আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে রাসুলের আনুগত্য করো

আল্লাহকে মানো রাসুলকে মানো? কিভাবে মানবো? আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে রাসুলের আনুগত্য করো আশেকে রাসুল

(70) আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে রাসুলের অনুসরণ করো ৩/৩১ ব্যাখ্যা) Valen­tine’s Day Exclu­sive — YouTube
https://www.youtube.com/watch?v=91452lC54vg

Tran­script:
(00:00) কোরআনে ভালোবাসা নিয়ে কমপক্ষে 85 টা আয়াত আছে। আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন? আমরা কাদের ভালোবাসবো? এই দুনিয়াতে স্বামী-সন্তান স্ত্রী-পুত্র ভাই বন্ধু আত্মীয়-স্বজন তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা কেমন হবে? আর আমাদের প্রতিও তাদের ভালোবাসাটা কেমন হবে ? বন্ধু এবং শত্রু সর্বক্ষেত্রে সর্ব জায়গায় এই ভালোবাসার গুণগান, ভালোবাসার কবিতা বর্ণিত হয়েছে কোরআনের পাতায় পাতায়। কিন্তু এই ভালোবাসার গভীরতা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। সূরা বাকারার 165 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন “আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষ রূপে গ্রহণ করে তাদেরকে
(00:42) আল্লাহকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসে, পক্ষান্তরে যারা ঈমানদার আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা দৃঢ়তর, সবচেয়ে প্রগাঢ়, যারা ঈমানদার আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা হবে প্রগাঢ়, দৃঢ়তর, আরো বেশি। আপনি কতটুকু ঈমানদার? (আপনারটা আমি বলতে পারবো না, আমারটা আপনি বলতে পারবেন না, কিন্তু নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা ঠান্ডা মাথায় ভাবলে) উপলব্ধি করতে পারবো যে এই পৃথিবীতে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালো আল্লাহকে বাসি কিনা? যদি বাসি প্রমাণ হবে যে সত্যিকার অর্থে আমরা ঈমানদার হতে পেরেছি। সূরা বাকারার 177 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, কারা মুত্তাকী? এবং কারা সত্যবাদী? যারা ধন-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা
থাকা সত্ত্বেও তা আত্মীয়-স্বজন এতিম অভাবগ্রস্থ মিসকিন মুসাফির, দরিদ্র সাহায্য প্রার্থী ও দাস মুক্তিতে সেই সম্পদ প্রদান করে, ব্যয় করে। সম্পদের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও যদি এই সম্পদ আপনি গরীব আত্মীয়-স্বজন এতিম মিসকিন পথিক, সাহায্য প্রার্থী, ভিখারি,দাসমুক্তিতে ব্যয় করেন আপনি মুত্তাকী হওয়ার পথে এগিয়ে গেলেন।

আর আমরা সূরা হুজরাতের 13 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী জানি যে এই পৃথিবীতে আল্লাহর চোখে সবচেয়ে মর্যাদাশীল সবচেয়ে সম্মানিত হচ্ছেন মুত্তাকীরা ।

সূরা বাকারার প্রথমেই আল্লাহ বলেছেন জালিকাল কিতাবু লারই বাফিহি হুদাল্লিল মুত্তাকিন। এই কিতাব হচ্ছে মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত। সূরা বাকারার 190 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ভালোবাসেন না। অন্যদিকে সূরা বাকারার 195 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ মুহসিনিনদের — কর্মকে সংশোধনকারীদের (সৎকর্মশীলদের) ভালোবাসেন আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে আপনাকে হতে হবে সংশোধিত পরিশোধিত ( সৎকর্মশীল)

আর যদি চান যে এমন কিছু করতে যার কারণে আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন তাহলে আল্লাহ আপনাকে যে আদেশ‑নিষেধের সীমা রেখা দিয়েছেন সেই সীমা আপনি কখনো অতিক্রম করবেন না যদি সেই সীমা অতিক্রম করেন সূরা বাকারার 190 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন না আপনি যতই আশেকে রাসূল আশেকে মাওলা
(02:56) হিসেবে নিজেকে দাবি করেন না কেন?

সূরা বাকারার 205 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ অশান্তি বা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না।

সূরা বাকারা ২৭৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন- “আল্লাহ অকৃতজ্ঞ পাপাচারীদেরকে ভালোবাসেন না

সূরা আল ইমরান আয়াত 14 “মানুষের জন্য ভালোবাসার সামগ্রী করা হয়েছে নারী ‑সন্তানাদি ‑রাশি রাশি সোনার রুপা- ছাপযুক্ত ঘোড়া ‑গবাদি পশু ও ক্ষেত খামার ‑শস্য ক্ষেত্র- জায়গা জমি। আর এখনকার যুগে তো সেরকম ঘোড়া নেই, গাড়ির কথা বা বাইকের কথা আপনি ধরতে পারেন! আর স্বর্ণ রৌপ্য ‑নারী ‑সন্তান এগুলোর প্রতি ভালোবাসা আপনার থাকবেই।–সেই বিষয়টা আল্লাহ সূরা আল ইমরানের 14
নাম্বার আয়াতে বলেছেন এই আয়াতের শেষ অংশে আল্লাহ বলেছেন ‑এগুলো দুনিয়ার জীবনে উপভোগের সামগ্রী। আর আল্লাহ- তার নিকট রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল। এগুলোর প্রতি মগ্ন বা মত্ত না হয়ে আল্লাহর কাছে যে আখিরাতে উত্তম সামগ্রী রয়েছে তার প্রতি আমাদের মগ্ন হওয়া উচিত। সূরা আল ইমরানের 31 আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ” বলো যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুসরণ করো আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু!” আল্লাহ তার রাসূলকে বলতে বলছেন যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুসরণ করো তাহলে আল্লাহ
(04:29) তোমাদেরকে কে ভালোবাসবেন নয় শুধু তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। প্রশ্ন হচ্ছে আল্লাহ যে বলছেন যে রাসূলকে অনুসরণ করতে রাসূল কি অনুসরণ করতেন? সূরা বাকারার 170 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন„ আর যখন তাদেরকে বলা হয় তোমরা অনুসরণ করো যা আল্লাহ নাযিল করেছেন তারা বলে বরং আমরা অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদের যার উপর পেয়েছি।। যদি তাদের পিতৃ-পুরুষরা কিছু না বোঝে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তাহলেও কি?” এই আয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সূরা আল ইমরান আয়াত 95 “বলো আল্লাহ সত্য বলেছেন সুতরাং তোমরা ইব্রাহিমের ধর্ম অনুসরণ করো। একনিষ্ঠভাবে। সে মুশরিক ছিল না।। এই আয়াতে আমরা আবার দেখছি যে আল্লাহ ইব্রাহিমের ধর্ম অনুসরণ করতে বলছেন। একনিষ্ঠভাবে।। সূরা আনাম 153 “আর এটি তো আমার সোজা পথ সরল পথ সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ করো এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না.. তাহলে তা তোমাদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে, এগুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তোমরা সতর্ক হও. আল্লাহর এই পথ হচ্ছে সোজা পথ! সূরা বানি ইসরাইলের নয় নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন “নিশ্চয়ই এই কোরআন সবচেয়ে সোজা পথ সরল পথ দেখায়” সূরা আনআম 155 আল্লাহ বলছেন “আর এটি একটি কিতাব কুরআন যা
(06:01) আমি নাযিল করেছি যা বরকতময় অতএব তোমরা তার অনুসরণ করো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও!” সূরা আনামের 155 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ এই বরকতময় কুরআন অনুসরণ করার কথা বলছেন এবং এটা অনুসরণ করলে আমরা রহমত প্রাপ্ত হব। সূরা আরাফের তিন নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন “তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে তার অনুসরণ করো এবং তাকে ছাড়া অন্য কোন আউলিয়ার অনুসরণ করো না, তোমরা খুব সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করো!” আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অনুসরণ করতে বলছেন সূরা আরাফের তিন নাম্বার আয়াতে। সূরা আরাফ 158 “বলো হে মানবমন্ডলী আমি তোমাদের সকলের জন্য
(06:51) সেই আল্লাহর রাসূল রূপে প্রেরিত হয়েছি যিনি আকাশ ও ভূমণ্ডলের সার্বভৌম একচ্ছত্র মালিক। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। সুতরাং আল্লাহর প্রতি এবং তার সেই বার্তাবাহক উম্মি নবীর প্রতি ঈমান আনো যে আল্লাহ ও তার কালামে বিশ্বাস স্থাপন করে তোমরা তারই অনুসরণ করো আশা করা যায় তোমরা সরল সঠিক পথের সন্ধান পাবে। সূরা ত্বহা আয়াত 90 “আর হারুন পূর্বেই তাদেরকে বলেছিল হে আমার কওম এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদের পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে আর তোমাদের রব তো পরম করুণাময় তাই তোমরা আমার অনুসরণ করো এবং আমার আদেশ মেনে চলো।” এই আয়াতে হারুন নবী বলছেন তাকে
(07:32) অনুসরণের কথা এবং তার আদেশ মেনে চলার কথা! সূরা লোকমান আয়াত 21 “আর যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ করো তখন তারা বলে বরং আমরা তার অনুসরণ করব যার ওপর আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি

শয়তান তাদেরকে প্রজ্জ্বলিত আজাবের দিকে আহ্বান করলেও কি তারা পিতৃপুরুষদের অনুসরণ করবে? এই আয়াতেও বলা হচ্ছে যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার অনুসরণ করার কথা। সূরা ইয়াসিন আয়াত 20 “আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে বলল হে আমার কওম তোমরা রাসূলদের অনুসরণ করো সূরা ইয়াসিন আয়াত 21 “তোমরা তাদের অনুসরণ করো যারা তোমাদের কাছে কোন
(08:14) প্রতিদান চায় না আর তারা সৎপথ প্রাপ্ত!

সূরা জুমার আয়াত 55 “আর অনুসরণ করো তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের নিকট হতে উত্তম যা অবতীর্ণ হয়েছে তার, তোমাদের উপর অতর্কিতভাবে তোমাদের অজ্ঞাতে শাস্তি আসার পূর্বে।”

সূরা গাফির আয়াত 38 “ঈমানদার লোকটি বলল- হে আমার সম্প্রদায় তোমরা আমার অনুসরণ করো আমি তোমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করব!

সূরা যুকরুফ আয়াত 61 “আর নিশ্চয়ই সে ঈসা হবে কেয়ামতের এক সুনিশ্চিত আলামত সুতরাং তোমরা কিয়ামত সম্পর্কে সংশয় পোষণ করো না তোমরা আমারই অনুসরণ করো এটি সরল পথ!”

সূরা আহকাফ আয়াত নয় “বলো আমি রাসূলদের মধ্যে নতুন নই আমি এও জানিনা আমারও তোমাদের
(08:59) সঙ্গে কি ব্যবহার করা হবে আমি কেবল তাই অনুসরণ করি যা আমার প্রতি ওহী করা হয়! আমি এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র!

আল্লাহর রাসূল জানেন না তার এবং তার সাহাবীদের ব্যাপারে কি করা হবে তাদের সাথে কি আচরণ করা হবে কি ব্যবহার করা হবে তিনি শুধু তাই অনুসরণ করেন যা তার প্রতি ওহী করা হয় তার প্রতি কি ওহী করা হয়? তার উত্তর সূরা আনামের 19 নাম্বার আয়াতে দেয়া হয়েছে! “বলো সাক্ষ্য হিসেবে কার সাক্ষ্য সবচেয়ে বেশি গণ্য? তুমি বলে দাও আমার ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই হচ্ছেন সাক্ষী, আর এই কোরআন আমার নিকট ওহীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে যেন আমি তোমাদেরকে এবং যাদের নিকট এটি পৌঁছবে
(09:46) তাদের সকলকে এর দ্বারা সতর্ক করি! ”

তাহলে ওহীর মাধ্যমে কি পাঠানো হয়েছে? সূরা আনামের 19 নাম্বার আয়াতে আমরা পেলাম এই কুরআন! তাহলে সূরা আল ইমরানের 31 আয়াত আমরা বুঝলাম! যে আল্লাহ বলছেন -“বলো যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো তাহলে আমার অনুসরণ করো আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন!”

আল্লাহকে ভালোবাসতে চাইলে রাসূলের অনুসরণ করতে হবে। আর রাসূল কি অনুসরণ করেছেন? এই কোরআন অনুসরণ করেছেন।

সূরা আল ইমরান আয়াত 32 আল্লাহ বলছেন ‑নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের ভালোবাসেন না ‑সূরা আল ইমরান আয়াত 57 “আর আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না!

যদি আপনি জালিম হয়ে থাকেন অত্যাচারী হয়ে
(10:27) থাকেন মানুষের উপর জুলুম করেন আপনি মনে রাখবেন আপনি যত বড় আল্লাহওয়ালা, আশেকে রাসূল দাবি করেন না কেন নিজেকে। আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন না।

সূরা আল ইমরান আয়াত 76 আল্লাহ বলছেন “ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল মুত্তাকিন- নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন! “মুত্তাকী কি কেন কিভাবে” ভিডিওতে ডিটেইলস বলা আছে যে মুত্তাকী আপনি কিভাবে হবেন?

সূরা আল ইমরান আয়াত 92 তোমরা কখনো সওয়াব অর্জন করতে পারবে না, কল্যাণ অর্জন করতে পারবে না যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে যা তোমরা ভালোবাসো।” (আমরা যা ভালোবাসি সেখান থেকে যদি আমরা ব্যয় না করি তাহলে আমরা কখনো পূণ্য, কল্যাণ„সওয়াব অর্জন করতে
(11:09) পারবো না।) আর যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে তা নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালো করে জানেন।

সূরা আল ইমরান আয়াত 134 “যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা রাগ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে দেয় এবং আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন!”

সচ্ছল অবস্থায় অসচ্ছল অবস্থায় যদি আপনি ব্যয় করেন, আপনি যদি রাগ সংবরণ করেন, মানুষদের ক্ষমা করে দেন এরকম ভাবে যদি নিজেকে সৎকর্মশীল হিসেবে গড়ে তোলেন, মুহসিনিন হিসেবে গড়ে তোলেন সূরা আল ইমরানের 134 আয়াতে আল্লাহ বলছেন যে “আল্লাহ এরকম মুহসিনিনদের ভালোবাসেন! আপনি আল্লাহর ভালোবাসা যদি পেতে চান সূরা আল ইমরানের 134 আয়াত হতে পারে
(11:55) আপনার জীবনের পাথেয়।

সূরা আল ইমরানের 140 আয়াতে আল্লাহ বলছেন আল্লাহ জালিম কে ভালোবাসেন না। সূরা আল ইমরান 146 আয়াতে আল্লাহ বলছেন ইউহিব্বু সবিরিন আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। যদি আপনি ধৈর্যশীল হন আপনি সবরকারী হন আপনার প্রতি আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে আপনাকে আল্লাহ ভালোবাসেন।

সূরা আল ইমরান আয়াত 148 আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।

সূরা আল ইমরান 159 “নিশ্চয়ই আল্লাহ তার উপর ভরসাকারীদেরকে ভালোবাসেন!

যদি আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করেন আপনার জন্য রয়েছে আল্লাহর ভালোবাসা।

সূরা নিসা আয়াত 36 “নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিক ও অহংকারীকে ভালোবাসেন না!

সূরা নিসা আয়াত 107 নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালোবাসেন না তাকে যে বিশ্বাসঘাতক অর্থাৎ খেয়ানতকারী এবং পাপী। আল্লাহ খেয়ানতকারী এবং পাপীকে ভালোবাসেন না।

সূরা নিসা 148 “আল্লাহ খারাপ কথা মন্দ প্রচারণা ভালোবাসেন না, তবে কেউ অত্যাচারিত হয়ে থাকলে তার কথা আলাদা। আল্লাহ সবকিছু শোনেন সবকিছু জানেন। আপনি যদি মন্দ কথা খারাপ কথা প্রচারণা করে বেড়ান, প্রপাগান্ডা করে বেড়ান এই বিষয়টা আল্লাহ ভালোবাসেন না। তবে আপনার প্রতি যদি জুলুম হয়ে থাকে অত্যাচার হয়ে থাকে আপনাকে কেউ মজলুম বানিয়ে ফেলেছে, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতি হওয়া অন্যায়, আপনার প্রতি হওয়া জুলুম, আপনি প্রচার, প্রোপাগান্ডা করতে পারেন। আল্লাহ বলেই দিয়েছেন- যে তার কথা আলাদা!

এছাড়া শুধু শুধু বিনা কারণে এই মন্দ কথা খারাপ কথা প্রচার প্রচারণা এগুলো আল্লাহ ভালোবাসেন না।

সূরা নিসা আয়াত 148 সূরা মায়েদা আয়াত 13 আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের মুহসিনিনদের ভালোবাসেন এই সৎকর্মশীলদের ডিটেইলস বর্ণনা এর আগের ভিডিও (অলি আউলিয়া তাদের ক্ষমতা খাজানা সহবত ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে)

সূরা মায়েদা আয়াত 42 আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের- সুবিচারকারীদের ‑ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন!”

আপনি যদি ন্যায়বিচারকারী হন ‑সুবিচারকারী
হন ইনসাফকারী হন আপনি জেনে রাখবেন যে ‑আল্লাহ সূরা মায়েদার 42 নাম্বার আয়াতে বলছেন যে ‑আপনাকে আল্লাহ ভালোবাসেন!

সূরা মায়েদা আয়াত 64 “নিশ্চয়ই আল্লাহ অশান্তি সৃষ্টিকারীদের, অশান্তি বিস্তারকারীদের ভালোবাসেন না!

সূরা মায়েদা আয়াত 87 “নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালোবাসেন না! সূরা মায়েদা আয়াত 93 “আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন!

সূরা আনাম আয়াত 141 আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ‑অপব্যয়কারীদের ভালোবাসেন না! আপনি যদি অপচয়কারী হন অপব্যয়কারী হন, আপনি মনে রাখবেন যে আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসেন না

সূরা আরাফ আয়াত 31 এই আয়াতে আল্লাহ
(15:00) বলছেন যে “নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না, অপব্যয়কারীকে ভালোবাসেন না

আপনার অনেক টাকা-পয়সা আছে আর বিপুল টাকা আপনি খরচ করছেন। অন্যদিকে আপনার আশেপাশে কত অসহায় গরীব মানুষ খেয়ে না খেয়ে আছে সেই খোঁজখবর নেয়ারও আপনি প্রয়োজন মনে করছেন না। এটা কতটা হৃদয় বিদারক?

সূরা আরাফের 55 আয়াতে আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না

সূরা আনফাল আয়াত 58 “নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকার ভঙ্গকারীদের ভালোবাসেন না, বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের ভালোবাসেন না

সূরা তওবা আয়াত চার আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন

সূরা তওবা আয়াত সাত এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন যে “ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল মুত্তাকিন- নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন

সূরা তওবা আয়াত 108 আল্লাহ বলছেন “আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন

সূরা ইউসুফ আয়াত 30 “আর নগরীতে মহিলারা বলাবলি করল আজিজ পত্নী স্বীয় যুবককে অপকর্মে প্ররোচিত করেছে। যুবকটির প্রতি ভালোবাসা তাকে উন্মক্ত করে ফেলেছে। আমরা তো মনে করি সে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে পতিত।

এখানে আমরা দেখলাম যে আজিজ পত্নী কোন এক যুবকের প্রতি ভালোবাসায় আসক্ত হয়ে গেছে এখানে আমরা একটা অন্যরকম ভালোবাসা দেখলাম নারী-পুরুষের ভালোবাসা। যদিও একতরফা ভালোবাসা। আজিজের পত্নী একতরফা ভাবেই ইউসুফ
(16:31) নবীকে ভালোবাসছে। সূরা ইউসুফ আয়াত 33 ইউসুফ বলল “হে আমার রব এই নারীরা আমাকে যে কাজের দিকে আহ্বান করছে তার থেকে কারাগারই আমার নিকট বেশি ভালোবাসার জিনিস। আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বো এবং আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।”

এখানে নারীদের ভালো ভালোবাসার চেয়ে কারাগার ইউসুফ নবীর কাছে বেশি ভালোবাসার স্থানে পরিণত হয়েছে।

কতটা আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিল ইউসুফ? ভাবুন দয়া করে।

সূরা ইব্রাহিম আয়াত তিন “যারা আখিরাতের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালোবাসে, আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং তাতে বক্রতার সন্ধান করে তারা ঘোরতর বিভ্রান্তিতে রয়েছে।”

সূরা নাহল আয়াত 23 “নিঃসন্দেহে তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ্যে করে নিশ্চয়ই তা আল্লাহ জানেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারকারীকে ভালোবাসেন না। আমাদের কত ধরনের অহংকার থাকে? টাকার অহংকার, রূপের অহংকার, পড়াশোনার অহংকার, বিদ্যা বুদ্ধির অহংকার, বংশমর্যাদার অহংকার, ভালো চাকরির অহংকার, ভালো রাজনীতিবিদ হওয়ার অহংকার, কত ধরনের অহংকারে গর্বে আমাদের পা মাটিতে পড়ে না। আমরা অনেক বড় আলেম ওলামা হয়ে গিয়েছি, আল্লাহওয়ালা হয়ে গিয়েছি, পীর অলি আউলিয়া গাউস কুতুব হয়ে গিয়েছি, জামানার ইমাম হয়ে গিয়েছি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাওলানা হয়ে গিয়েছি, কত ধরনের অহংকার আমাদের মধ্যে আসে? তার সীমা পরিসীমা নেই।

সূরা নাহলের 23 আয়াতে আল্লাহ বলছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারীদেরকে ভালোবাসেন না।”

সূরা নাহল আয়াত 107 “এর কারণ এই যে তারা আখিরাত অপেক্ষা দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালোবাসে, আর আল্লাহ ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে সঠিক পথ দেখান না

আমরা তো বলতে গেলে প্রায় সবাই আখিরাতের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালোবাসি কতটা দুর্ভোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে?

সূরা তহা আয়াত 39 ” তাকে (শিশু মুসাকে) সিন্দুকের মধ্যে রাখো, তারপর তা নদীতে (নীল নদে) ভাসিয়ে দাও অতঃপর নদী তাকে তীরে ছুড়ে দেবে! এবং আমার ও তার এক শত্রু তাকে উঠিয়ে নেবে

আর আমি তোমাকে
আমার নিজের পক্ষ থেকে ভালোবাসা দিয়েছিলাম এবং যাতে তুমি আমার চোখের সামনে বেড়ে উঠতে পারো সেই ব্যবস্থা করেছিলাম।

সূরা হজ আয়াত 38 “নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের রক্ষা করেন এবং কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে ভালোবাসেন না! আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক এবং অকৃতজ্ঞকে ভালোবাসেন না!

সূরা নূর আয়াত 19 “নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে, এটা ভালোবাসে যে- মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক? তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না । ”

সূরা নূর আয়াত 22 “আর তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন কসম না করে যে তারা নিকট আতত্মীয়দেরকে অভাবগ্রস্ত ‑মিসকিনদের ও আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না! আর তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করে

তোমরা কি এটা ভালোবাসো না যে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেন আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

আমরা অনেক সময় গরীব অভাবে আত্মীয়-স্বজনদের দেই দেয়ার পরে দেখা গেল যে তারা অস্বীকার করে বা অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে তখন আমরা রাগ হয়ে বলি যে না আর তোমাদের কখনো কিছু দেবো না দিয়ে কোন লাভ নেই কোন নাম পাই না বরং তোমরা দুর্নাম করে বেড়াও কিন্তু এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন যে তারা যেন তাদের
(20:06) ক্ষমা করে এবং তাদের দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করে আমাদের উচিত যদি এরকম তৌফিক আল্লাহ দেন গরীব অসহায় নিকটাত্মীয় মিসকিনদের সাহায্য করার দান করার আমরা যেন সেটা করি এবং তারা যাই বলুক না কেন আমরা তাদের সেই দোষ ত্রুটি উপেক্ষা করি এবং তাদের ক্ষমা করে দেই কারণ আল্লাহ এই আয়াতের শেষের দিকেই বলছেন যে তোমরা কি এটা পছন্দ করো না এটা ভালোবাসো না যে আল্লাহ তোমার আমাদের ক্ষমা করে দেন?

সূরা কাসাস আয়াত 56 “নিশ্চয়ই তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে তুমি হেদায়েত দিতে পারবে না বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন আর হেদায়েত প্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন।” নূহ নবী তার সন্তানকে কত ভালোবাসতেন? স্ত্রীকে কত ভালোবাসতেন? কিন্তু তার নিজের সন্তান- স্ত্রীদের তিনি হেদায়েত দিতে পারেননি। লুত নবী তার স্ত্রীকে হেদায়েত দিতে পারেননি, ইব্রাহিম নবী তার বাবাকে হেদায়েত দিতে পারেনি, আল্লাহর নবী পারেননি তার কত নিকট আত্মীয়-স্বজন চাচা-দাদা ফুফা ছিল তাদের হেদায়েত দিতে পারেননি। কোন নবী রাসূল পারতেন না, কোন পীর অলি আউলিয়া গাউস কুতুব কেউই পারে না অন্য কাউকে হেদায়েত দিতে। এজন্য আমাদের পরিবারে অনেক সময় দেখা যায় যে তারা আল্লাহর পথে আসে না কেন? কোরআনের পথে আসে না কেন? ভেবে ভেবে দুশ্চিন্তায় মন খারাপ করে ফেলি, অনেক কষ্ট পাই। অনেক সময় ঝগড়া বিবাদও করি।
কিন্তু কোন লাভ নেই।

এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন “নিশ্চয়ই তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে তুমি হেদায়েত দিতে পারবে না, বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন আর হেদায়েত প্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন

সূরা কাসাস আয়াত 76 আল্লাহ বলছেন “আল্লাহ দাম্ভিকদের ভালোবাসেন না গর্বিতদের ভালোবাসেন না

সূরা কাসাস আয়াত 77 “নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না ফেসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না

সূরা রুম আয়াত 45 “নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিশ্বাসীদের ভালোবাসেন না।”

সূরা লোকমান আয়াত 18 নিশ্চয়ই আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে ভালোবাসেন না।

সূরা সাদ আয়াত 32 “তখন সে বলল আমি আমার প্রতিপালকের স্মরণ হতে ধন সম্পদকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি এমনকি সূর্য রাতের পর্দায় লুকিয়ে গেছে

এখানে আমরা দেখলাম যে সুলাইমান নবী যিনি দোয়া করেছিলেন তাকে বিশাল সাম্রাজ্য দেয়া হয়েছিল জিন বাতাস সবকিছু তার অধীন করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু এই ধন সম্পদের ভালোবাসায় তিনিও একসময় মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।

সূরা সূরা আয়াত 40 নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদের ভালোবাসেন না অত্যাচারীদের ভালোবাসেন না।

সূরা হুজরাত আয়াত সাত আর তোমরা জেনে রাখো যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল রয়েছেন সে যদি অধিকাংশ বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নিত তাহলে তোমরা অবশ্যই কষ্টে পতিত হতে কিন্তু আল্লাহ তোমাদের কাছে ঈমানকে ভালোবাসার বস্তু করে দিয়েছেন এবং তা তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করেছেন আর তোমাদের কাছে কুফরি পাপাচার ও অবাধ্যতাকে অপছন্দনীয় করে দিয়েছেন তারাই তো হেদায়েত প্রাপ্ত।

সূরা হুজরাত আয়াত নয় নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন।

সূরা হুজরাত আয়াত 12 হে ঈমানদারগণ তোমরা অনুমান থেকে দূরে থাকো নিশ্চয়ই কোন কোন অনুমান পাপ আর গুপ্তচরবৃত্তি করো না অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না তোমাদের কেউ যেনো কারো অসাক্ষাতে নিন্দা না করে। তোমাদের মধ্যে
(23:33) কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়া পছন্দ করবে?

এই পছন্দ করা আরবি এখানে সেই ইউহিব্বুই দেয়া হয়েছে যার অর্থ ভালোবাসা। মানে মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে কি আপনি ভালোবাসবেন? তোমরা তো নিশ্চয়ই তা অপছন্দ করবে

আল্লাহকে ভয় করো নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী এখানে এই আয়াতে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়া ভালোবাসবে কিনা সেই প্রশ্ন আল্লাহ করেছেন যদি সেই ভাইয়ের আড়ালে আপনি তার গীবত করেন নিন্দা করেন এ কাজ করা এই আয়াতে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে আর অনুমান করা থেকে বিরত থাকতে বলে বলা হয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি অন্যের দোষ ত্রুটি অনুসন্ধান সেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সূরা হাদিদ আয়াত 23 আল্লাহ তো দাম্ভিক অহংকারীদের পছন্দ করেন না ভালোবাসেন না এই আয়াতেরও আরবি ইউহিব্বুই দেয়া আছে আল্লাহ দাম্ভিক এবং অহংকার কারীদেরকে ভালোবাসেন না।

সূরা মুমতাহিনা আয়াত আট নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের- ন্যায়বিচারকারীদের- ন্যায় পরায়ণদের ভালোবাসেন

আমরা অনেকগুলো আয়াত পেলাম যেখানে আল্লাহ বলেছেন যে তিনি ইনসাফকারী ‑ন্যায়বিচারকারী ‑ন্যায় পরায়ণদেরকে ভালোবাসেন

সূরা সফ আয়াত চার নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তার পথে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে যেন তারা সিসা ঢালা প্রাচীর।

সূরা কিয়ামা আয়াত 20 কখনো না বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালোবাসো। তারপরের দিকে আল্লাহ বলছেন আর তোমরা ছেড়ে দাও- উপেক্ষা করো আখিরাতকে । সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল তার রবের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপকারী। আর সেদিন অনেক মুখমন্ডল হবে বিবর্ন ও বিষন্ন। তারা ধারণা করবে যে এক বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে। কখনো না, যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে আর বলা হবে কে তাকে বাঁচাবে আর সে মনে করবে এটাই বিদায়ের সময়। সুতরাং দুনিয়ার জীবনকে যে আমরা ভালোবাসি আমাদের পরিণতি খুব খারাপ অপেক্ষা করছে সূরা কিয়ামাহ পড়লে আমরা তা বুঝতে পারি। এই দুনিয়ার জীবনকে যে আমরা ভালোবাসি এ বিষয়টাকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

সূরা ইনসান আয়াত আট তারা খাদ্যের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও মিসকিন ইয়াতিম ও বন্দিকে দান করে তারপরের আয়াতে আল্লাহ বলছেন তারা বলে আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই তোমাদেরকে খাদ্য দান করি করি আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না এবং কোন কৃতজ্ঞতাও চাই না আমরা আশঙ্কা করি আমাদের রবের নিকট হতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ঙ্কর দিনের সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা উৎফুল্লতা আনন্দ।

জান্নাতে যাওয়ার অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়ার একটা ক্রাইটেরিয়া এই আয়াতে বলা হয়েছে সূরা ইনসানের আট নাম্বার আয়াতে ‑যে খাদ্যের প্রতি ভালোবাসা
থাকা সত্ত্বেও মিসকিন ইয়াতিম ও বন্দিকে খাদ্যদান করে

যেই একই রকমের আয়াত আমরা দেখেছিলাম সূরা বাকারার 177 নাম্বার আয়াতে।

সূরা ইনসান আয়াত 27 নিশ্চয়ই এরা দুনিয়ার জীবনকে ভালোবাসে আর তাদের সামনে রেখে দেয় এক কঠিন দিন। মানে যে কিয়ামতের কঠিন দিন আসছে, সেই দিনটাকে তারা উপেক্ষা করে, আর এই দুনিয়ার জীবনকে তারা ভালোবাসে।

সূরা ফাজর আয়াত 20 আল্লাহ কটাক্ষ করে বলছেন যে আর তোমরা ধন সম্পদকে ভালোবাসো অতিরিক্ত ভালোবাসো।।

সূরা আদিয়াত আট নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন খাইরিদ আর নিশ্চয়ই সে ধন-সম্পদের ভালোবাসায় শক্ত অনড় ও প্রবল

আমরা দেখলাম যে কিসের কিসের প্রতি? ধন-সম্পদ নারী ‑জায়গা জমি- কত কিছুর প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা আল্লাহ বলছেন, আবার বলছেন এই ধন-সম্পদ সবকিছুর প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও যারা দান করে, গরীব অসহায় মানুষদের পিছনে ব্যয় করে, আল্লাহ আবার তাদেরকে ভালোবাসেন

আবার সেই সাথে আল্লাহ বলেছেন যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা মুত্তাকী আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা ইনসাফকারী যারা ন্যায়বিচারকারী ন্যায়পরায়ণ আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।

আবার।

একই সাথে আল্লাহ বলেছেন যারা জুলুম করে, যারা দাম্ভিক যারা অহংকারী, যারা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, অশান্তি সৃষ্টির করে, যারা আমানতের খেয়ানত করে
যারা অকৃতজ্ঞ, যারা অবাধ্য, যারা সীমা লঙ্ঘনকারী- যারা বাড়াবাড়ি করে ‑আল্লাহর আদেশ‑নিষেধের সীমা অতিক্রম করে- তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন না

সুতরাং আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন আর কাদের ভালোবাসেন না এটা কোরআন থেকে পড়ে আমাদের অন্তঃস্থলে ঝালাই করে ফেলতে হবে। যাতে করে এই আয়াতগুলো আমরা আমল করতে পারি। আয়াতের আলোকে আমরা জীবন গড়তে পারি এবং এর মাধ্যমেই আমরা ধীরে ধীরে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। আর যদি এই আয়াতগুলো আমরা ভায়ায়োলেট করি, লংঘন করি যে সমস্ত কাজ করলে আল্লাহ আমাদের ভালোবাসবেন না ‑আমাদের জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করবে সেই সমস্ত কাজের
প্রতি যদি আমরা অবিচল থাকি আমাদের মত হতভাগা আমাদের মত দুর্ভাগা এই পৃথিবীতে আর কেউই হতে পারে না।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে আল্লাহর এই কোরআনের আয়াতগুলো উপলব্ধি করার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

রিজওয়ান মাহমুদ খান (ডিরেক্টর) তাজকিয়া নফস

2 thoughts on “আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে রাসুলের আনুগত্য করো

  1. আল্লাহ আপনাকে হেফাজত, নিরাপত্তা ও রক্ষনা বেক্ষন করুন।

  2. My take-away from this arti­cle is “সচ্ছল অবস্থায় অসচ্ছল অবস্থায় যদি আপনি ব্যয় করেন, আপনি যদি রাগ সংবরণ করেন, মানুষদের ক্ষমা করে দেন এরকম ভাবে যদি নিজেকে সৎকর্মশীল হিসেবে গড়ে তোলেন, মুহসিনিন হিসেবে গড়ে তোলেন সূরা আল ইমরানের 134 আয়াতে আল্লাহ বলছেন যে “আল্লাহ এরকম মুহসিনিনদের ভালোবাসেন! আপনি আল্লাহর ভালোবাসা যদি পেতে চান সূরা আল ইমরানের 134 আয়াত হতে পারে(11:55) আপনার জীবনের পাথেয়।” May Allah increase you in knowl­edge.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *