মুরসালাত‑প্রেরিত রাসুলগণ
- কল্যাণের জন্য একের পর এক পাঠানো (রাসুলদের) শপথ।
- অতঃপর তারা (আল্লাহর আয়াতের সত্য নিয়ে) প্রচন্ড ঝড়ের বেগে ছুটে চলে।
- তারপর কাছে-দূরে সর্বত্র (সেই আল্লাহর বাণী) ছড়িয়ে দেয়।
- যা (ন্যায়-অন্যায় সত্য‑মিথ্যার) সুষ্পষ্ট পার্থক্য করে দেয়।
- (নবী-রসূলদের অন্তরে) জিকির যারা পৌঁছে দেয় তাদের শপথ—
- (যে জিকির হাশরের মাঠে) ওজর ও অজুহাতের সুযোগ বন্ধ করে দেবে অথবা (দুনিয়ার বুকে) তাদের সতর্ক করবে!
- তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
- সুতরাং (তা ঘটবে সেই সময়) যখন নক্ষত্ররাজি-তারাগুলো ধ্বংস করে দেয়া হবে। [তামাছ‑ধ্বংস করে দেয়া ১০:৮৮]
- আর যখন আকাশ বিদীর্ণ করা হবে,
- আর যখন পাহাড়-পর্বত চূর্ণ‑বিচূর্ণ করে ফেলা হবে। [ 20:105, 56:5]
- আর যখন (হাশরের মাঠে) রাসূলগণকে নির্দিষ্ট সময়ে একত্রে উপস্থিত করা হবে।
- (এ সব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে?
- (নিশ্চয়ই) চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য।
- তুমি কি জান, সেই চূড়ান্ত ফয়সালার দিনটি কী?
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- আমি কি পূর্ববর্তী লোকদেরকে ধ্বংস করিনি?
- অতঃপর পরবর্তীদেরকে তাদের অনুগামী করব (পরবর্তীদের সাথেও একই আচরণ করব যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করবে)।
- অপরাধীদের সাথে আমি এ রকম আচরণই করে থাকি।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি?
- অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সুসংরক্ষিত স্থানে। [23:13]
- একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
- তারপর আমি পরিমাপ করেছি (পরিমাপমত সৃষ্টি করেছি)। সুতরাং আমি কত নিপুণ পরিমাপকারী !
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- আমি কি ভূমিকে ধারণকারীরূপে নিযুক্ত করিনি?
- জীবিত ও মৃতদের জন্য? [জন্ম,মৃত্যুর চক্র –3:27, 6:95, 10:31, 30:19]
- আর আমি তাতে স্থাপন করেছি সুদৃঢ় সুউচ্চ পর্বতমালা এবং তোমাদেরকে পান করিয়েছি সুপেয় পানি।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- (তাদেরকে বলা হবে) ‘চলো ( আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত সেই জাহান্নামের দিকে) তোমরা যাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করতে।
- ‘চলো সেই (ধোঁয়ার) ছায়ার দিকে যার আছে তিনটি শাখা (অর্থাৎ ডানে, বামে, উপরে সব দিক থেকেই ঘিরে ধরবে),
- যে ছায়া শীতল নয় এবং যা অগ্নিশিখার উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
- নিশ্চয়ই (জাহান্নাম) ছড়াবে (বিশাল) প্রাসাদসম স্ফুলিঙ্গ।
- মনে হবে তা হলুদ বর্ণের উটের সারি,
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- এটা এমন একদিন যেদিন তারা কোনো কথা বলতে পারবে না।
- আর তাদেরকে অজুহাত পেশ করার অনুমতিও দেয়া হবে না।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- এটাই চূড়ান্ত ফয়সালার দিন, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি।
- যদি তোমাদের কোন কৌশল থাকে তাহলে তা আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ কর।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- নিঃসন্দেহে মুত্তাকীরা থাকবে ছায়া আর ঝর্ণাধারার মাঝে। [মুত্তাকীর বৈশিষ্ট্য 2:177, 50–31+32+33, 3–15+16+17, 3–133–135, 2–3+4+5]
- আর তাদের জন্য থাকবে আকাংক্ষিত ফলমূল- যেটি তাদের মন চাইবে।
- (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাও আর পান কর, তোমরা যে ‘কর্ম করেছিলে তার পুরস্কারস্বরূপ।
- এভাবেই আমি সৎকর্মশীল‑মুহসিনদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- (ওহে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা!) অল্প কিছু কাল খাও, ভোগ করো-মজা লুটে নাও। নিশ্চয়ই তোমরা অপরাধী।
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- যখন তাদেরকে বলা হয়, “বিনয়ী হও” তখন তারা বিনম্র হয় না। (রুকু=বিনয়,ভদ্রতা,নম্রতা) [ Reference সুরা মায়েদা আয়াত ৫৫ অনুবাদ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত অনুবাদ এবং বয়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত অনুবাদ]
- সে দিন বড় দুর্ভোগ হবে তাদের, যারা (আল্লাহর কিতাবের) সত্য প্রত্যাখ্যান করে।
- তাহলে কুরআনের পর (তার চেয়ে উত্তম) আর কোন্ হাদিস আছে যার উপর তারা ঈমান আনবে? Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ) (Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)
SalamunAlakum this is very nice this article i am very impressed with this my knowledge will improve Inshallah May Allah reward you
সালা। অনুবাদটি সহজ সরল সুন্দর ও পাঠকদের বোধগম্য হয়েছে। অনুবাদকারীকে আন্তরিক অভিনন্দন।