চমানের মুসলিম হতে পারবে ( সূরা হুজরাতে ১৩ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যারা মুত্তাকী তারা হচ্ছে আল্লাহর চোখে এই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি) এই ধরনের মানুষ দিয়ে যদি কোরআনের অনুবাদ করা হতো তাহলে সেটা হতো সবচেয়ে সুন্দর অনুবাদ।

কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে যে কোরআনের অনুবাদ যারা করেছেন তারা বেশিরভাগই ছিলেন পেশাদার মানুষ এবং কোনো না কোনো রাজা বাদশাহ বা সরকারের পৃষ্ঠপোষক বা সমর্থক বা বেতনভুক্ত দরবারি আলেম। আর অল্পসংখ্যক যারা পেশাদার বা দরবারি বা রাজা বাদশাহদের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন না ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর ওয়াস্তে কুরআন চর্চা করেছেন তারা সেই মাপের মুত্তাকী হতে পারেননি যে কারণে সেভাবে সুন্দর সঠিক যথাযথ অনুবাদ বা তাফসির বা ভাবার্থ তারা করতেও পারেননি। আর ওরকম হতে না পারলে অনুবাদ করাটা তাদের পক্ষে যে অসম্ভব এবং অবাস্তব হয়ে দাঁড়াবে তা নিশ্চয়ই আমরা এতক্ষণে উপলব্ধি করতে পারছি।

আরেকটা বিষয় যখন তারা অনুবাদ করেন তারা কিন্তু গুলিয়ে ফেলেন সেটা হচ্ছে সূরা আল ইমরানের সাত নাম্বার আয়াত একটা হচ্ছে মোহকামাত আয়াত আরেকটা হচ্ছে মুতাশাবিহা আয়াত তো কোরআনের অনেক আয়াত আছে যে মোহকাম পরিষ্কার স্পষ্টভাবে আল্লাহর হুকুম আহকাম নির্দেশ নিষেধ বর্ণনা করেছে। কিন্তু কোরআনের বিশাল একটা অংশ জুড়েই আছে মুতাশাবিহা ভাববাদ,সাদৃশ্যপূর্ণ, দর্শনের কথা। এগুলো স্বাভাবিক সাধারণ পড়ালেখা করা মানুষের পক্ষে অনুবাদ করা সম্ভব নয় যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মধ্যে সেই নূর আসবে সেই নফসের মুতমাইন্না আসবে। তিনি নুর ‚নফস,রুহ অনুধাবন করতে পারবেন। এবং মুত্তাকী হওয়ার চেষ্টা সাধনায় রত থাকবেন। তার জীবনের লক্ষ্য যতক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকী হওয়া নির্ধারণ করতে না পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এই আয়াতগুলো তার পক্ষে অনুবাদ করা কখনোই সম্ভব হবে না।

এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যাদেরকে আমরা আলেম হিসেবে গণ্য করি হুজুর মনে করি ভাবি যাদের নামের আগে মুফতি আছে, মাওলানা আছে, হাফেজ আছে, আল্লামা আছে, যার নামের আগে যত বেশি টাইটেল বা লকব থাকে সে তত বড় আলেম ওলামা। কিন্তু আশ্চর্যর বিষয় হচ্ছে আল্লাহর চোখে এই আলেম কারা? তা জানলে আমরা আঁতকে উঠবো। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরা ফাতিরের ২৮ নাম্বার আয়াতে বলেছেন যে যারা আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে তারাই হচ্ছে আলেম উলামা বা জ্ঞানী।

দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই ধরনের আলেম কিন্তু এই 1400 বছরে খুব কমই পৃথিবীতে এসেছে। আল্লাহর দৃষ্টিতে বা ইসলামের দৃষ্টিতে বা কোরআনের দৃষ্টিতে যে প্রকৃত আলেম সেই প্রকৃত আলেম এতটাই কম এসেছে যার ফলশ্রুতিতে কোরআনের প্রকৃত অনুবাদ বা ভাবার্থ সেইভাবে করা হয়ে ওঠেনি। সুতরাং যারা এই অনুবাদগুলো করেছেন তারা সেই নূরের আলোকে নিজেকে উদ্ভাসিত করতে পারেননি। শুধু গদ্য সাহিত্যের মত করেই ডিকশনারী থেকে শাব্দিক অর্থ নিয়েই তারা অনুবাদগুলো করেছেন। এর যে কাব্য,দর্শন,ভাববাদ গুলো এর যে সুর লহরীগুলো সেটা তারা কখনো উপলব্ধি করেনি বা উপলব্ধি করতে চায়নিবা আরো সরাসরি বললে উপলব্ধি করতে পারেননি ।

যেমন ধরুন-“ শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।” স্বাভাবিকভাবে এর অনুবাদ যদি কেউ করে বা এটাকে যদি কেউ ইংরেজিতে বা আরবিতে বা উর্দুতে বা হিন্দিতে অনুবাদ করে যারা এই অনুবাদটা পড়বে তারা কিন্তু এর মূল ভাব অর্থ কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না — শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির এর দ্বারা লেখক সত্যিকার অর্থে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছিল? তা কখনোই অন্য ভাষায় যখন এর শুধু শাব্দিক বা গদ্যরীতির অনুবাদ করা হবে সে ভাষার পাঠকেরা উপলব্ধি করতে পারবে না এমনকি নিজ ভাষায় (বাংলা ভাষায়ও কেউ বুঝতে পারবে না) যতক্ষণ না পর্যন্ত পাঠক তার নিজের নফসটাকে, তার জ্ঞানটাকে ওই লেভেলে নিয়ে যেতে পারবে যে এই কবিতার ছন্দের মূল বক্তব্যটা আসলে কি? লেখক সত্যিকার কি বোঝাতে চেয়েছিল? শৈবাল দীঘির জীবন কাহিনী নাকি মানুষের স্বার্থপরতা, হীনতা আর শঠতার জ্বলজ্যন্ত বাস্তবতা?

আরেকটা লাইন যেমন ধরুন “গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা, কুলে একা বসে আছি নাহি ভরসা।” স্বাভাবিকভাবে এর যদি কোন অনুবাদ অন্য কোন ভাষায় হয় অথবা কোন বাঙালি যদি এটা বুঝতে চায় যার ওভাবে সেই দার্শনিকতা, সেই জ্ঞান, সেই প্রজ্ঞার মাত্রা সেই পর্যায়ে যায়নি সে কিন্তু উল্টো এই লাইন যে লিখেছে তাকে বোকা নির্বোধ ভেবে বসবে। সে শাব্দিক অর্থ করবে- গগনে অর্থ আকাশে, গরজে অর্থ- শব্দ করছে তার মানে আকাশে মেঘ শব্দ করছে। ঘন বরষা মানে- প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। কুলে একা বসে আছি নাহি ভরসা পড়েই সে বলবে- আরে ব্যাটা তুমি কুলে একা বসে আছো কেন? আকাশে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, মেঘের প্রচন্ড শব্দ হচ্ছে- আর তুমি কুলে একা একা বসে আছো? বাড়ি যাচ্ছ না কেন? পাগল নাকি তুমি?

আবার বলছো যে নাহি ভরসা? বৃষ্টির দিনে ছাতা নিয়ে বের হওনি এখন ভরসা থাকবে কিভাবে? বোকার হদ্দ ।

আবার যদি সে পড়ে এমন একটা লাইন — যে “ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট এ তরী আমার সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।”

সে বলবে তুমি এত বোকা কেন? ছোট্ট একটা তরী ছোট্র একটা নৌকা। সেটার মধ্যে তুমি ধান দিয়ে সব ভরে ফেলেছো। এখন বলছো যে সব ভরে গেছে ধানে। হায়হায় এখন আমি কিভাবে বাড়ি ফিরে যাব ? কিভাবে নদী পার হব? ঢং করার আর যায়গা পাওনা? অথচ এই কবিতায় লেখক সুনিপুনভাবে মানুষের মৃত্যুর সময়ে দুনিয়ায় গড়া সব অর্থ সম্পদ ফেলে রেখে একাই চলে যেতে হয়। কিছুই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় না, সেই চরম বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন।

তাহলে আমরা বুঝলাম যে, যেকোনো কাব্যের লাইনের সেটা যে ভাষারই হোক না কেন- তার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করতে গেলে বা উপলব্ধি করতে গেলে শুধুমাত্র ডিকশনারী দেখে শব্দে শব্দে অনুবাদ করলেই সেটা কখনোই 100% এর 50% তো দূরের কথা 5% অনুবাদও হবে না। এবং যে উদ্দেশ্যে লিখেছে শতভাগ ঝুঁকি থাকে যে তার মূল অর্থটাই পুরোপুরি বিকৃত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এরকম শত সহস্র লাইন বা আয়াতের উদাহরণ দেয়া যায়। যেমন “মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না।” “লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা।” হাতের কাছে ভরা কলস, তৃষ্ণা মেটে না।” “বাড়ির পাশে আরশি নগর, সেথা এক পরশী বসত করে।” খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়?“তারে ধরতে পারলে মন বেরি দিতাম পাখির পায়।” “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে!”“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি” “বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থাকি করো শিল্পের বড়াই।” এরকম অজস্র লাইন আছে । এই পদ্যের এই কাব্যের লাইনগুলো দার্শনিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে কোরআনের মর্ম কখনোই বোঝা যাবে না।

আর তৃতীয় যে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হচ্ছে মূর্ছনা,সঙ্গীত, সুর লহরি। কোরআনের অনেক আয়াত আছে যেগুলো সুর লহরি দিয়ে যদি আপনি না পড়েন বা সেই অন্তরের অন্তঃস্থলের উপলব্ধি আপনি না আনেন তাহলে কখনোই এর মূল মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারবেন না। যেমন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। স্বাভাবিকভাবে আপনি যদি পড়েন এটার মূল মর্মার্থ কখনোই আপনার উপলব্ধিতে আসবে না। কিন্তু যদি আপনি একা অন্ধকার ঘরে, খুব গভীর রাত্রে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেন- খুব সুর‑লহরী দিয়ে যদি বলেন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আমি ঠিক বোঝাতে পারবো না কিন্তু যখন মনে মনে আপনার অন্তরের অন্তঃস্থলে সুরটা চলে আসবে যখন হৃদয়ের আকুলতা দিয়ে আল্লাহকে বলবেন আর আরবিটাকে আপনি সুর লহরি দিয়ে যদি গানের মত করে গেয়ে দেখেন সুর লহরি দিয়ে আল্লাহর উপলব্ধি অন্তরে আনতে পারেন, আপনি দেখবেন যে এটা আপনার শরীরটাকে ‚অন্তরটাকে আলোড়িত করবে। কোরআনের অজস্র আয়াত আছে আপনি যদি পড়েন আপনার হাতের লোম দাঁড়িয়ে যাবে, পুরো শরীর দেহ মন কম্পিত হবে, আপনার চোখে পানি চলে আসবে.অশ্রু ঝরে পড়বে। আপনি বুঝবেন সকল প্রশংসা ‍ কৃতজ্ঞতা একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য।কত শত নিয়ামতে আপনাকে তিনি ডুবিয়ে রেখেছেন। একটু মধ্যম মানের মুত্তাকী হলে সুরা আদিয়াতের ইন্নাল ইনসানা লি রাব্বিহি লাকানুদ- নিশ্চয়ই মানুষ তার রবের প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ আয়াতটা পড়লেও দেখবেন যে আপনার খুব খারাপ লাগবে,কষ্টে বুক ফেটে যাবে, শত সহস্র নিয়ামতে আল্লাহ আপনাকে ডুবিয়ে রাখলেও কিকি দেয়নি তা নিয়ে সব সময় আপনি হতাশ থাকেন, আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞতা না শোকরি করে থাকেন- ভেবে আপনার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরবে। এরকম অজস্র আয়াত, প্রচুর কাব্যিক ছন্দ, কোরআনে আল্লাহ দিয়েছেন যেগুলো আসলে সুর লহরি ছাড়া পড়লে তার শতভাগ মর্ম আপনার হৃদয়ে কখনোই আসবেনা।

দূর্ভাগ্যজনক আমরা কুরআনের বাকি দুইটা পার্ট উপেক্ষা করে শুধুমাত্র একটা পার্টে সারা জীবন পেরে থাকি। গদ্য সাহিত্য আকারে শুধু শাব্দিক ভাবেই পড়ে যাই। যদিও সেই শাব্দিক অর্থ গুলোও ইরানী পার্শিয়ানদের ফার্সি ভাষা থেকে কপি পেস্ট করা। যাতে প্রকট প্রভাব রয়েছে তাদের এক সময়কার রাজধর্ম জরুথ্রষ্টবাদের। ইহুদী খ্রিষ্টান থেকে ইসলাম গ্রহন করা কাব আল আহবার, মুনাব্বে, দরবারি আলেম আবু হুরায়রাদের মনগড়া বিকৃত হাদীস, সিরাত ‍ও ইসরাইলিদের ইহুদী রেওয়াতের।

তাছাড়া প্রতিটি শব্দ ওয়ার্ডস বাই ওয়ার্ডস অর্থ করলে আমরা এর ছন্দ,কাব্য- এর দার্শনিক ভাবানুবাদ কখনোই পাবো না। যে কবিতার ছন্দ বা কাব্যের উদাহরণ একটু আগে দেখলাম “গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা- শৈবাল দীঘিরে বলে, লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা, হাতের কাছে ভরা কলস- তো এরকম অজস্র লাইন কোরআনে খুঁজে পাবেন যার ভাবানুবাদ বা দার্শনিক চিন্তা শৈলী প্রয়োগ না করে যদি শুধু পড়ে যান এর মর্মার্থর ৫% ও আপনার হৃদয়ে আসবেনা।

আর তিন নাম্বার গুরূত্বপূর্ণ বিষয়‑কুরআনের সুর লহরি উপলব্ধি করতে হবে। এজন্য কুরআনে সুরা মুজাম্মিলে ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে তারতীল বা ছন্দ বা সুর লহরি দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআন পড়তে বলেছেন। আশ্চর্যজনক ভাবে হুজুররা এই সুর মূর্ছনা হারাম ঘোষণা করেছে আবার মজার ব্যাপার হলো ওয়াজ মাহফিলের মাঠে ময়দানে আজানে বা গজলে অথবা সদ্য নামকৃত তাদের ইসলামি সঙ্গীত সুর লহরী ছাড়া জমেনা।শায়েরি হিন্দি উর্দু ফার্সি গজল ছাড়া তারা ইসলামি দর্শন প্রকাশ করতে পারে না, এমনকি উর্দু হিন্দু বাংলা গানের সুর চুরি করে তারা ইসলামি জলসা ও আসর জমায়, কাওয়ালী, দামা দাম মাসকালেন্দার, শাহ আলী, খাজা বাবাদের শানে তারা তালে তালে মাজার আর দরগাহ মাতায়। দুরুদ কিয়াম মিলাদ আর নাতে রাসুল নাম দিয়ে সুর লহরীর মূর্ছনায় তারা ভাসিয়ে দেয় তারা জলসা আর মেহফিল।এদের স্ববিরোধীতার উপাখ্যান যেন এক আবেগি তাওহিদি জনতার অশ্রুসিক্ত কান্নার জল।

যত ঐশী গ্রন্থ, যত আসমানী কিতাব এই পৃথিবীতে আল্লাহ পাঠিয়েছেন কোরআন কিন্তু মোটেই তার ব্যতিক্রম নয়। আর ঐশী গ্রন্থের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে টপ ক্লাস উঁচু মানের সাহিত্য থাকে এর মধ্যে। বিশ্ব মানের ওয়ার্ল্ড ক্লাস দর্শন ফিলোসফি- ভাববাদে পরিপূর্ণ থাকে এর প্রতিটি পাতার প্রতিটি ছন্দ ব্যঞ্জনা। তবে সব কিছুকে ছাড়িয়ে আসমানী কিতাবের শ্রেষ্ঠত্ব যেখানে অবিষ্মরনীয় হয়ে ওঠে তা হচ্ছে এর সারবস্তু ‑লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের নুরানি আলোকঁবর্তিকা। একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে অসাধারণ মানুষ হয়ে উঠবে, মহামানবে রুপান্তরিত হবে, পরিণত হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষে, তার সহজ সরল মৌলিক সারাংশ থাকে এর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার একটা মানুষ কিভাবে তার চারপাশটাকে তার মহান আদর্শের গুণে আলোকিত করবে তা থাকে এর সকল আদেশ নিষেধ এর সারকথা। তাইতো সুরা বাকারার ২১ আয়াতে দেখি আল্লাহ মানুষকে ইবাদত করতে বলেছেন শুধুমাত্র মুত্তাকী হওয়ার জন্য। সুরা বাকারার ১৮৩ আয়াতে রোজাও দিয়েছেন মুত্তাকী হওয়ার জন্য। সুরা হুজুরাতের ১৩ আয়াতে দেখি আল্লাহর কাছে এই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাবান হচ্ছে মুত্তাকীরা।সুরা মারইয়ামের ৭৪ আয়াতে দেখি হাশরের মাঠে বিশেষ অতিথি হিসেবে মুত্তাকীরা উপস্থিত হবে।কুরআনের পাতায় পাতায় শুধু মুত্তাকী হওয়ার ফিকির আর ওয়াজ। কোরআনে বর্ণিত মুত্তাকীর গুণগুলো আয়ত্ত করতে পারলে আপনি হবেন এই পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত। এই গুণগুলো আয়ত্ত করলে হাশরে নূর থাকবে আপনার পাশে।সেই গুণগুলো যখন একটা মানুষ আয়ত্ত করতে থাকে তখন তার আশেপাশে যারা থাকে সবাই আলোকিত হয়। সেই ঐশী নূরের তাজাল্লিতে সবাই ঝলসে যায তার পরিবারের মানুষ, সমাজের মানুষ, এমনকি সমগ্র দেশের মানুষও সেই নূরের তাজাল্লিতে আলোকিত হয়ে যায়। তাই এই কুরআনের ছন্দ সুর ভাববাদ দর্শন মানুষকে মহা মানবে রুপান্তরিত করার নির্যাস। আর উচ্চ মানের সাহিত্যিক মাপকাঠি যা ভাষায় প্রকাশ করা কখনোই সম্ভব নয়।

এর মধ্যে আর কি গভীর রহস্য থাকে? এর মধ্যে অতীত ‑বর্তমান ‑ভবিষ্যৎ, দৃশ্য ‑অদৃশ্য, গোপন- প্রকাশ্য, জীবন ও মরণের সার্বিক আধ্যাত্মিকতা, দর্শনতত্ব, দুনিয়ার জীবনে সফল মহামানবদের মহৎ আদর্শের বর্ণিল উপাখ্যান , জান্নাতে যাওয়ার নিরন্তর সাধনার প্রশান্তি,সেখানে গিয়ে মহান আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হয়ে “কুন ফায়াকুন” এর মালিক হওয়ার তীব্র আকুলতা,কুন ফায়াকুন এর ভয়ংকর শক্তি ও দাপটের মন্ত্রমুগ্ধতা- এত চমৎকারভাবে বর্ণিত থাকে যে খুব মনোযোগ দিয়ে হৃদয়ের গহীন থেকে — অন্তরের অন্তস্থল থেকে এগুলো না পড়লে ফিল করা যায় না উপলব্ধি করা যায়না।

একটা গ্রন্থের মধ্যে কত ক্যাটাগরি, সেকশন, শাখা প্রশাখা আধ্যাত্মিকতা লুকিয়ে থাকতে পারে? আমরা গণিত বই পড়লে শুধু অংকের চিন্তা আসে, ইংরেজি বই পড়লে ভাষার চিন্তা আসে, হিসাববিজ্ঞান বই পড়লে হিসাবের চিন্তা আসে, ফিজিক্সের বই পড়লে বিজ্ঞানের চিন্তা আসে কিন্তু এই ঐশী আসমানী গ্রন্থগুলো এমন গ্রন্থ যে এর মধ্যে সমস্ত কিছু আধ্যাত্মিকতা দর্শন ভাববাদ থেকে শুরু করে একেবারে প্রতিদিনকার আচার ব্যবহার,নারী পুরুষের প্রণয় বিয়ে অধিকার, দাম্পত্যকলহ, সম্পদ বন্টন, গরীব দুখি অসহায়ের হক, পদার্থ রসায়ন শারীরবৃত্ত, মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য বিগ ব্যাং, এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স সবকিছু এত চমৎকারভাবে কখনো থরে থরে সাজানো গোছানো কখনো হীরামুক্তার মতো ছিটিয়ে থাকে।

এটা উপলব্ধি করতেও একটা মানুষকে প্রচন্ড সাধনা করতে হয়। কারণ এই মুক্তার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আয়াতগুলো কোনটা কোন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে এবং সেই আয়াতগুলো থেকে কি কি শিক্ষণীয় তা ক্যাটাগরাইজ করাটাও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য বিষয়। এজন্যই আল্লাহ বারবার কোরআনে উপদেশ দিয়েছেন সবসময় পড়ো- পড়তে থাকো- কখনো রাতের কথা বলেছেন, কখনো সকালের, কখনো ফজরের, কখনো বলছেন সারাদিন তুমি কোরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করো, গবেষণা করো।

একবার দুবার পড়লেই যদি হৃদয়ঙ্গম করা যেত, এর মূল ফিলোসফি,ভাববাদ,আধ্যাত্মিকতা দার্শনিকতা উপলব্ধি ও আত্মস্থ করা যেতো তাহলে আল্লাহ এতবার পড়তে বলতে না।

কুরআনের এই নূরকে অন্তরে গেঁথে নিতে হলে আপনাকে সবসময় কুরআনের নুরের সাথে একটা প্রেমময় মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

আল্লাহ সূরা কাহাফের 109 নাম্বার আয়াতে বলেন “বলো, আমার প্রতিপালকের বাণী লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয় তবুও আমার প্রতিপালকের কথা শেষ হবার আগেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে। তারপর যদি এর অনুরূপ আরো সমুদ্র আনা হয় তাও শেষ হয়ে যাবে।(তবু আল্লাহর বাণী শেষ হবে না)

সুরা লুকমানের ২৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন-

“যদি পৃথিবীর সব গাছ কলম হয় ও সমুদ্র তার কালি হয় এবং সমুদ্রের সাথে আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হয় (এবং তা দিয়ে আল্লাহর কথা লেখা হয়) তবুও আল্লাহর কথা ফুরাবে না।

কত চমৎকার কথা যে আল্লাহ বলছেন যে 6000 সো চালার কথা বলা শেষ তাহলে কত কথা সমুদ্র সমকালই লাগতো পাঁচ ছয় সোয়া ছয় হাজার তাহলে বুঝতে হবে যে এক একটা আপনি 20 বছর বয়সে করলে ওই লাইনটার একরকমের ফিল আপনি পাবেন এক ধরনের মর্মার্থ আপনার মধ্যে আসবে আবার দেখা যাবে 10 এর পরে ওই একই লাইন পড়লে কারণ ওই একটা লাইনের মধ্যে লুকিয়ে আছে সেই আল্লাহ তো সমুদ্রের কথা বলে সেই কম্পেয়ার লাইনের মধ্যে দেখা যায় যে একটা নদীর মত জনি সেই নদী সম গভীরতা একটা লাইনের মধ্যে খুঁজে পাবেন তাহলে এখন রিয়াকশনটা কি হয়েছে এই আয়াতের (17:14) মর্মার্থের বাইরে গিয়ে এই পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গবেষণা শাদিকাল থেকেই সেই 1400 বছর আগে থেকেই কিছু নামধারী আলেম ওলামারা বাস্তব যুক্তি প্রমাণ বিবর্জিত সেই উপনিষদ কেউ উপনিষদ দিয়ে কেউ তালমুদ দিয়ে কেউ নিউ টেস্টামেন্ট দিয়ে কেউ বুখারী তিরমিজি সুনানে আবু দাউদ দিয়ে এই কোরআনকে এমন ভাবে সংকুচিত করে ফেলছে এই ঐশী গ্রন্থগুলোকে এই আসমানী কিতাব গুলোকে যে এর যে মূল ভাবার্থ এগুলো মানুষের মন মগজ থেকে একেবারে গায়েব করে ফেলে গায়েব করে দিয়ে উল্টো তারা কি করছে তারা আল্লাহর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে দিয়ে বলছে যে কোরআনে অনেক অনেক কিছু নেই (17:57) এটা খুবই সংক্ষেপ খুবই অল্প খুবই সামান্য এটা বুঝতে গেলে তোমার এই 70 লক্ষ 50 লক্ষ এক কোটি এই হাদিস তোমার জানতে হবে তা না হলে তুমি এই 626 আয়াতের কিছুই বুঝবে না শুধু এই 30 40 50 লক্ষ হাদিস দিয়েই তারা থেমে থাকেনি ওই হাদিসের উপরে আবার রিসার্চ করে আবার তার মধ্যে ইজমা ঢুকিয়েছে কিয়াস ঢুকিয়েছে লক্ষ লক্ষ ফতোয়ার বই বানিয়েছে তারপর বলছে ইসলাম বলতে তার বাইরে কেউ কিছু কল্পনাও করতে পারবে না আর সেই এর বাইরে কেউ কিছু কল্পনা করার সাহসও পাবে না তারপরও যদি কেউ তাদের সেই লাহুয়াল হাদিস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কোরআনের সাগরে ডুবে (18:34) যেতে চায় তাহলে তাকে কাফের মুরতাদ এসব ফতোয়া দিয়ে তার জীবন বিপন্ন করে ফেলে বিপর্যস্ত করে ফেলে এমনকি 72 হুরের লোভে খুনও করতে চায় হত্যাও করতে চায় একটা জাতিকে একটা কওমকে ধ্বংস করার একমাত্র পথই হচ্ছে তার উপর নাযিলকৃত আসমানি কিতাব সেই ঐশী গ্রন্থকে ঐশী সংবিধানকে ছলে বলে চলে যেকোনো ভাবেই হোক সেটাকে ভুলিয়ে দেওয়া এই একই কাজ অতীতে হয়েছে বর্তমানে হচ্ছে ভবিষ্যতে এবং প্রত্যেকটা জাতির ক্ষেত্রে একইভাবে করা হয়েছে আগে একটা সময় ছিল যখন বেদ পড়া স্পর্শ করা তো দূরের কথা পড়াটাও নিষিদ্ধ ছিল মানে পড়বে কি মানে স্পর্শ করাটাও দূরের মানে নিষিদ্ধ ছিল যদি (19:24) প্রমাণিত হতো যে অমুক নমশূদ্র পবিত্র বেদের বাণী শুনে ফেলেছে সাথে সাথে ওই পুরোহিত ওই ঠাকুর ওই ব্রাহ্মণ নামধারী যারা নিজেদেরকে বলতো তারা হচ্ছে নায়েবে অবতারা পিতল গলিয়ে সেই নমশূদ্রের কানে ঢেলে দিয়ে তাদের সেই উপনিষদ মানে সেই তাদের সহি হাদিসের আদেশ পালন করতো সহি হাদিসের ফতোয়া অনুযায়ী তারা তাই সেই তাদের তো সহি হাদিস মানে আমাদের ভাষায় বলছি সহি হাদিস তারা বলতো তারা বলে উপনিষদ সেই উপনিষদের সেই আইন অনুযায়ী এই কঠিন শাস্তি তারা দিত দিয়ে তারা মনে করতো তারা বিশাল পণ্য অর্জন করেছে সেই ঠাকুরেরা সেই পুরোহিতরা সেই ব্রাহ্মণরা এমনকি আপনি যদি (20:04) মধ্যযুগেও দেখেন সেই মধ্যযুগে ইউরোপেও সেই ফাদাররা সেই পাদ্রী এরা ছাড়া সাধারণ বাইবেল মানে ইঞ্জিল বাইবেল এটা পড়া সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের ঘরে যদি বাইবেল পাওয়া যেত তাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হতো একই সূত্র বিবর্তিত হয়ে আজকে এই মুসলিমদের কপালে এসে জুটেছে একটু অন্যভাবে এ কোরআন জানারও দরকার নাই বোঝারও দরকার নাই শুধুমাত্র পড়লেই সওয়াব শুনলে সওয়াব প্রতি অক্ষরে অক্ষরে সওয়াব আর আকারে আকৃতিতে নবী-রাসূলদের নকল সাজতে পারলেই তাদের কপি করতে পারলেই তাতেও তাতেও সওয়াব চার নাম্বার কারণ কোরআনের অনুবাদে গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য আরবি শব্দের সরাসরি (20:51) বাংলায় অনুবাদ না করে হুবহু আরবি অথবা উর্দু হিন্দি ফার্সি শব্দ রেখে দেওয়া হয়েছে এই কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন বোঝা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে যেমন আমি রুকু নিয়ে সিজদা নিয়ে ভিডিও করেছি সালাত নিয়ে করেছি রুকুর ভিডিও দেখলে বুঝবেন যে সিম্পল বাংলা অর্থটা যে বিনয় বিনম্র সেটাকে দেওয়া হয়নি সবখানে দেয়া হয়েছে রুকু তো মানুষ কি করে বুঝবে মানুষ তো মনে করবে কুজো হওয়া মানে হচ্ছে রুকু সিজদা তার সাথেও একই কাজ করা হয়েছে সালাতের সাথেও একই কাজ করা হয়েছে এই কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে এ কোরআন বোঝাটা কঠিন হয়ে গেছে এটা কঠিন তারা (21:32) বানিয়েছে সেই আলেম ওলামা সেই পাদ্রী পুরোহিত ঠাকুর যাই বলে ডাকেন না কেন নায়েবে অবতাররা তারা এই সুকৌশলে এই কাজটা করেছে যে সরাসরি এর বাংলা অনুবাদটা দেয়নি হুবহু ওই ভাষাতেই রেখে দিয়েছে আরবিতেই বড়জোর হিন্দি বা ফার্সি বা উর্দুতে রেখে দিয়েছে অধিকাংশ অনুবাদকরা ছিল পোষা আর ছিল পেশাদারী মানে এটা ছিল তাদের প্রফেশন আর সকল ভাষার অনুবাদকরা কি করছে তারা শুধু একে অন্যেরটা শুধু কপি করছে মানে কেউ ফার্সি থেকে হুবহু বাংলায় অনুবাদ করছে অথবা কেউ ফার্সি থেকে উর্দু বা হিন্দিতে অনুবাদ করছে অথবা কেউ উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ করছে সরাসরি সেই কোরআনের আরবির (22:16) জ্ঞানে পারদর্শী হয়ে ওইভাবে ডাইরেক্ট অনুবাদ করেছে এর সংখ্যা লাখে একজন দুজন পাওয়াটাও আপনার জন্য দুষ্কর হয়ে যাবে তারা শুধু কপি পেস্ট করছে অন্য ভাষা থেকে সুতরাং আগে যে আলোচনা গুলো করলাম যে এর মূল জ্ঞান মর্মার্থ উপলব্ধি করতে গেলে শুধু শব্দে শব্দে শুধু গদ্য গদ্যের উপরে শুধু ডিপেন্ড হলে তো হবে না কারণ কোরআনে গদ্য আছে পদ্য আছে সুর লহরি আছে মর্মার্থ আছে ভাবার্থ আছে দার্শনিকতা আছে সেই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অনুবাদটা করতে হবে মর্মার্থের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অনুবাদ করতে হবে আর শব্দে শব্দে অনুবাদ করলে গগনে গড়জে মেঘ ঘন ভরসা কুলে একা বসে আছি নাহি (22:57) ভরসা ঐরকম হুবহু এরকম অনুবাদ করলে কি হবে তখন উল্টো ভুল বুঝবে যে এই লোক কি বোকা যে আকাশে এত ঝড় তুফান হচ্ছে আর সে একা একা কুলে বসে আছে তখন এরকম মনে হবে কিন্তু এর গভীরতা বোঝা যাবে তখনই যখন এর দার্শনিক এবং ফিলোসফিক্যাল এবং ভাববাদী মানসিকতা নিয়ে যখন এটাকে অনুবাদ করা হবে আর এইভাবে স্বাধীনভাবে অনুবাদ করার সামর্থ্য কারো ছিল না আর কেউ সাহসও করেনি তারা শুধু আগের যুগে যারা করে গেছে একজন করলো সেই বুখারী সাহেব তারটা কপি করছে হানাফী হানাফী সাহেব অথবা হানাফিরটা করছে তারপরের প্রজন্ম তারটা করছে তারপরের প্রজন্ম ওই প্রজন্মের (23:34) পর প্রজন্ম ধরে শুধু আগের যুগের আলেম ওলামারা কে কি লিখে গেছে ওই সেটাকে শুধু তারা তোতা পাখির মত মুখস্ত করছে করে শুধু সেগুলাই তারা যা লিখে গেছে 1300 1200 1000 সাল আগে সেগুলোকে শুধু ধরে ধরে শুধু বই পুস্তক আকারে শুধু সেগুলোই মুখস্ত করছে কিন্তু কোরআন নিয়ে সূরা মোহাম্মদের 24 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ যে বলেছেন তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না গবেষণা করে না নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ এরকম অন্তরে সবারই অন্তর তালাবদ্ধ ছিল অন্তরে তালা দিয়ে তারা শুধু তাদের আগের প্রজন্মগুলো যা যা অনুবাদ করে গেছে যা বুঝে গেছে শুধু চোখ বন্ধ করে তাই শুধু (24:09) তোতা পাখির মত মুখস্ত করে এরপরে কোন কাজটা করছে আল্লাহর কিতাবের প্রত্যেকটা পৃষ্ঠার ফুট নোটে উপরে নিচে ডানে বায়ে এমনকি অনুবাদের যেখানে সেখানে লাহুয়াল হাদিস ঢুকিয়ে দিয়েছে ফেকা ঢুকিয়ে দিয়েছে ফতোয়ার ঢুকিয়ে দিয়েছে বনী ইসরাইলের বিভিন্ন হাদিস ঢুকিয়ে দিয়েছে ইঞ্জিল থেকে বাইবেল থেকে বিভিন্ন কোটেশন বিভিন্ন রেওয়ায়েত এর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে ঢুকিয়ে দিয়ে এই বনি ইসরাইলের রেওয়াতের হাদিস বনি ঈসাদের মানে বাইবেলের রেওয়াতের হাদিস লাহুয়াল হাদিস বিভিন্ন ফেকা ইজমা কিয়াস এগুলো ঢুকিয়ে দিয়ে যারা কোরআন পড়বে তাদের যে স্বাধীন চিন্তাশক্তি এটাকে (24:49) পুরোপুরি বন্দি করে ফেলেছে স্বাধীন চিন্তাশক্তিটাকে আল্লাহর সাথে ডাইরেক্ট কানেকশনের যে একটা মানসিকতা নিয়ে সে যেটা বোঝার চেষ্টা করবে সেটাকে একেবারে জিন্দা কবর দিয়ে ফেলেছে আর এই যে এই সকল ফুটনোট এই ফতোয়া এই বনী ইসরাইলের রেওয়াতের হাদিস এগুলা ওগুলা এটা সেটা ইজমা কিয়াস এগুলো ফুটনোট দেয়ার কারণে আর এগুলো যেহেতু কোরআনের মধ্যেই মানুষ যখন পড়ে কোরআনের মধ্যেই যখন এগুলো ডানে বায়ে উপরে নিচে লেখা দেখতে পায় তখন সাধারণ যারা কোরআন পড়তে যায় সাধারণ মানুষ তারা মনে করে যে এগুলো কোরআনের মত এগুলো মনে হয় ঐশী বাণী এই কারণে তারা আরো দ্রুত বেগে (25:26) বিভ্রান্ত হয় পথভ্রষ্ট হয় কারণ তারা ওগুলোকেও সে কোরআনেরই অংশ মনে করে এবং ধারণা করে যে এগুলো সম্ভবত কোরআনের সাথেই নাযিল হয়েছে বা আল্লাহ এইভাবেই বুঝিয়েছেন এই বিষয়গুলোকে এরপরের কারণটা হচ্ছে যে যত কোরআনের সংকলন হয়েছে বা যত অনুবাদ হয়েছে যারা করেছেন এরা হয় পেশাদার ছিলেন আর নয়তো কোন অনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে কখনোই তারা প্রভাবমুক্ত ছিলেন না আগেই আলোচনা করছি যে কোরআনে মূলত দুই ভাগে বিভক্ত একটা হচ্ছে আদেশ নিষেধ সূচক মুকামায়াত আরেকটা হচ্ছে রূপক সূরা আল ইমরান আয়াত সাত তো এই আলেম ওলামাদের ধারণা হচ্ছে যে এই পবিত্র গ্রন্থের (26:05) আয়াতের কিছু অংশ হচ্ছে নির্দেশ সূচক আর বাকি অংশ হচ্ছে রূপক ধারণাটা অবশ্যই সত্য কিন্তু তার চেয়েও কঠিন সত্য হচ্ছে কুরআনের আয়াত এমনকি প্রত্যেকটি শব্দের একটা ব্যর্থবোধক আর একটা রূপক অর্থ আছে অর্থাৎ সম্পূর্ণ কুরআনটাই একদিকে যেমন আদেশ‑নিষেধ সূচক আবার অন্যদিকে ভাববাদী রূপক আর এটাই হচ্ছে কোরআনের মূল আর অনুবাদকরা তাদের যে অনুবাদ করেছেন এই এই দুটোর মধ্যে একটা জগা খিচুড়ি করে ফেল তারা কখনো মুহকাম গুলোকে সেই মুতাশাবিয়ার মধ্যে নিয়ে গেছেন কখনো মুতাশাবিয়া কোনটা মুহকাম এটা এমন ভাবে জগা খিচুড়ি করে ফেলছেন যে তারা নিজেরাও কনফিউজড হয়ে (26:47) গেছেন যখন তারা অনুবাদ গুলো করতে গিয়েছেন আর এতে কি হয়েছে সাধারণ মানুষের মর্মার্থ বুঝতে আরো বেশি কষ্ট হয়ে আরো বেশি যন্ত্রণার মধ্যে তারা পড়ে আর পরিণামে সমাজের যারা চতুর যারা যারা উশৃঙ্খল অশান্তি সৃষ্টিকারী সঘোষিত নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেষী তারা এই সুযোগের পুরোপুরি সৎ ব্যবহার করছে করে আল্লাহ ছয় দিনে পৃথিবী আকাশ সৃষ্টি করেছেন তারপরে পৃথিবী চ্যাপটা বিছানার মত সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আল্লাহ যে আরেক আরেক জায়গায় বলেছেন যে আমাদের দৃষ্টিতে যে সূর্য কেন্দ্রিক যে আমরা দিন‑রাতের হিসাব করি আল্লাহর কাছে কিন্তু দিন‑রাতের হিসাব সূর্য কেন্দ্রিক না (27:23) আল্লাহ বলেছেন যে তোমাদের কাছে একদিন হচ্ছে 50000 বছর তো ওইটা ওই আয়াত আর আমাদের চোখের পড়েনি আমরা এই ছয় দিন দেখে এই ছয় দিন সূর্য দিয়ে আমি কয়েকদিন আগে যে শনিবার নিয়ে যে পবিত্র দিন নিয়ে ভিডিও করেছি সেখানে অনেকে দেখি এইরকম সে বোঝেই না যে আল্লাহর কাছে একদিন আর আমাদের কাছে একদিনের ব্যাখ্যা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন যে আমাদের কাছে একদিন যে সূর্য কেন্দ্রিক কিন্তু আল্লাহর কাছে একদিন কিন্তু সূর্য কেন্দ্রিক না আল্লাহর কাছে একদিন একদিন যে কি কেন্দ্রিক এটা শুধু আল্লাহপাক নিজেই জানেন তবে শুধু তিনি বলেছেন যে তোমাদের হিসেবে হচ্ছে 50000 (27:55) বছরের সময় কিন্তু এটা নিয়ে খুব এলোমেলো কমেন্ট করছো সেই ভিডিওটা করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় তো এই জিনিসগুলো নিয়ে তারা তর্কাতর্কি করে কারণ এটার মধ্যে যে আল্লাহ যে সেই রূপকতা ব্যবহার করেছেন এটা এটা সবাই শুধু ওই ডাইরেক্ট শাব্দিক অর্থ করে নিয়েছেন ছয় দিন বলতে আমাদের হিসেবে সেই শাব্দিক ছয় দিন ধরে নিয়েছেন তারপরে পৃথিবী চ্যাপটা বিছানার মত সৃষ্টি করেছেন সূর্য কর্দমাক্ত জলের মধ্যে ডুবে যায় আবার সূর্য উঠার সময় আল্লাহর আরশের নিচে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে উল্কা নক্ষত্র দিয়ে আল্লাহর নির্দেশে দুষ্ট জিনের পিছনে ধাওয়া করে বেবি হাওয়াকে আদমের পাজর থেকে (28:31) সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ রাসূলের মিরাজ তারে হচ্ছে চোরের হাত কেটে দাও বিভিন্ন জিনিস নিয়ে তর্কাতর্কি ঝগড়া বিবাদ ফ্যাসাদ লেগেই আছে দাসীদের সাথে সেক্স করা তো এগুলো নিয়ে মুসলিমরা নিজেরাও কনফিউজড হয়ে কারণ সব জায়গায় শুধু শাব্দিক অর্থই করা কোথাও এর অন্য আয়াতের সাথে এর সামঞ্জস্যতাও দেখা হয়নি আবার এর যে রূপক বিষয়গুলো আল্লাহ যে কি বুঝিয়েছেন সেটা বোঝার মতো সেই দার্শনিকতা সেই মুত্তাকী হওয়ার সেই কোয়ালিটি গুলো অর্জন না করেই তারা এগুলো ডাইরেক্ট ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড অর্থ করার কারণে রুকু সেজদা সমস্ত কিছু ডাইরেক্ট এরকম করার কারণে তারা নিজেরাও (29:09) বিভ্রান্ত হয়েছেন আর যারা কোরআন পাঠ করতে চান কোরআন বুঝতে চায় তাদেরকে একটা চরম মুসিবতের মধ্যে তারা ফেলে দিয়েছেন তবে এই কথা মানে স্বীকার করতে কোন দ্বিধা নাই যে কোরআন বুঝতে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এই প্রচলিত এর মাধ্যমে কোরআন তো বোঝা যায় না বরঞ্চ কোরআনকে উল্টো বোঝার সম্ভাবনা বেশি এবং যাকে আমি এর আগের একটা ভিডিওতে বলেছিলাম যে বলা হয় হাদিস হচ্ছে কোরআনের ব্যাখ্যা কিন্তু হাদিস দিয়ে যদি আপনি কোরআন বুঝতে চান তখন দেখবেন যে আসলে হাদিস তখন কোরআন আপনি অপব্যাখ্যা করে ফেলবেন হাদিস হচ্ছে কোরআনের অপব্যাখ্যা কয়েকটা এক্সাম্পল দেই (29:46) কোরআনের অজস্র আয়াত আছে যে আল্লাহ বলেছেন যে তোমরা সেইদিনকে ভয় করো যেদিন কোন সুপারিশ চলবে না হাশরের মাঠে কোন সুপারিশ চলবে না একমাত্র আল্লাহ যাকে ফেভার করবে শুধু আল রহমানির রাহিম তিনি দয়া করে যাকে ক্ষমা করবেন সমস্ত ফোকাস সমস্ত লাইয়াবিলিটি সমস্ত পাওয়ার সমস্ত অথরিটি এভরিথিং থাকবে আল্লাহর কন্ট্রোলে এই আয়াত পড়ার পরে মানুষের কি করা উচিত যেকোনো মানুষ কি করবে সবসময় আল্লাহর সাথে রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করতে চাইবে আল্লাহর যে দয়ার সাগর সেই সেইভাবে আল্লাহর দয়ার প্রত্যাশী হয়ে মানুষের প্রতি ওইভাবে দয়া করবে যে ভাববে যে আমি যদি মানুষের প্রতি (30:20) দয়া করি অনুগ্রহ করি আল্লাহ তো এভাবে বলে দিয়েছেন তোমরাও মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো আল্লাহ আমার প্রতি নিশ্চয়ই হাশরের মাঠে অনুগ্রহ করবেন তো মানুষ সবকিছুতে তখন একটা মানে আতঙ্কের মধ্যে থাকবে ভয়ের মধ্যে থাকবে যে আমার হাশরের মাঠে যেন কি হয় কিন্তু এই সুপারিশটাকে আয়াতটাকে লুকিয়ে রেখে এই ইজমা কিয়াস এই লাহু আল হাদিস দিয়ে বানানো হয়েছে যে শুধু নবী রাসূলরা না অলি আউলিয়া গাউস কুতুব এমনকি যে হাফেজ সেও 70 জনকে নিয়ে যাবে সুপারিশ করে জান্নাতে তাহলে এটা কি হলো এই হাদিসগুলো দিয়ে কোরআনের ব্যাখ্যা হলো না অপব্যাখ্যা হলো কোরআনে আছে যে মৃত্যুর পরে (30:55) মানুষ ঘুমের মধ্যে যেমন থাকে ঘুমটা মৃত্যুর মত ওরকম থাকবে ইসরাফেল সিঙ্গে ফুঁ দিবে সবাই উঠবে উঠে বলবে কে আমাকে ঘুমে ঘুম থেকে জাগালো মানে কোন শাস্তি নাই কোন পানিশমেন্ট নাই হাশরের মাঠে সবার বিচার আচার হবে সবাইকে আমলনামা তার হাতে দেয়া হবেন সিজিনে যে আমলনামা রাখা হবে মৃত্যুর পরে যে রাখা হবে হাশরের মাঠে আবার তার হাতে দেয়া হবে সে নিজেই নিজেরটা পড়তে পারবে বলবে যে তুমি নিজে পড়ো যে দেখো তুমি এখানে কি লেখা তখন সে ওই আমলনামা পড়ে অনেকে খুব আনন্দিত হবে আবার অনেকে নিজের কপাল থাবড়াবে হাত কামড়াবে কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে (31:29) না এর আগেও মরার পরেই কবরের মধ্যে মাটিতে চাপ দিবে ফেরেশতারা এসে মারধর করবে সাপে এসে ঠোকরাবে মারবে ওই করবে সেই করবে মানে দুই চার পাঁচ হাজার বছর ধরে আপনি এভাবে শাস্তি পেতেই থাকবেন বিনা বিচারে তাহলে কি কোরআনের ব্যাখ্যা হলো না অপব্যাখ্যা হলো এই সুযোগটা আবার এই এক শ্রেণীর ধর্ম ব্যবসায়ীরা নিয়েছে যে আসেন আমাদের টাকা দেন আপনার বাবা-মা কবরে তো অনেক শাস্তি পাচ্ছে ৳2000 টাকা দেন দোয়া করে দেই 20000 টাকা দেন বিশাল আয়োজন করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন এই করে দেন সেই করে দেন বিশাল ধর্ম ব্যবসা আরো চালু হয়ে গিয়েছে কবর কবর ব্যবসা বা (31:59) মাজার জিয়ারত করতে হবে আপনার সেই বাবা-মা যারা কবরে সায়িত আছে তাদের মাজার জিয়ারত করে দেই আবার তাদের সেই মাজার ব্যবসাটাও খুব ধুমধুমার চলছে যে আমাদের সেই অলি আউলিয়া গাউস কুতুব তিনি মাজারে এখনো তার কবরে এখনো জিন্দা আছেন ওইখান থেকে আপনাদের ফয়জের নূর দিচ্ছে আসেন এখানে এসে দান সদকা করে যান এখানে খরচ টরচ করে যান এখানে সবাইকে খুশি করে যান বিভিন্ন ধান্দাবাজি ব্যবসা-বিজ খুব কবরে আজাব দিয়ে দারুণ ভাবে চলে যাচ্ছে আর এই সিস্টেমটা যদি কোরআনের অনুযায়ী যদি এটাকে উঠিয়ে দেয়া হতো মাজার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেত আর মানুষ তখন কি করতো চিন্তা করতো যে আমার বাবা-মা (32:33) কবরে আছে তাদের আজাব টাজাব মাফ করার তো আমরা কিছুই জানিনা আমাকেও একদিন মরতে হবে আর কোন লাভ নাই যে মানুষ বলবে যে আল্লাহ আমাকে আবার পাঠাও পৃথিবীতে কিছু ভালো কাজ করে আসি না মৃত্যুর আগে যা করার করতে হবে তার মানে মৃত্যু হয়ে গেলে আর আমার সব দরজা বন্ধ আমার মৃত্যুর আগেই আমার পাথেও অর্জন করে নিতে হবে এইভাবে মানুষ তখন মৃত্যু নিয়ে একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতো কিন্তু এখন চিন্তা করে মরে গেলেও তো সেই কবরে তিন চার পাঁচ ধরনের সব নাকি পৌঁছাতেই থাকে পৌঁছাতেই থাকে মানে ইল্লিনসিনে সেই ফেরেশতারা বারবার ওখানে যাবে আমলনামা খুলে খুলে আবার শুধু লিখতে থাকবে লিখতে থাকবে (33:07) এইভাবে কোরআনকে আরো অজস্র অজস্র আয়াত আছে যেগুলো অপব্যাখ্যা করে পুরো পুরো কোরআনটাকেই পুরো যেই উদ্দেশ্যে বা যেই মূল মর্মার্থগুলো এগুলোকে ঢেকে রেখে এগুলার বিরুদ্ধে হাদিস বানানো হয়েছে কোরআনে বলা হয়েছে কোন নবী রাসূলের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে না সেইখানে অমুক নবী শ্রেষ্ঠ নবী অমুক নবী ফার্স্ট ক্লাস নবী অমুক নবী সেকেন্ড ক্লাস অমুক নবী থার্ড ক্লাস এইভাবে নবীদের পার্থক্য করে আমরা ডাইরেক্ট আল্লাহর আদেশ ভায়োলেট করছি কোরআনে বলা আছে যে আল্লাহই হচ্ছে তোমাদের আউলিয়া আল্লাহই হচ্ছেন তোমাদের মুর্শিদ আল্লাহই হচ্ছেন তোমাদের মাওলানা সেখানে ডাইরেক্ট আল্লাহর লকব গুলো (33:39) চুরি করে ডাকাতি করে আমরা নিজেদের নামের আগে মাওলানা লাগাচ্ছি মুফতি লাগাচ্ছি মুর্শিদ লাগাচ্ছি আউলিয়া লাগাচ্ছি ডাইরেক্ট নিজেদের আল্লাহ বানিয়ে ফেলছি মানে আল্লাহ দাবি করছি নমরুদ ফেরাউন যে কাজটা করছে ঠিক হুবহু সেম টু সেম কাজে এরা বর্তমানে অজস্র মুসলিম নামধারীরা একই কাজ করছে নমরুদ ফেরাউন যেভাবে নিজেকে আল্লাহ দাবি করছে এরাও ঠিক একইভাবে নিজেদের আগে মাওলানা বসিয়ে মুফতি বসিয়ে আল্লামা বসিয়ে মুর্শিদ বসিয়ে আউলিয়া বসিয়ে সেইম কাজটা করছে তো এইজন্যই বলছিলাম যে কোরআন এই লাহুয়াল হাদিস দিয়ে যখন আপনি কোরআন বুঝতে যাবেন কোরআন তো ব্যাখ্যা (34:15) এগুলা দিয়ে কখনোই হয় না বরঞ্চ এগুলো দিয়ে কোরআন বুঝতে যাওয়া মানে হচ্ছে কোরআনের উল্টো অপব্যাখ্যা হয়ে যাবে আপনি বুঝবেন তো নাই উল্টো পথভ্রষ্ট হয়ে যাবেন আর এর মাধ্যমে যে শুধু আপনারাই পথভ্রষ্ট হবেন তা না অনেক মুসলিম একেবারে ডাইরেক্ট নাস্তিক হয়ে যায় যে কোরআনের এরকম এলোমেলো কথা দেখে বিভিন্ন এমন এমন অশ্লীল হাদিস আছে যেগুলো শুনলে আল্লাহর রাসূলকে হাদিস নিষিদ্ধ করেছেন তিন চারটা সিরিজ করেছিলাম দেখলে বুঝবেন যে এমন এমন জঘন্য হাদিস আছে আপনি তাজ্জব হয়ে যাবেন এই দুদিন আগে যে হজ ও কুরবানির একটা ভিডিও করেছি ওখানে দেখবেন যে আল্লাহ যেখানে (34:44) বলেছেন যে কুরবানির পশুর গলার মালার কথা বলেছেন সেখানে আল্লাহর রাসূলের নামে হাদিস বানানো হয়েছে তিনি পশুর গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘুরাইতেন একটা দুটো না অজস্র হাদিস এরকম বানানো হয়েছে যে তিনি এই কুরবানির পশুর গলায় জুতার মালা দিতেন এইরকম কাজ করা হয়েছে তারপরে বলা হয়েছে যে আল্লাহর এই ধর্মকর্মের বিনিময়ে কোন কিছু নেয়া হচ্ছে হারাম পুরোপুরি নিষিদ্ধ এদের পেটে আগুন খায় সেইখানে হাদিস এনে পুরো কোরআনের আয়াতগুলো কোরআনের অজস্র আয়াতে এরকম আছে যে আল্লাহর দিকে ডেকে কোন টাকা-পয়সা কারো কাছ থেকে নেয়া যাবে না সেখানে বিভিন্ন (35:16) হাদিস এনে এই কোরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে গিয়ে সেম কাজটা করা হচ্ছে তাহলে এই লাহু হাদিস দিয়ে আপনি কখনো যখন বুঝতে যাবেন তখন তো আপনি আরো মুসিবতে পড়বেন এবং অবধারিত সুনিশ্চিত আপনি পথভ্রষ্ট হবেন এবার আমরা দেখি সূরা আনামের 159 নাম্বার আয়াত আল্লাহ বলছেন ধর্মে যারা ভিন্ন ভিন্ন মতের সৃষ্টি করেছে এবং দলে উপদলে বিভক্ত হয়েছে তাদের উপর আপনার মানে রাসূল আপনার কোন দায়িত্ব নেই তাদের কাজকর্ম আল্লাহর উপরে ছেড়ে দিন তিনি এদের কৈফিয়ত তলব করবেন মানে কি মানে হচ্ছে শিয়া সুন্নি হানাফী শাফি ওয়াহাবী আহমদী ইত্যাদি যারা আছে যত দল আছে উপদল আছে এদের (35:51) তো ভিতরে তো অনেক আরো অনেক অজস্র উপদল আছে এরা এরা সবাই হচ্ছে আল্লাহর রাসূলের সমর্থনের আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন যে এদের উপর আপনার কোন দায়িত্ব নেই সূরা কাহাফের 57 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর বাণী স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরেও সে যদি তা অস্বীকার করে এবং তার কৃতকর্ম ভুলে যায় তবে তার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে আমি তাদের হৃদয়ের উপর ঢাকনা দিয়েছি যেন তারা কোরআন বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে সিল করে দিয়েছি অতঃপর তুমি তাদের বুঝালেও বুঝবে না অত্যন্ত বাস্তব চমৎকার একটা আয়াত সূরা কাহাফ আয়াত 57 কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর (36:28) বাণী স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরেও এই যে যারা বলে যে সুপারিশ অমুক নবী রাসূল অলি আউলিয়া পীর মুর্শিদ হাফেজ এরা করবে তাদেরকে যখন কোরআন দিয়ে বলা হয় যে দেখুন কোরআনে এতগুলো আয়াত আছে যে কোন সুপারিশ চলবে না একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে ওদিন যাইতে হবে কোন কবর আজাব হবে না যা করার দুনিয়াতে বসেই আপনার আমল করে যেতে হবে মরার পরে ওইখানে গিয়ে আপনার সওয়াব যাইতেই থাকবে পাপ হইতেই থাকবে এরকম কোন কাহিনী কোরআনে নাই এগুলো সব কোরআনের বিরুদ্ধে কোরআনের আয়াত দিয়ে যখন তাদের মনে করিয়ে দেয়া হয় স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা ডাইরেক্ট আয়াত অসে করে লাহু (37:00) হাদিস নিয়ে আসে সেই কথাটাই এখানে আল্লাহ চমৎকার করে বলছেন যে কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর বাণী স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরেও সে যদি তা অস্বীকার করে এবং তার কৃতকর্ম ভুলে যায় তবে তার অপেক্ষা অধিকৃত জালিম আর কে আছে এরপরে আল্লাহ সুন্দর করে বলে দিয়েছেন যে তাদের হৃদয়ের উপরে আল্লাহ ঢাকনা দিয়ে দিয়েছেন যেন তারা কোরআন বুঝতে না পারে তাদের কানে সিল করে দিয়েছে তুমি তাদের বুঝালেও এরপরে সূরা আরাফের 179 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আমি তো সংখ্যাগরিষ্ঠ জ্বীন ও মানুষকে দোযোখের জন্য সৃষ্টি করেছি তাদের হৃদয় আছে তবুও বোঝেনা তাদের চক্ষু আছে অথচ দেখে না তাদের কান আছে অথচ (37:37) শোনে না এরা পশুর ন্যায় বরং তা অপেক্ষা বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত এরা গাফেল তো আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে এদের আসলে যতই আমরা কোরআনের আয়াত দিয়ে এদের বুঝাইয়া কোরআনের কথা বলে আল্লাহর কথা স্মরণ করে দেই আল্লাহর বাণীর কথা স্মরণ করে দেই তারপরও এদের এরা মনে হয় যে আসলে এদের হৃদয় আছে কিন্তু এরা সেই মন দিয়ে বুঝে না চোখ আছে চোখ দিয়ে দেখে কান আছে কান দিয়ে শোনে না আল্লাহ এদের সম্পর্কে স্ট্রেট বলে দিয়েছেন এরা হচ্ছে একেবারে জন্তু জানোয়ার পশুর ন্যায় বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত এরা গাফেল সূরা বাকারার 171 নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন (38:12) ওই সকল লোকগুলোই কাফের যারা শব্দ ও চিৎকার ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা তারা মুখ বধির ও অন্ধ তারা কখনো বুঝতে চেষ্টা করে না অজানা অচেনা ভাষায় কেউ বক্তৃতা বা কেউ ওয়াজ নসিহত করলে আমরা যেমন তার শব্দ সুর আওয়াজ ছাড়া আর কিছু বুঝিনা ঠিক তেমনি সূরা বনী ইসরাইলের 46 নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন আমি তাদের হৃদয়ে প্রলেপ দিয়েছি যেন তারা বুঝতে না পারে এবং তাদের বধির করেছি তোমাদের প্রতিপালক একাকার তা যখন তুমি কোরআন গ্রন্থ থেকে বর্ণনা করো তখন তা অগ্রাহ্য করে সরে পড়ে সুতরাং আমরা আজকে আলোচনায় বুঝলাম যে আমরা কি কারা কোরআন বুঝবে কারা বুঝবে না কেন বুঝবে না কোরআন (38:57) বুঝতে কি কি সমস্যা আছে এবং কোরআন বুঝতে গেলে আমাদের কিভাবে মুত্তাকী হইতে হবে আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে জালিকাল কিতাব হুদাল্লিল মুত্তাকিন মুত্তাকী হইলে এই কোরআনটার মাধ্যমে আপনি হেদায়েত পাবেন আমরা করি কি আমরা পুরো আগে চাই যে 6236 আয়াত এইটা আগে পুরোপুরি বুঝবো এই পুরা কোরআন সম্পর্কে আগে পিএইচডি অর্জন করব তারপরে মুত্তাকী হওয়ার চেষ্টা সাধনা করব কিন্তু আল্লাহ কিন্তু উল্টো কথা বলেছেন আল্লাহ বলেছেন জালিকাল কিতাবু হুদাল্লিল মুত্তাকিন আপনার ফাস্ট কাজ হচ্ছে যে মুত্তাকী হওয়ার জন্য যে আপনার 15 টা কোয়ালিটি অর্জন করতে হবে সেগুলো খুঁজে (39:28) সেই 15 টা আয়াত খুঁজে সেগুলো আগে সেই কোয়ালিটিটা আগে অর্জন করার চেষ্টা সাধনা করেন তারপর আপনি অটোমেটিক ওগুলো করতে থাকলে আল্লাহ আপনাকে এমনি আর মাঝে মাঝে কোরআন পড়লে সেইটা আপনাকে অটোমেটিক আল্লাহ বলে দিয়েছেন যে হুদাল্লিল মুত্তাকিন আপনি এই কোরআনটা আপনার জন্য তখন এই আপনি যখন যখন মুত্তাকী হইতে থাকবেন আপনার হুদা পথ দেখায়ে দেখায়ে এটা কোরআনের আলোতে আপনি চলে যেতে চলতে পারবেন হেদায়েতের পথে কিন্তু আমরা উল্টা কাজ করি মানে কোরআনের বিরুদ্ধে কাজ করি যদিও এই কথাটা একেবারে কোরআনের প্রথমেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন সূরা বাকারাতেই উল্টা কাজটা কি করি আমরা আগে (39:57) চাই কোরআনের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করব এর যা আছে আয়াতের শানে নুযুল থেকে শুরু করে রিলেটেড হাদিস থেকে শুরু করে তাফসীর থেকে শুরু করে সব বুঝে একেবারে পিএইচডি ডক্টরেট ডিগ্রিধারী হব তারপরে আমল শুরু করব এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে এই মানসিকতা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে না পারি আমাদের দুনিয়াও ধ্বংস হবে আখিরাতও ধ্বংস হবে আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে আমি সহ যারা শুনছেন সবাইকে যেন এই কিতাবের মাধ্যমে জালিকাল কিতাবের মাধ্যমে হুদাল্লিল মুত্তাকিন বানান এবং এবং কি হয়ে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি সেই তৌফিক এনায়েত করেন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”

2 thoughts on ““কুরআন না বোঝার ৫ টি কারণ”

  1. it’s very nice trans­late with appro­pri­ate. I want to read all for Allah Sub­hana­tal­lah. Thanks

  2. সালামুন আলাইকুম।
    যারা অনলি কোরআন ফলো করার কারণে, পরিবার, সমাজ, কর্মক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। তাদের জন্য কোরআন রিসার্চ গ্রুপ কোন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *