(18) হুজুররা তিন কারনে নাস্তিক হচ্ছে? ঠেকানোর উপায়? পর্ব‑১
নাস্তিক ইমরান বিন বশির:- আমি বলা ঠিক হবে কিনা আমি জানিনা খুব শকড হবেন শুনলে বিশ্বাসও না হতে পারে বলবো কিনা বুঝতে পারছি না বলেন বলেন সত্য বলতে অসুবিধা কি হুম বলেন আমি সত্য বলতে সংকোচবোধ করি না এটা যারা শুনছে সকলের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে পার্সেন্টেজটা আমি বলি আমি সংখ্যায় বলছি না আমার পরিচিত কতজন আছে যারা ইমাম মাদ্রাসায় শিক্ষতা করছেন এবং তাদের মাহফিলের বক্তা তারা তাদের কথা শুনে লাখ লাখ মানুষ ইসলামের পথ ধরছে বেনামাজি নামাজি হচ্ছে বেরোজাদার রোজাদার হচ্ছে তারা ভিতরে ভিতরে নাস্তিক আমার মতই আমি নিজেকে এখনো নাস্তিক দাবি করছি না তবে তা
(00:33) আমার চাইতে বেশি কঠোর আমি তো সংশয়বাদী আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর চাই শুধু উত্তর চাইতে গেছি ওরা আমাকে কল্লা ফেলবার কথা বলছে আমি যৌক্তিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছি তারা আমাকে বলেছে চুপ থাকতে আমাকে মেরে ফেলবে কেটে ফেলবে তখন আমি আমার কিন্তু রাগেই কিন্তু ইসলাম ত্যাগ করার কথা কিন্তু আমি তো রাগে ইসলাম ত্যাগ করবো এটা তো ঠিক সিদ্ধান্ত না আমি তারপরেও বিনয়ী হয়ে নমনীয় হয়ে বলেছি যে না আমি গবেষণা চালিয়ে যাব আমি অনেক বড় বড় আলেমদের কাছে যাব তাদের কাছে গিয়ে এই বিষয়গুলোর সমাধান চাইবো এখনো পর্যন্ত আমি তো এখন ভাইয়া যে আমি আলেমদের কাছেও
(01:02) গিয়েছি এটা যখন আপনি বললেন আপনি কিছু ভিডিও দেখেছেন হয়তো আমার কাছে এরকম ভিডিও অনেক আছে তো আমি মসজিদের বড় বড় ইমাম বড় বড় মসজিদের ইমাম সাহেবদের কাছেও গিয়েছি তাদের কাছে গিয়ে আমি প্রশ্নগুলো করেছি তো দেখলাম যে তারা কোন সুদু দিতেই পারেনি এবং চুপ একদম চুপ অনেকে তো গোজামিলও দেয় নাই এটা ভালো লেগেছে আমার কাছে গজামিল না দিয়ে চুপ থাকাটাও ভালো পরে আমি তাদের কাছে প্রশ্ন করেছি যে আপনার কাছে এই প্রশ্নগুলো যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে কিনা অনেকেই বলেছেন যে হ্যাঁ প্রশ্নগুলো তো যৌক্তিক আমরা তো এভাবে আসলে ভাবিনি আমি বললাম যে এই
(01:31) প্রশ্নগুলো করবার কারণে কত মানুষের প্রাণ গেছে আপনি জানেন তখন তারা দেখলাম চুপ হয়ে যাচ্ছে যারা মানবতা যাদের আছে আমি বললাম যে এই প্রশ্নগুলোই করেছিল রাজিব এই প্রশ্নগুলোই করেছিলেন হুমায়ন আজাদ এই প্রশ্নগুলোই করেছিলেন অভিজিত রায় আমরা তাদেরকে মেরে ফেলেছি আমি নিশ্চিত ভাইয়া যারা এই যারা এই নাস্তিক কিংবা সংশয়বাদীদেরকে হত্যা করেছে ইসলামের দোহাই দিয়ে ইসলামের জন্য ইসলামের জন্য হ্যাঁ ইসলামের জন্য আমাকে অনেক করতে হবে অনেক বই দেখা যায় পিডিএফ পাওয়া যায় না আমাকে কিনতে হবে এগুলো আলেমদের কাছে যাব কিছু দলিল হিসেবে রাখবো আমি সবকিছু ভুলে যেতে
(02:00) পারি আলেমরা কি জবাব দিচ্ছে একটা এই প্রশ্নের আমি সেগুলো সংরক্ষিত করছি কারণ আমার কাছে যে উত্তরটা আছে যেটা আমার কাছে হয়তো এই প্রশ্নের উত্তরটা নাই আরেকজন আলেম সে হয়তো খুবই সাধারণ তার কাছে এই উত্তরটা থাকতে পারে তা আমি এই উদ্দেশ্যে আলেমদের কিছু সাক্ষাৎ নিয়েছি যে এই নাস্তিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি কি বলবেন তারা তো এভাবে প্রশ্ন করছে আসলে কারো কাছ থেকে পাইনি বরং যখন আমার সহপারীদের কাছে প্রশ্ন করেছি তারা বসতে চেয়েছে গোজামিল দিয়েছে তখন আমাকে দেখলাম যে মুরতাদ বানিয়ে দিয়েছে মেরে ফেলবে মানে ব্যাপারটা আপনি চিন্তা করুন যে কাকে
(02:29) মারবার চেষ্টা করছে বলতো যে আসলে তো না হিসাব তো কিছুতেই মেলে না এখন এই যে এখন কি হবে এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা খুবই জ্বালাতনে ছিলাম আসলে কি করব কি করব কারণ গবেষণা শুরু করেছিলাম ইসলামের পক্ষ নিই এখন দেখছি যে সব ইসলামের বিরুদ্ধে যাচ্ছে মানে কোনভাবে ইসলামটা যে সত্য তা প্রমাণ করা যাচ্ছে না যুক্তির আলোকে তখন আমি আমি একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম হায় আমি যে গবেষণাটা শুরু করেছিলাম এটা তো উল্টো দিকে যাচ্ছে আমি ইসলামের জন্য জীবন দিব জীবন দিব এখন আমার অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে না ইসলামের কালো অধ্যায়গুলো প্রকাশ করতে গিয়ে যদি আমার জীবন যাক
(03:00) তারপর আমি মানুষের মুক্তি চাই তারপরে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্রদের মুক্তি চাই মেয়েদের মুক্তি চাই আমাদের বাবা-মারা কত কষ্ট করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তারা রোজা রাখেন এক মাস ধরে হ্যাঁ মানে ইসলামিক জীবনযাপন করতে গেলে তাদের তো অনেক কষ্ট করতে হয় একটা মুমিন দেখবে কারণ এগুলো নবীজির কথা এগুলো কোরআনের কথা হ্যাঁ সেই কথা যেগুলো আলেমরা লুকিয়েছে এতদিন ধরে আপনাদের কাছে যেগুলো আলেমরা মাহফিলে উচ্চ গলায় বলতে পারছে না সংকোচপধের কারণে প্রশ্ন আসে যে ইসলামের কথা বলতে গিয়ে সংকোচপধ কেন হবে কেন তার মানে হচ্ছে এখানে কোন ব্যাপার‑স্যাপার তো আছেই তো আমি
(03:27) চাচ্ছি আপনি যখন ইসলাম নিয়ে গবেষণা করবেন পড়বেন আপনি হাজার বিষয় সেই সংশয় হয়ে যাবেন এখন সংশয় প্রকাশ করলে আপনার আপনার শাস্তি কি আপনার পরিনাম কি মৃত্যুদণ্ড এটা কি মানা যায় এখন আমার কথা হচ্ছে যদি ইসলাম ধর্ম গবেষণা হোক রিসার্চ হোক মানুষ বুঝুক ধর্ম মেনে ধর্ম বুঝে তারপর মানুক আমার আপত্তি নাই কিন্তু ধর্ম মানতে বুঝতে গিয়ে আমার পথে অনেকেই নামবে কারণ এটা চমৎকার একটা কথা যে আপনি বিষয়টা যদি এমন হয় যে দেখেন আপনি যেভাবে আহ্বান করছেন কি চমৎকার কথা যে ধর্ম মানুষ মানুক জানুক বুঝুক এবং যদি কেউ মানতে না চেয়ে তাকে আঘাত না করুক এর চেয়ে সুন্দর এবং সহজ কথা
(03:58) তো হতেই পারে না কিন্তু এটা অনেকেই মানতে চান আমি ভাই আপনি যদি বলতেন যে আপনার এই বর্তমান যে অবস্থায় যে লাইভে এসে আপনি সত্যের জন্য চ্যালেঞ্জ করছেন মানুষকে যারা ইসলাম প্রচার তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করছেন কোন তিনটি বিষয় যদি তিনটি বিষয় বলেন যেগুলো ইসলাম আপনাকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে তিনটি বিষয় যদি আমাদেরকে উল্লেখ করতেন যে দোষ করলে চার পাঁচ জন করেছে চার পাঁচ জনের দোষের কারণে পুরো গোষ্ঠীকে পুরো বংশকে মেরে ফেলা এটা কোন ভাবী মানা যায় না এটা আমার বিবেক বলছে এখন এই বিবেকটা তো আল্লাহই দিয়েছেন দেখুন আমরা আল্লাহকে দেখিনি আমরা আল্লাহর কথাও শুনিনি আমরা
(04:26) আল্লাহ জিব্রাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ওহী অবতীর্ণ করেছেন সেই জিব্রাইলকে আমরা দেখিনি জান্নাত জাহান্নাম পুলসিরাত অদৃশ্যের অসংখ্য ব্যাপার‑স্যাপার আছে এগুলো সম্পর্কে কিন্তু আমরা জানি না দেখিনি এসব কিছুই কিন্তু আমরা শুনেছি একজন মানুষ থেকে তিনি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখন তাকে কি যাচাই বাছাই করার দরকার না যে তিনি সত্য কিনা আমাদেরকে সত্য বলেছেন কিনা তার জীবনাচার কি গবেষণার ব্যাপার না যে আমরা রিসার্চ করব গবেষণা করব এই মানুষটা আমাদেরকে সত্য বলেছেন কিনা এই মানুষটার
(04:48) কাছে আসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী এসেছে কিনা জিব্রাইল আসলে তার কাছে এসেছেন কিনা কিংবা যেটাকে কোরআন আল্লাহর কিতাব বলে দাবি করছেন এটা কি আসলে আল্লাহর কিতাব কিনা আমরা কি এই গবেষণাটা না করেই তাকে মেনে নিব এখন আমি অনেক আলেমের কাছে গেছি তাদেরকে যদি আপনি কন্টিনিউ করেন প্রথম কারণটি বলেছেন দ্বিতীয় ভাই আমি আমি হচ্ছি ঘৃণা ছড়াতে চাই না আমি এই দুদিনের দুনিয়া ভাই ভালোবাসা মিলাতে চাই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক ঘৃণা না কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি ইসলামে অসংখ্য ঘৃণা ছড়াচ্ছে ঘৃণা না ভাই মানুষটাকে মেরে ফেলছে মেরে ফেলা কোনভাবেই আমি মানতে পারছি না একটা মানুষ কতদিন আর
(05:13) বাঁচবে এই মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখলে একটা সময় তো হেদায়েতও পেতে পারে এখন যদি বলা হয় যে এই প্রশ্নের উত্তর নাই আমাদেরকে মেরে ফেলতে হবে আমি অনেক আলেমের কাছে গেছি যেটা বলতে চেয়েছিলাম তারা বলেছেন যে যুক্তির আলোকে ইসলামটাকে কখনোই বোঝা যাবে না তখন আমি একটা জায়গায় এসে আমি থমকে গেছি আটকে গেছি যুক্তির আলোকে যদি ইসলামটাকে প্রমাণ সত্য প্রমাণিত না হয় ইসলাম তাহলে তো পৃথিবীর সমস্ত ধর্মই সত্য হয় মিথ্যা হলে মিথ্যা সত্য হলে সত্য কারণ প্রত্যেকটা ধর্মাবলম্বী মনে করে তাদের ধর্ম সত্য ঠিক না এখন তাদের ধর্ম সত্য তাহলে ইসলাম কেন অন্য ধর্মের মানুষকে
(05:40) মেরেছে অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে তাদের সম্পদগুলো ছিনিয়ে এনেছে তাদের মা-বোনদেরকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করেছে তাদের নাবালিক নিষ্পাপ শিশুদেরকে কেন অমানবিক দাস প্রথার মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে আবদ্ধ তারপর দ্বিতীয় কারণ যদি বলি আমি আমার সংশয়ের একটু আগে যে তেলাওয়াত করলাম এই আয়াতে অবতীর্ণ হয়েছে হাফসার ঘরে হাফসার পালা ছিল আল্লাহর রাসূলের একজন স্ত্রী ওমর রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর মেয়ে তো হাফসার পালা দিন আল্লাহর রাসূল হাফসাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন মানে নিজের বাড়িতে তো হাফসা বাড়িতে চলে যাচ্ছিল তো এর মধ্যে কিছু একটা ভুলে গেছে
(06:08) হাফসা আবার ফিরে এসে দেখলেন আল্লাহর রাসূল তারই পালাদিন তারই ঘরে তারই বিছানায় একজন দাসীর সঙ্গে সেক্স লিপ্ত আছেন তো স্বাভাবিকভাবে একজন স্ত্রী হিসেবে এটা খারাপ লাগবেই তো খুবই রাগারাগি করছিলেন যে আপনার এতগুলো স্ত্রী আপনি কেন আবার দাসীকে ব্যবহার করতে হবে স্বাভাবিক এটা তো মনোমান্য বিরাজ করছিল তর্ক‑বিতর্ক হচ্ছিল আল্লাহর রাসূল বললেন যে হাফসাকে যে তুমি এটা আয়েশাকে বলুন কারণ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা ছিলেন কম বয়সী অভিমানী ছিলেন একটা ঝামেলা হবে এই ঝামেলায় এরা হাফসাকে নিষেধ করলেন আয়েশাকে যেন না বলা হয় কিন্তু হাফসা বলে
(06:33) দিয়েছে আয়েশাকে যা হোক আল্লাহর রাসূল যখন তাকে নিষেধ করছিলেন যে এই কথাটা তুমি আয়েশাকে বলো না তখন আল্লাহর রাসূল প্রলোভন দেখিয়েছেন হাফসাকে যে তুমি যদি না বলো তাহলে তোমার জন্য একটা সুসংবাদ আছে সেটা হচ্ছে আমার মৃত্যুর পর তো আবু বকর খলিফা হবেন আবু বকরের পর তোমার বাবা ওমর খলিফা হবেন এখন আমার যে প্রশ্ন আমি সমাধান এখানে পাইনি কিংবা যাদের কাছ থেকে পেয়েছি সেটা গোজামিল ছাড়া কিছু মনে হয়নি মানে কোন সদরত্তর পাইনি সেটা হচ্ছে দেখুন প্রত্যেকটা আয়াত এখানে অনেক কথা সময় অনেক আচ্ছা আমি প্রথমে বলি ইসলামে খেলাফতের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আব্দুল্লাহ মাসুদ
(07:03) ভাই অবশ্যই জানেন ব্যাপারটা সব প্রত্যেকটা মুসলিম আবে খেলাফতের বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আল্লাহর রাসূল এক দাসীর সঙ্গে সহবাস করতে গিয়ে স্ত্রীর কাছে ধরা খেয়েছে ধরা খেয়ে তাকে প্রলোভন দেখাচ্ছেন যে তুমি যদি আয়েশাকে না বলো তাহলে তোমার বাবা খলিফা হবে প্রলোভন না এটা কি লোভ না একজন নবী কি লোভ দেখাতে পারে এখন ইসলামীরা আমরা সবাই বিশ্বাস করি আল্লাহর রাসূল কোন কথা নিজের খেয়াল খুশি মতো বলেন না তার প্রত্যেকটা কথাই আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি বলেন প্রত্যেকটা করে এখন তাই যদি হয় তাহলে খেলাফতের বিষয়টি আল্লাহর রাসূলের পরে কে খলিফা
(07:34) হবেন আবু বকর তারপরে কে হবেন ওমর তারপরে কে হবেন ওসমান আলী এই ব্যাপারটিও তো আল্লাহর পক্ষ থেকে হওয়ার কথা ছিল আল্লাহর রাসূল এখানে আল্লাহর রাসূল যে ধরা খেয়ে প্রলোভন দেখাচ্ছেন আপনি এখানে কিভাবে হিসাব তো কিছুতেই মিলছে না আরো বিষয় আছে এই দুইটা বললাম অসংখ্য এমন বিষয় আছে এগুলো নিয়ে আমার কন্টেন্ট আছে আমি আরো বানাবো আমি শুধু চাই ভাই আপনি যে বললেন আসাদ ভাই আমি এখন কি চাই আমি চাই মানুষ পুরো ধর্মটা জানুক আমি ধর্মই প্রচার করছি আমি নাস্তিকতা প্রচার করবো না কেউ যদি বলে আমি নাস্তিক কিংবা আমি সংশয়বাদী কেন হয়েছি কোন নাস্তিকের বই পড়ে না
(08:03) কোরআনটাকে বুঝে বুঝে পড়তে গিয়ে আমি আমার এই দশা হয়েছে হাদিসগুলো আমি বুঝে বুঝে পড়তে চাই জাস্ট মাথাটাকে একটু আই কিউটাকে একটু লাগিয়েছি এটা ছাড়া আর কিছু না কোন নাস্তিক আমাকে ইমরান দ্বিতীয় যে কথাটা বলছিল সূরা তাহরিমের কথা এইখানে এই সূরা আমি একটু মুসলমানদেরকে বলব যারা আমাদের লাইভটা আজকে দেখছেন মুসলমান কিংবা অমুসলিম সবাই তারা একটু এই সূরাটা পড়বেন কোরআনের 66 নম্বর সূরা তাফসীর সহ পড়বেন মানে একজন নবী যে ব্যক্তি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বা সবার আদর্শ বা বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা লেখে যে মহানবী সেই ব্যক্তি তার মানে
(08:35) বউয়ের যেদিন পালা মানে যেদিন এই স্ত্রীর সাথে থাকবে তার তো অনেকগুলো বউ ছিল একদিন এক বউয়ের সাথে তার ঘুমানোর পালা ছিল মানে তিনি শুধু বউদের সাথে ঘুমাতেন তো যেদিন সে ঘুমানোর পালা সেদিন তিনি দাসীর সাথে ঘুমানোর চেষ্টা করেছিলেন তারপর ধরা খেলেন ধরা খাওয়ার পর বললেন কি তুমি কাউকে বলো না এবার খেলাফতের বিষয়টা যদি ওটা ওই হাদিসটার ওটার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে যাই হোক কিন্তু বউকে লোভ দেখিয়েছিল তুমি কাউকে বলো না বলো না এটা এটুকু আছে তারপরে সেই বউ যখন বলে দিল মানে হাফসা যখন বলে দিল অন্য স্ত্রীকে সেটা নবী যখন তার স্ত্রীদের কাছে কিছু একটা কথা
(09:05) লুকালো এখন এইটা আমি বলব মুসলমানদেরকে যে আপনারা দয়া করে এই সূরাটা তাফসীর সহ তাফসীর তাফসীর মানে হচ্ছে ব্যাখ্যা তাফসীর গ্রন্থ অনেক আছে তাফসীরে কুরতুবি আছে তাফসীরে তাফসীরে তাবারী আছে তাফসীরে ইবনে কাসীর আছে তাফসীর সহ একটু অনলাইনেও পেয়ে যাবেন একটু পড়বেন তো আপনার নবীর চরিত্র এবং যেটা এই মুফতি ইমরান বলছিল যে নবীর চরিত্র মানে তার চরিত্র আমাদের চেয়ে ভালো হবে আমি কিছু না আমি পৃথিবীর সকল মুসলিমকে একটা কথা এখন বলছি পৃথিবীর সকল মুসলিমকে ধরুন আমরা কিন্তু প্রত্যেকে আমাদের নিজের চরিত্র জানি সাধারণ মানুষ নাস্তিক হলে তাও মেনে নেয়া যায় কিন্তু একজন হাফেজ
(09:36) মাওলানা মুফতি সে যদি নাস্তিক হয়ে যায় এবং হাদিস পড়ে কোরআন পড়ে তাহলে সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটা বিষয় কারণ আপনি হয়তো অনেক বড় আল্লাহওয়ালা মানুষ হতে পারেন কিন্তু আপনার ঘরে আপনার পুত্র আপনার কন্যা আপনার ভাই আপনার বোন যখন তখন নাস্তিক হয়ে যেতে পারে এই মুফতি এই হাফেজ এই মাওলানা এ কিন্তু এই কুরআন তাফসীর হাদিস এগুলো পড়ে নাস্তিক হয়ে গিয়েছে আপনার ঘরে আপনার পরিবার যে নাস্তিক হয়ে যাবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কিভাবে রুখবেন তথ্যপ্রযুক্তি টেকনোলজির যুগে আপনি কখনোই তাদের তালাবদ্ধ করে রেখে এই ইনফরমেশন থেকে
(10:16) আটকাতে পারবেন না।
রিজওয়ান মাহমুদ:- এই হুজুরকে এই মুফতি সাহেবকে আসাদ নূর প্রশ্ন করেছিল যে আপনি তিনটা কারণ বলেন যে তিনটা কারণে আপনি নাস্তিক হয়ে গিয়েছেন সেই তিনটা কারণের সেকেন্ড কারণটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব এ বিষয়ে এগুলো আপনার আমার আমাদের সবার ভালো করে বোঝা উচিত বোঝা দরকার আমাদের পরিবারের স্বার্থে আমাদের সমাজের স্বার্থে আরো নির্লজ্জভাবে বললে বলতে হয় ইসলামকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে যেই আয়াতের তাফসীর পড়ে তিনি নাস্তিক হতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন সেই আয়াতটা আসলে কি ছিল সজল রোশন এবং আহলে হাদিসের বিখ্যাত বক্তা আব্দুর রাজ্জাক ইউসুফের পুত্র আব্দুল্লাহ সাহেবের
(10:57) সাথে যেই ডিবেট হয়েছিল সেখানেও এই আয়াতটাকে এসে রেফারেন্স এসে দিয়েছিল যে আপনি যদি বুখারী তিরমিজি এগুলোর প্রতি ঈমান না আনেন তাহলে আল্লাহর রাসূল তার স্ত্রীদের কি বলেছিল আপনি কি করে জানবেন এই যে আল্লাহর রাসূল তার স্ত্রীকে কি বলেছিল জানতে গিয়েই এখন ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষ তো অনেক দূর হাফেজ মাওলানা মুফতিরা পর্যন্ত নাস্তিক হয়ে গিয়েছে এবং তাদের লজিক তাদের যুক্তি ভাঙ্গার মতো বড় কোন আলেম ওলামা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না যে তাদের বোঝার কি ভুল ছিল আয়াতটা আমরা একটু দেখি যেই আয়াত মানুষকে নাস্তিক বানায় সূরা তাহরিমের তিন নাম্বার আয়াত আসার এবং
(11:37) যখন গোপনে বলেছিল নাবিয়ু নবী যখন গোপনে বলেছিল ইলা বাদি আজওয়াজিহি হাদিসা তার আজওয়াজিহি তার স্ত্রীদের একটা হাদিস একটা হাদিস নবী গোপনে বলেছিল তারপর কি করেছিল নবীর সেই স্ত্রী আরেক স্ত্রীকে সেই হাদিসটা বলে দিয়েছিল এই হাদিস বলে দেওয়ার কারণেই সকল ঝামেলার সূত্রপাত এই হাদিসটা কোন হাদিস যেই হাদিস নবী তার স্ত্রীকে বলেছিল আর স্ত্রী আরেক স্ত্রীকে বলে দিয়েছিল এই আয়াতের তাফসীর বানাতে গিয়ে তারা এমন নির্লজ্জ জঘন্য একটা ঘটনার অবতারণা করেছে যেটা শুনলে কোন সুস্থ সাধারণ স্বাভাবিক মুসলিম আর মুসলিম থাকতে পারবে না সে নাস্তিক হতে বাধ্য কিন্তু আসলে কি এই
(12:24) আয়াতে সেই নির্লজ্জ ঘটনার কথা বলা হয়েছে নাকি আমাদের এমন একটা বিষয়ের দিকে আল্লাহ নিয়ে যাচ্ছেন যেই বিষয়টা যদি পৃথিবীর মুসলিমরা মেনে চলতো তাহলে এরকম ঘরে ঘরে মুফতি মাওলানা হাফেজরা নাস্তিক আর হতো না তারা অনেক খাঁটি মুসলিম হতে পারতো এই আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহর রাসূল তার স্ত্রীদের একটা হাদিস বলেছিলেন স্পষ্ট হাদিস খুবই আশ্চর্যের বিষয় কোরআনে যখন সালাত শব্দ আসে তখন সালাতের অর্থ করা হয় নামাজ যখন সাওম শব্দ আসে এর অর্থ করা হয় রোজা কিন্তু যখন হাদিস শব্দটা আসে তখন আর এর অর্থ হাদিস লেখা হয় না এর অর্থ কথা বাণী বর্ণনা এরকম ভাবে শব্দের অর্থটাকে
(13:08) বিকৃত করা হয় হাদিস শব্দটা কুরআনে কমপক্ষে 36 বার আল্লাহ ব্যবহার করেছেন সূরা নিসার 27 আয়াতে আল্লাহ বলছেন ওমান আসকু মিনাল্লাহি হাদিসা হাদিস বর্ণনায় আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী কে খেয়াল করেছেন আল্লাহ বলছেন যে হাদিস বর্ণনায় আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী কে সূরা আরাফের 185 আয়াতে আল্লাহ বলেছেন হাদিসিন বাদাহুমিনুন অতএব এরপরে তারা আর কোন হাদিসে ঈমান আনবে সূরা ইউসুফের 111 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন মাকানা হাদিস ওয়ালাকিন তাসদিকা বাইনালিন এই কোরআন কোন বানানো হাদিস নয় বরং এর সামনে যে আসমানে কিতাব আছে তারই সত্যায়ন সবকিছুর বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং
(14:05) ঈমানদার লোকদের জন্য এ এক দিক নির্দেশনা ও অনুগ্রহ আল্লাহ বলছেন যে কোরআন কোন বানানো হাদিস নয় সূরা কাহাফের ছয় নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন লামিনু বিহাজাল হাদিসি আসফান তারা এই হাদিসে বিশ্বাস না করলে তুমি হয়তো তাদের পেছনে দুঃখে তোমার প্রাণ নাশ করে ফেলবে এই আয়াতেও আল্লাহ হাদিস বলতে কোরআনকেই বুঝিয়েছেন সূরা তাহার নয় নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন তোমার কাছে কি মুসার হাদিস এসে পৌঁছেছে সূরা শুয়ার পাঁচ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আর যখনই তাদের কাছে পরম করুণাময়ের পক্ষ থেকে কোন নতুন হাদিসের উপদেশ আসে তখনই তারা তা থেকে বিমুখ হয় সূরা
(14:52) লোকমানের ছয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন কতক লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য লাহুয়াল হাদিস ক্রয় করে এবং আল্লাহর পথ নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে সূরা জুমারের 23 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন আল্লাহু নাজ্জালা আহসানাল হাদিসা কিতাবানা মুতাশাবিহা মাসানি আল্লাহ নাযিল করেছেন আহসানাল হাদিসা উত্তম হাদিস যার অংশমূহ পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ এবং যা বারবার পঠিত হয় সূরা জাসিয়ার ছয় নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন সুতরাং আল্লাহ ও তার আয়াতের পর তারা আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে সূরা জারিয়াতের 24 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন তোমার
(15:38) কাছে কি ইব্রাহিমের সম্মানিত মেহমানদের হাদিস এসেছে সূরাতুরের 34 আয়াতে আল্লাহ বলছেন হাদিস মিসলিন তারা তাহলে এর অনুরূপ হাদিস রচনা করুক যদি তারা সত্যবাদী হয় সূরা নাজমের 59 আয়াতে আল্লাহ বলছেন হাদিস জাবুন তোমরা কি এই হাদিস শুনে বিস্ময় বোধ করছো সূরা ওয়াকিয়ার 81 আয়াতে আল্লাহ বলছেন আফাবি হাজাল হাদি আনতুম মুদহিনুন তবু কি তোমরা এই হাদিস উপেক্ষা করবে তুচ্ছ করবে অবহেলা করবে সূরা কালাম 44 আয়াতে আল্লাহ বলছেন অতএব যারা এই হাদিস অবিশ্বাস করে তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দাও আমি তাদেরকে ধীরে ধীরে এমন ভাবে পাকড়াও করব যে তারা একটু টের পাবে না
(16:31) সূরা মুরসালাত আয়াত 50 হাদিনুন তাহলে তারা এই কোরআনের পর আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে সূরা নাজিয়াত আয়াত 15 হাদিস মুসা তোমার কাছে কি মুসার হাদিস এসে পৌঁছেছে সূরা বুরুজ 17 হাল আতাকা হাদিসুল জুনুদ তোমার কাছে কি সৈন্যবাহিনীর হাদিস এসে পৌঁছেছে সূরা গাশিয়া আয়াত এক হাল আতাকা হাদিসুল তোমার কাছে কিয়ামতের হাদিস এসে পৌঁছেছে সূরা দোহা আয়াত 11 রব্বিকাদিস তুমি তোমার রবের অনুগ্রহের হাদিস বর্ণনা করো আমরা বুঝলাম যে কোরআনকে আল্লাহ বলছেন আহসান আল হাদিস আবার একই সাথে আল্লাহ বলছেন হাদিস বিল মুমিনুন এই কোরআনের আয়াতের পর তারা আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে তাহলে
(17:25) আল্লাহর কাছে আহসানাল হাদিস হচ্ছে এই কোরআন আমাদেরকেও কোরআনে সূরা জুমারের 23 আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন এই কোরআন হচ্ছে আহসান আল হাদিস এ বাদে যত হাদিস আছে সব হচ্ছে লাহুয়াল হাদিস তাহলে এই যে আয়াতে যে হাদিসের কথা বলা হলো আল্লাহর রাসূল তার কোন এক স্ত্রীকে একটা হাদিস বলেছিলেন এই হাদিস বর্ণনা করা যদি এতই ভালো জিনিস হয় তাহলে কেন আল্লাহ এই আয়াতে তার স্ত্রীদের থ্রেট দিচ্ছেন হুমকি দিচ্ছেন রাসূলের কাছ থেকে যা কিছু শোনা হয় জানা হয় মানা হয় সবকিছু পৌঁছে দিতে হবে অন্যজনের কাছে তাহলে কেন তার স্ত্রীরা একটা হাদিস শুনে রাসূলের অন্যজনের কাছে
(18:04) পৌঁছে দেয়ার কারণে আল্লাহর এরকম থ্রেটের সম্মুখীন হলো আয়াতটার পরের আয়াতটা যদি আপনি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে থ্রেটটা কোন লেভেলের ছিল যদি তোমরা দুজন আল্লাহর কাছে তওবা করো মানে যেই দুজন হাদিস চালাচালি করেছে একজন আরেকজনকে বলেছে একজন বলেছে আরেকজন শুনেছে আল্লাহ তাদের বলছেন যদি তোমরা দুজন আল্লাহর কাছে তওবা করো তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম কারণ তোমাদের উভয়ের অন্তর বাঁকা হয়েছে আর তোমরা যদি তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য করো তবে আল্লাহই তার অভিভাবক এবং জিব্রাইল ও সৎকর্মশীল মুমিনরাও তাছাড়া অন্যান্য ফেরেশতারাও তার সাহায্যকারী এই যে হাদিস
(18:46) তারা বর্ণনা করেছে এখান থেকে যদি তারা তওবা না করে তাদের বিরুদ্ধে কে দাঁড়িয়ে যাবে আল্লাহ তার ফেরেশতারা জিব্রাইল আর সৎকর্মশীল মুমিন তাহলে হাদিস বর্ণনা করা আল্লাহর রাসূলদের স্ত্রীদের জন্য কত সওয়াবের কাজ ছিল কত ভালো কাজ ছিল যে এত ভয়ঙ্কর থ্রেটের সম্মুখীন তারা হয়েছিল এবার আপনি হয়তো বলবেন যে তার বাড়িতে আল্লাহর রাসূলের বাড়িতে যে কথা হতো সেগুলো সাহাবীরা নিশ্চয়ই শুনতো জানতো সেখান থেকে তারা শিক্ষা অর্জন করতো না সাহাবীদের পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের বাড়ি ঢোকা নিষেধ ছিল যদি আল্লাহর রাসূল ইনভাইট কাউকে না করতো কিভাবে আমরা জানলাম সেখানেও
(19:26) এই হাদিসের কথাই আল্লাহ বলেছেন সূরা আহযাবের 53 আয়াতে আল্লাহ বলছেন ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু হে ঈমানদারগণ তোমরা নবীর ঘরে প্রবেশ করো না অবশ্য তোমাদেরকে আহারজের জন্য যদি আসার অনুমতি দেয়া হয় তাহলে ভিন্ন কথা মানে খাবার দাবার রান্না করে যদি তাদের ইনভাইট করা হয় দাওয়াত দেয়া হয় তাহলে ভিন্ন কথা খাবার দাবার রান্না করে দাওয়াত না দিলে ইনভাইটেশন না করলে নবীর ঘরে প্রবেশ করা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ব্যান্ড করে দিয়েছেন তার সাহাবীদের জন্য ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু লাতা তোমরা প্রবেশ করো না নবী নবীর বুয়ুতাতে ঘরগুলোতে এবার
(20:14) ইনভাইটেশন দেয়ার পর যদি প্রবেশ করেও সেখানেও কি কি বিধিনিষেধ আল্লাহ আরোপ করেছেন তবে তা এত আগে নয় যে খাবার সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষমান থাকবে ধরুন নবীর ঘরে তাদের ইনভাইট করা হলো দুপুর একটা তারা সময় গিয়ে বসে আছে এরকমও করা যাবে না একটা জাস্ট একটা যেতে হবে আগে গিয়ে আলাপ‑আলোচনা করবে বা স্ত্রীদের সাথে একটু খোঁজ গল্প করবে এরকম কোন সুযোগ আল্লাহ দেননি কেন দেননি সেটা আমরা বুঝতে পারবো সামনে আগালে এবং 1200 বছর ধরেই মুসলিমরা হারে হারে টের পাচ্ছে কেন আল্লাহ এই সাহাবীদের আল্লাহর রাসূলের ঘরে প্রবেশ ব্যান্ড করে দিয়েছিলেন নিষিদ্ধ করে
(20:55) দিয়েছিলেন বরং তোমাদেরকে যখন ডাকা হবে তখনই প্রবেশ করবে এরপর যখন খাওয়া শেষ করবে তখন বেরিয়ে পড়বে খাওয়া শেষ করার পরও কুশল বিনিময় খোষ গল্প আড্ডা স্ত্রীদের সাথে একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা এভরিথিং ইজ ব্যান্ড খাবার শেষ জাস্ট গেট আউট এন্ড গেট লস্ট আর কি এই আয়াতটুকু আমাদের একটু বোঝা দরকার ওয়ালা মুস্তাসিনা হাদি হাদিসের মধ্যে মেতে যেও না নিজেরা নিজেরা যে হাদিস বলবে আল্লাহর রাসূলের অমুক কাহিনী শুনেছি আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীর অমুক কাহিনী শুনেছি আল্লাহর রাসূল দাঁড়িয়ে প্রসাব করতেন অমুক কাজ করতেন তমুক কাজ করতেন আয়েশার
(21:38) রানের উপর শুয়ে শুয়ে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করতেন কোন হাদিসে মশগুল হওয়া যাবে না টোটালি ব্যান্ড এন্ড গেট আউট গেট লস্ট তারা নিজেরা পর্যন্ত এই হাদিস এ মশগুল থাকতে পারবে না এরপর কি বলা হচ্ছে কারণ তা নবীকে কষ্ট দেয় সে তোমাদের বিষয়ে এসব কথা বলতে লজ্জাবোধ করে আল্লাহ সত্য কথা বলতে লজ্জাবোধ করে না এরপর কি বলছেন তোমরা যখন তার স্ত্রীগণের নিকট কোন কিছু চাও তখন পর্দার আড়াল হতে তাদের কাছে চাও এটাই তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য পবিত্র এরপর কি আর তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগণকে বিয়ে করাও তোমাদের জন্য হারাম করা হলো সেটাও ব্যান্ড করে দিয়েছে
(22:24) নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বিয়ে করার পর আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীরা সেই সাহাবীদের কাছে সে আল্লাহর রাসূলের লাইফ স্টোরি বলবে ঘরে কি কি করতো সেগুলো বলবে এগুলো যেন প্রচার প্রসার না হয় আল্লাহর রাসূলের ঘর যে পুরোপুরি সেফ থাকে তার ঘরের অন্দরমহলের কোন একটা কথা কোন একটা হাদিস যেন বাইরে বের হতে না পারে কত চমৎকার একটা সিস্টেম আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই আয়াতে করেছেন ইভেন আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের পর্যন্ত বলেছেন যে তোমরা এই সাহাবীদের সাথে যদি কখনো কথা বলো একে তো বলা হয়েছে পর্দার আড়াল ছাড়া কথা বলা যাবে না যদি একান্তই কথা বলতে হয় তাহলে তাদের কর্কশ ভাষায়
(23:05) তিক্ত কণ্ঠে কথা বলতে হবে কোন মোলায়েম সুর স্বাভাবিক সুরে তারা কথা বলতে পারবে না ইভেন আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে 30 আয়াতে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে কোন অশ্লীল কাজ করে তাহলে তার শাস্তি হবে দ্বিগুণ স্বাভাবিক নারীদের হচ্ছে এক গুণ তার স্ত্রীদের জন্য হচ্ছে দ্বিগুণ 32 আয়াতে বলা হচ্ছে হে নবীর স্ত্রীগণ তোমরা তো অন্য কোন নারীর মতো নও তোমরা যদি মুত্তাকী হয়ে থাকো তবে অন্য লোকের সাথে নরম করে কথা বলবে না এরপর তোমরা তোমাদের ঘরে থাকবে অন্য নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারবে কিন্তু আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের জন্য ঘর থেকে
(23:45) বের হওয়া পর্যন্ত ব্যান্ড করে দেয়া হয়েছে আর আপনি এই আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের নামে এরকম হাজার হাজার জাল জয়ীফ বানোয়াট হাদিস অশ্লীল হাদিসগুলো প্রচার প্রসার করে বেড়াচ্ছেন কিসের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের তো ঘর থেকে থেকে বের হওয়াই ব্যান্ড তাদের বিয়ে করা ব্যান্ড তাদের সাথে কথা বলা সাহাবীদের ব্যান্ড তার বাড়ি যাওয়া রাসূলের বাড়ি যাওয়া পর্যন্ত ব্যান্ড নিষিদ্ধ এত কিছু নিষিদ্ধ করার পরও কিভাবে এরকম জঘন্য অশ্লীল কাহিনী এই সূরা তাহরিমের তিন নাম্বার আয়াত নিয়ে আপনারা বানাতে পারলেন কোন এক দাসীর ঘরে ছিল মধু খেয়েছিল দাসীর
(24:22) সাথে এইটা করেছিল হাফসা দেখে ফেলেছিল হাফসাকে ওই কথা বলেছিল ওমরকে ওই কথা বলেছিল আল্লাহর রাসূল লোভ দেখিয়েছেন এইভাবে আল্লাহর রাসূলের চরিত্রকে কলঙ্কিত যেন করা না যায় সেই সুযোগ বন্ধ করার জন্যই এতগুলো রেস্ট্রিকশন সাহাবীদের প্রতি ছিল আল্লাহর রাসূলের ঘরের প্রতি এবং আল্লাহর রাসূলের স্ত্রীদের প্রতি ছিল তারপরও যেই জাহেলেরা আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর পর যারা চিরকাল আল্লাহর রাসূলের শত্রু ছিল আল্লাহর রাসূলকে 13 টা বছর শান্তিতে থাকতে দেয়নি দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল যখন আল্লাহর রাসূলের মৃত্যু হলো তার 20 30 বছরের মধ্যেই তারা আবার ক্ষমতা
(24:58) পাকাপোক্ত করলো এবং 150 200 বছরের মধ্যে এমন হাজার লক্ষ হাদিস তারা বানিয়ে ফেলল যে ইমাম বুখারী পর্যন্ত আধা পাগল হয়ে গিয়েছেন তিনি 6 লক্ষ হাদিস কালেক্ট করে তারপর এনালাইসিস করে দেখছেন যে 99% হচ্ছে জাল জয়ীফ মিথ্যা বানোয়াট মাত্র 7563 টা হাদিস তিনি তার গ্রন্থে স্থান দিয়েছেন তাও একই হাদিস তিনবার চারবার দুবার করেও আছে যদি রিপিট বাদ দেয়া হয় মাত্র 2230 টা হাদিস 6 লক্ষ হাদিসের মধ্যে যদি আপনি 2230 টা হাদিস ধরেন 1%ও তো বলতে গেলে পড়ে না তার এগেন্স্টে জাল জয়ীফ বানোয়াট হাদিস ছিল কত কল্পনা করা যায় 5 লক্ষ 93 হাজার কমপক্ষে আর এর মধ্যে উনি
(25:46) সঠিক পেয়েছেন 7000 563 রিপিট সহ এই যে 2230 টা হাদিস সেখানেও তিনি কি করেছেন তিনি প্রতিদিন 16 বছর যে হাদিস কালেক্ট করেছেন প্রতিদিন রোজা রাখতেন প্রতিটি হাদিস পান্ডুলিপিতে সন্নিবেশনের পূর্বে গোসল করে দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মুরাকাবা ধ্যানের মাধ্যমে মোটামুটি মেন্টালি যদি মনে হতো যে বিশুদ্ধ তাহলে তিনি সেটা স্থান দিতেন শুধু তাই না তিনি বলেছেন যে আমি আমার কিতাবে প্রতিটি হাদিস লেখার পূর্বে গোসল করেছি এবং দু রাকাত সালাত আদায় করেছি আরেক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে ইমাম বুখারী তার নিজ কিতাবের শিরোনামসহ সমূহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
(26:31) ওয়াসাল্লামের কবর এবং মসজিদে নববীর মধ্যস্থলে বসে লিখেছেন এসময় তিনি প্রতিটি শিরোনামের জন্য দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন তাহলে এত মোরাকাবা মোশাহেদা নফল নামাজ ওযু গোসল সবকিছু করেও এত চেষ্টা সাধনা করেও তিনি 6 লক্ষ হাদিস টেকাতে পারেননি 2230 টা হাদিস তাও তিনি 100% কনফার্ম না এই 2230 টা হাদিস 100% বিশুদ্ধ কিনা এই 5 লক্ষ 97 হাজার আবর্জনার ভিড়ে কত ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল এখন তো ওয়াজ মাহফিলে হুজুররা বলে যে তিন লক্ষ জাল হাদিস পাঁচ লক্ষ জাল হাদিস 10 লক্ষ জাল হাদিস আছে জাল জয়ীফ হাদিসের বই একের পর এক সেই আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর থেকে শুরু
(27:17) করে প্রায় সব আহলে হাদিসের হুজুরাই লিখছেন বের করছেন এখন যদি এই অবস্থা হয় তখন কি ভয়ঙ্কর অবস্থা ছিল যে ইমাম বুখারীকে 6 লক্ষ হাদিসের মধ্যে 5 লক্ষ 93 হাজার 99%ই বাদ দিতে হয়েছে শুধু বুখারী সাহেব না প্রত্যেক সাহেবের একই অবস্থা 10 15 20 লক্ষ হাদিস কালেক্ট করে তারপর যখন মুরাক্কাবা মুশাহেদা রাবি চেইন এনালাইসিস এগুলো করতে যান দেখেন যে একটা সঠিক হাদিসের বিপরীতে 90 টা 95 টা 98 টা এরকম জাল জয়ী বানোয়াট হাদিস আল্লাহর রাসূলের নামে তখনকার মানুষ বানিয়েছে কারণ ম্যাক্সিমামই তো ছিল আল্লাহর রাসূলের পরিবারের দুশমন এরাই তো আল্লাহর রাসূলের
(27:57) পরিবারকে নির্বংশ করেছে আল্লাহর রাসূল চাচা আমির হামজার কলিজা চিবিয়ে খেয়েছে এদেরই তো মা এদের স্ত্রীরা আল্লাহর রাসূলের জামাতা হযরত আলীকে থাকতে দেয়নি একটা দিন শান্তিতে তার বিরুদ্ধে জঙ্গে জামাল যুদ্ধ করেছে 10000 মানুষ মারা গিয়েছে নারোহান যুদ্ধ করেছে 10–15 হাজার মরেছে সিফিন যুদ্ধ করেছে 40 50 60 হাজার মৃত্যুবরণ করেছে একটা দিন শান্তিতে থাকতে দেয়নি তার পুত্র ইমাম হাসানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে তার পুত্র ইমাম হোসেনকে কারবালায় কি নিঃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে ইমাম হোসেন জীবিত থাকা অবস্থায় বলা হয়েছে যে ইমাম হোসেনের
(28:33) চেয়ে আমার পুত্র বেশি যোগ্য আমি মৃত্যুবরণ করলে আমার পুত্রই হবে এরপর মুসলিম উম্মার খলিফা ইমাম হোসেনকে বলা হয় তিনি নাকি জান্নাতি যুবকদের সর্দার তার চেয়ে বেশি যোগ্য নিজের পুত্র এরা এতটা ভয়ঙ্কর ছিল আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর 20 30 বছর পরে দুটো রিলিজিয়ন দাঁড়িয়ে যায় একটা হচ্ছে কোরআনের অরিজিনাল ধর্ম আরেকটা হচ্ছে এই আল্লাহর রাসূলের শত্রু সেই আবু সুফিয়ান থেকে শুরু করে তখনকার সালমান রহমান এদের বংশ এদের সন্তান এদের স্ত্রী এদের নাতিপুতি এই উমাইয়া বংশরা সারাজীবন আল্লাহর রাসূলকে হত্যা করার চেষ্টাই করেছে একের পর এক যুদ্ধ করেছে প্রত্যেক যুদ্ধে
(29:13) এরা হাজার হাজার কোটি টাকা বর্তমান প্রেক্ষাপটে এরা ডোনেশন দিয়েছে তারপর এই আল্লাহর রাসূলকে এবং তার পরিবারের সবার চরিত্র কলঙ্কিত করার জন্য তাকে নারীলোভী তার 10–15 টা স্ত্রী ছিল তিনি দাসীর সাথে সেক্স করেছেন তিনি ছয় বছরের শিশু বিয়ে করেছেন থেকে শুরু করে শত শত লক্ষ লক্ষ এমন হাদিস বানানো হয়েছে যা শুনলে কাফের মুশরিক সাধারণ মুসলিম তো দূরের কথা আলেম ওলামা হাফেজ মুফতি মাওলানা পর্যন্ত এখন নাস্তিক হয়ে যায় যদি এগুলো তারা ভালো করে একটু পড়তে চায় যারা সাধারণ মুসলিম হাদিস কোরআন পড়তে চায় না বা পড়ে না তারা অনেক ভালো আছে ঈমান হারানোর ভয় নেই
(29:52) কিন্তু যদি কেউ এগুলো পড়তে যায় ঈমান ধরে রাখা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে না এত নির্লজ্জ নিঃশংস নিষ্ঠুর নির্মম ভয়ঙ্কর হাদিস আল্লাহর রাসূলের নামে বানানো হয়েছে অথচ এই হাদিস বলার কারণে কি ভয়ঙ্কর পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল তার দুই স্ত্রীকে তা সূরা তাহরিমের তিন নাম্বার আয়াতে পরিষ্কার সাহাবীদের কতটা রেস্ট্রিক্টেড লাইফ লিড করতে হয়েছিল তার বাড়িতে যাওয়ার কিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা আমরা আজকে দেখলাম মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই লাহুয়াল হাদিসগুলো থেকে যেই হাদিসের মাধ্যমে আল্লাহর রাসূলকে নিঃশংস নির্মম নির্লজ্জ বহুগামী পেডোফাইল এরকম ভাবে
(30:34) চিত্রায়িত করা হয়েছে এদের রচয়িতাদের এদের যারা রচয়িতা এ সমস্ত হাদিসগুলো যারা বানিয়েছে সেই ম্যাক্সিমামই তো ছিল সেই ইহুদি থেকে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা সেই কাবা লাহার মুনাব্বে এই বাহিনীরা তাদের সুবিধা দিয়েছে সেই উমাইয়া রাজবংশের সেই গৃহপালিত সেই আলেম ওলামারা যারা দরবারী আলেম ছিল তাদের রচিত এ ধরনের লাহুয়াল হাদিস থেকে আমরা যেন আমাদের ঈমান আমল সেফ রাখতে পারি নিরাপদ রাখতে পারি এবং আমাদের পরিবারের স্ত্রী-পুত্র ভাই বোন সবাইকে যেন এ সমস্ত হাদিস থেকে দূরে রাখতে পারি এবং ঈমানটাকে শক্ত করে রাখতে পারি এবং কোরআনের রজ্জুকে
(31:15) আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে পারি সেই তৌফিক যেন আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান করেন আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
Thank you So Much.….