আন‑নাবা:সংবাদ
- তারা কী নিয়ে একে অন্যকে প্রশ্ন করছে?
- সেই মহা সংবাদ সম্পর্কে?
- যে বিষয়ে তাদের মাঝে মতপার্থক্য আছে।
- কখনও না ! তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
- আবার (বলি) কক্ষনো না (তাদের ধারণা একেবারে অলীক ও অবাস্তব),তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
- (আমি যে সব কিছুকে দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে সক্ষম তা তোমরা অস্বীকার করছ কীভাবে) আমি কি যমীনকে (তোমাদের জন্য) শয্যা (রূপে) নির্মাণ করিনি?
- আর পাহাড়‑পর্বতগুলোকে পেরেক রূঁপে?
- আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি (নর ও নারীর) জোড়ায়।
- আর তোমাদের ঘুমকে (ক্লান্তি দূরকারী) বিশ্রামের উপায় বানিয়েছি।
- আর রাতকে করেছি পোশাকস্বরূপ;
- আর দিনকে জীবিকা সংগ্রহ / আয়‑রোজগারের জন্য বানিয়েছি।
- আর আমি নির্মাণ করেছি তোমাদের উপর সাতটি সুদৃঢ় অস্তিত্ব (আকাশ)।
- আর নিযুক্ত করেছি উজ্জ্বল একটি প্রদীপ।
- আর আমি মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টি নাজিল করে থাকি।
- যাতে আমি তা দিয়ে উৎপন্ন করি শস্য ও উদ্ভিদ,
- আর ঘন গাছপালাবিশিষ্ট (দুনিয়ার) জান্নাত।
- নিশ্চয়ই বিচার‑ফায়সালার দিন নির্ধারিত আছে।
- যেদিন নতুন আকৃতিতে গঠন করা হবে, সেদিন তোমরা দলে দলে এসে হাজির হবে। [ছুরত: আকৃতি গঠন‑৩:৬; ৭:১১; ৪০:৬৪; ৬৪:৩]
- আসমান খুলে দেওয়া হবে আর তাতে হবে অনেক দরজা
- পর্বতসমূহকে চলমান করা হবে, ফলে সেগুলো মরীচিকাময় হয়ে যাবে। [20:105, 56:5, 77:10, 81:3]
- নিশ্চয়ই জাহান্নাম ওঁৎ পেতে অপেক্ষায় আছে।
- অবাধ্য সীমালংঘনকারীদের জন্য আশ্রয়স্থল।
- সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে বাস করবে। [6:128, 7:156, 11:107, 40:12]
- সেখানে তারা স্বাদ গ্রহণ করবে না শীতলতার, না কোনো পানীয়ের –
- শুধু ফুটন্ত জল ও হিমশীতল পানীয় ছাড়া– [38:57]
- (নিজেদের কর্মের) এটাই উপযুক্ত প্রতিদান ।
- নিশ্চয়ই (আখিরাতের) হিসাব হবে, এমন আশঙ্কা তারা মোটেই করত না।
- আর তারা আমার আয়াতগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে মিথ্যা (প্রমাণের চেষ্টা) করেছিল।
- আর আমি সব কিছুই লিখিতভাবে (রেকর্ড) সংরক্ষণ করেছি।
- অতএব, তোমরা (শাস্তির) স্বাদ গ্রহণ করো; আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বাড়িয়ে দেব। (অন্য আর কিছু নয়)।
- নিশ্চয়ই মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা।
- বাগ‑বাগিচা ও আঙুর ।
- কলিজার টুকরা-প্রাণপ্রিয় তরুণ‑তরুণী দল। [ত্বরাবা-কলিজার টুকরা,বুকের ভেতর থেকে,মাটি ৮৬:৭; ১৬:৫৯; ৫০:৩; ৯০:১৬] [56:37]
- কানায় কানায় পরিপূর্ণ শরাবের পানপাত্র।
- সেখানে তারা শুনবে না কোন অসার অর্থহীন আর মিথ্যে কথা,
- এসব তোমার রবের পক্ষ থেকে প্রতিফল ও হিসাবমতো পুরস্কার, –
- যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে সব কিছুর রব‑প্রতিপালক, তিনি অসীম শক্তিশালী তাঁর কাছে আবেদন‑নিবেদনের শক্তি তাদের থাকবেনা।
- সেদিন রূহ (জিবরাঈল) ও (অন্য) ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে;সর্বশক্তিমান যাকে অনুমতি দিবেন সে ছাড়া অন্যেরা কথা বলবেনা এবং সে সঙ্গত কথা বলবে।
- ঐ দিনটি সত্য‑সুনিশ্চিত।অতএব যার ইচ্ছে সে তার রবের দিকে ঠিকানা বানিয়ে নিক।
- আমি তোমাদেরকে এক নিকটবর্তী শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; যেদিন মানুষ দেখতে পাবে তার হাতগুলো আগেই কী (‘আমাল) পাঠিয়েছে আর কাফির বলবে- ‘হায়! আমি যদি মাটি হতাম (তাহলে আমাকে আজকের এ ‘আযাবের সম্মুখীন হতে হত না)। [69:27]
Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)
(Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)