নামাজ ও সালাত সিরিজ পর্ব ২/৫

"কুরআন না বোঝার ৫ টি কারণ" আল্লাহকে মানো রাসুলকে মানো? কিভাবে মানবো? আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাইলে রাসুলের আনুগত্য করো আশেকে রাসুল ঈমান নামাজ সালাত

(67) নামাজ ও সালাত সিরিজ পর্ব ‑২/৫) — YouTube

Tran­script:

অভিশপ্ত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই সকল প্রশংসা সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য যিনি পরম দয়ালু অসীম দয়াময় আমরা এর আগে প্রথম পর্বে নামাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। সূরা নিসার ৪৩ আয়াত নিয়ে এবং সেই সংশ্লিষ্ট আরো ১০-১৫ টি আয়াত নিয়ে আমরা আলোচনা করে বুঝেছিলাম যে না বুঝে নামাজ পড়লে কি ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন আমাদের হতে হয় এবং নামাজে আমরা কিভাবে আল্লাহর সাথে ধৃষ্টতা করি বেয়াদবি করি এবং না বুঝে নামাজ পড়ার কারণে আমরা এই যে নামাজের আধ্যাত্মিক যে স্বাদ যে তৃপ্তি সেটা থেকে কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছি। আজ দ্বিতীয় পর্ব।

 সালাত বা নামাজ দুটো শব্দই আমাদের কাছে বিদেশী ভাষা এবং সমভাবে অজ্ঞাত। মানে এর অর্থ আমরা 99% মানুষই বুঝি না। সে কারণেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে নামাজ কিভাবে পড়বো, কি?

 টুপি গোল পড়বো না লম্বা পড়বো? যদি আমরা নামাজ সম্পর্কিত প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ বুঝতাম তাহলে দেখতাম যে নামাজ কত চমৎকার একটা জিনিস। সূরা হাজের 77 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন 

“হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু করো, সেজদা করো, তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত করো এবং সৎ কাজ করো- নেক আমল করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।”

 এই আয়াতটা যদি আপনি একটু ভালো করে বোঝেন তাহলে নামাজের আসল রহস্য আসল আধ্যাত্মিকতা আসল তৃপ্তি ও স্বাদ আমার মনে হয় আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন। এখানে আল্লাহ মুমিনদের বলছেন তোমরা রুকু করো যেহেতু আমরা অর্থগুলো বুঝি না সে কারণেই আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ি। রুকু এর অর্থ হচ্ছে বিনয়ী হওয়া, বিনম্র হওয়া, নম্র হওয়া-ভদ্র হওয়া আর সিজদা শব্দের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর হুকুম মেনে চলা। রুকু এবং সিজদা এই দুটো নিয়েই আমার আলাদা দুটো ভিডিও আছে সেই দুটো ভিডিও দেখলে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন। দেখুন এই আয়াতে আল্লাহ কি বলছেন ?

আল্লাহ আগে বলছেন তোমরা বিনয়ী হও বিনম্র হও মানে রুকু করো। তারপর বলছেন সিজদা করো মানে আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলো। তার আদেশ‑নিষেধ মেনে চলো। তারপর রলেছেন, তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত করো।

 আমরা তো ভাবি যে নামাজ হচ্ছে ইবাদত। যদি আমরা তাই ভেবে থাকি তাহলে এই সূরা হাজের 77 নাম্বার আয়াত আমাদের কি শিক্ষা দেয়? আল্লাহ বলছেন যে আগে তোমরা রুকু করো। অর্থ্যাৎ আগে তোমরা বিনয়ী হও বিনম্র হও নম্র হও ভদ্র হও ।তারপর আমার হুকুম আহকাম আদেশ নিষেধ মেনে চলো। তারপর তোমাদের পালনকর্তার ইবাদতে এসো। ইবাদত থেকে বের হয়ে তারপর তোমরা নেক আমল করো সৎ কাজ করো। তাহলে কি হবে? আল্লাহ আয়াতের শেষ অংশেই বলছেন “যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।

 আমরা তো জানি যে আল্লাহর দৃষ্টিতে সফলকাম হওয়া মানে কি? আমরা মহাসুখের জান্নাতের অধিকারী হতে পারব। এ কারণেই আমরা রুকু না করে সেজদা না করে যখন নামাজে দাঁড়াই এবং নামাজে দাঁড়িয়ে আমরা রুকু এবং সেজদা করতে চাই আর সে কারণেই এই নামাজ আমাদের মানসিক তৃপ্তি দেয় না সে কারণেই নামাজ আমাদের পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে না।

 দেখুন আল্লাহ সূরা ফুরকানের সাত নাম্বার আয়াতে কি বলছেন “তাদেরকে যখন বলা হয় দয়াময় কে সেজদা করো মানে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলো তখন তারা বলে দয়াময় আবার কে? এই যে আমরা কথায় কথায় বলি ও দয়াল ও দয়াল ।

দয়াল আল্লাহ তো তখনই আপনার উপর দয়াল হবেন রহমান হবেন যখন আপনি আল্লাহর আদেশ‑নিষেধ মেনে চলবেন মানে তাকে সিজদা করবেন।

 সূরা আরাফের 206 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই যারা তোমার পরোয়ারদিগারের সামনে রয়েছে তারা তার বান্দেগীতে অহংকার করে না এবং স্মরণ করে তার পবিত্র সত্তাকে।”

 আর তাকেই সেজদা করেন মানে তার আদেশ নিষেধ হুকুম আহকাম মেনে চলেন।

 সূরা হাজের 18 নম্বর আয়াতে বলেছেন “তোমরা কি দেখো না আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে যা কিছু আছে ভূমণ্ডলে? সূর্য চন্দ্র তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা জীবজন্তু এবং অনেক মানুষও।”

 আল্লাহ বলছেন তোমরা কি দেখো না?  আসলেই আমরা দেখি না যে নভোমন্ডলে আকাশমন্ডলে ভূমণ্ডলে সূর্য চন্দ্র তারকারাজি পর্বত রাজি বৃক্ষ লতা জীবজন্তু সবাই আল্লাহকে সেজদা করে- মানে আল্লাহর হুকুম মেনে চলে। সেজন্য সূরা হাজের 77 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী আমরা আল্লাহর প্রতি বিনয়ী বিনম্র হব ভদ্র হব মানুষের প্রতিও বিনম্র হব এবং আল্লাহকে সেজদা করব মানে আল্লাহর আদেশ নিষেধ হুকুম আহকাম মেনে চলবো তারপর আমরা আল্লাহর ইবাদতে নামাজে দাঁড়াবো নামাজ থেকে বেরিয়ে সৎ কাজ করব নেক আমল করবো তাহলেই আমরা সফল হতে পারবো জান্নাতে যেতে পারবো।

 যখন আমরা সূরা হজ্জের এই 77 নাম্বার আয়াতটাকে পুরোপুরি নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবো তখন নামাজে দাঁড়ালে আর হাত পেটে বাঁধবো না বুকে বাঁধবো আমিন জোরে বলবো না আস্তে বলবো টুপি গোলটা পড়বো না লম্বাটা পড়বো এসব নিয়ে আমাদের আর দলাদলি হবে না মারামারি হবে না ঝগড়া ঝাঁটি হবে না কারণ তখন আমরা বুঝতে পারবো নামাজের প্রকৃত আধ্যাত্মিক রহস্যটা।

 যখন আমরা আল্লাহর সকল আদেশ‑নিষেধ মেনে চলে তাকে রুকু করে সেজদা করে নামাজে দাঁড়াবো তখনই আমরা আল্লাহর সাথে পরিপূর্ণ আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবো। আমরা এর আগের পর্বে আলোচনা করেছিলাম যে নামাজ এক ধরনের প্রার্থনা এবং এই হাদিসবিদরাই বলেন যত প্রার্থনা যত দোয়া আছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়াই হচ্ছে নামাজ।

 তো এই যে নামাজ বা প্রার্থনা এরই আরেকটা বাংলা নাম আছে সেটা হচ্ছে ভিক্ষা। কারো কাছে কাকুতি মিনতি সহকারে কোন কিছু প্রার্থনা করাকেই ভিক্ষা বলে। দেখুন কোন ভিক্ষুককে ভিক্ষা কিভাবে করতে হয় কিভাবে কাকুতি মিনতি করতে হয় সেটা কিন্তু শিখিয়ে দিতে হয় না। কতটুকু দূরে দাঁড়াতে হয় হাত কতখানি বাড়াতে হয় বসতে হয় না দাঁড়াতে হয় কিছু কি শেখাতে হয়।

 তার কথার সুর এবং তার কথার স্বর কেমন হওয়া উচিত কি বলা উচিত আর কি বলা অনুচিত তা কখনোই কোন ভিক্ষুককে শিখিয়ে দিতে হয় না বরং তার দুঃখ কষ্ট বেদনা অভাব অনটনের কষাঘাত ও  তার পেটের চাহিদা অনুযায়ী সে নিজেই তার সর্বোচ্চ আবেগ ও সর্বোচ্চ সাধনা দিয়ে ভিক্ষা করতে পারে বা ভিক্ষা চাইতে পারে। প্রার্থনা করতে পারে প্রার্থনা চাইতে পারে।

 অন্যদিকে আপনি যদি কোন ইংরেজ বা চাইনিজ লোককে বাংলাদেশে এনে ভিক্ষাবৃত্তি শেখান আর বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণের দশটি করে সওয়াবের কূটনৈতিক চালে তাকে ফেলে দেন এবং বলেন যে

 “স্বরে অ, স্বরে আ, হ্রস্ব ই দীর্ঘ ঈ প্রতিটি বর্ণে তুমি দশটি করে সওয়াব পাবে নেকি পাবে। তাহলে সে অবশ্যই আপনাকে প্রশ্ন করবে তাহলে ভিক্ষা কিভাবে করব? কি কি বলতে হবে আমাকে? কোন পদ্ধতিতে বলতে হবে? আমার স্বর কেমন হবে? হাত কোথায় উঠবে? আমার শরীরে কোন ধরনের পোশাক থাকবে?

 তারপর আপনি কি করবেন?  আপনি তাকে ভিক্ষার ব্যাখ্যা তাফসীর ওয়াজ মাহফিল করে নসিহত করে শেখাবেন? অভিনয় করে?  কিভাবে তাকে সেরা পদ্ধতিতে ভিক্ষা করতে হবে সেটাও শেখাতে হবে? তারপর সে তার নিজের দেশে গিয়ে অবিকল ওইভাবে শিখিয়ে দেয়া অভিনয় পদ্ধতিতে ভিক্ষা করবে? কিন্তু সে যখন বাংলা ভাষায় ভিক্ষা শিখে তার চাইনিজ ভাষার দেশে বা ইংরেজী ভাষার দেশে গিয়ে ভিক্ষা চাইবে সে কি আবেগ অনুভূতি নিয়ে তার নিজের কষ্ট দুঃখ বেদনা অভাব অনটন যন্ত্রণা অনুযায়ী আকুতি-মিনতি করে অন্যজনের কাছে ভিক্ষা চাইতে পারবে? যেহেতু বাংলা তার মাতৃভাষা নয় ? কোনদিনও সে চাইতে পারবে না। এটা অসম্ভব। তখন তার ফোকাস থাকবে সে কোন পোশাকটা পড়বে তার মাথায় গোল টুপি হবে না লম্বা টুপি হবে, তার হাতটা সে কোথায় বাঁধবে? স্বর কতটুকু উঁচু হবে। জোরে বলবে না আস্তে বলবে? এগুলোর উপরই তখন তার সমগ্র মনোযোগ ও ফোকাস থাকবে। কিন্তু এর যে গভীর তাৎপর্যটা যার কাছে সে ভিক্ষা চাইবে তার সাথে হৃদয়ের ভেতর থেকে উঠে আসা সংযোগ তার সাথে যে হৃদয় নিংড়ানো আকুতি মিনতি সহকারে চাওয়া সেটা থেকে সে তখন বঞ্চিত হবে এই আসল রহস্যটাই আসল তৃপ্তিটাই তার সমগ্র জীবনে সে কখনো অর্জন করতে পারবে না।

 আরো একটা বিষয় আলোচনা করা খুব জরুরি আর তা হলো নামাজে আমরা আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে তার সামনে দাঁড়াই তারপর তার গুণগান করি তার কাছে আবেদন নিবেদন করি তাকে বলি ওগো আল্লাহ সকল প্রশংসা তোমারই জন্য। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন- আল্লাহ গো আর রহমানির রাহিম তুমি পরম দয়ালু আল্লাহ, তুমি অসীম দয়াময়। আল্লাহ গো তুমি মালিকি ইয়াওমিদ্দিন- তুমি হাশরের মাঠে আমার বিচার করবে তখন তোমার সামনে আমাকে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহ গো ইয়াকা নাবুদু ইয়াকা নাস্তাইন। আল্লাহ গো আমি তোমার গোলামী করি আল্লাহ । আল্লাহ আমি তোমার দাসত্ব করি আর শুধু তোমারই কাছে আমি সাহায্য চাই গো আল্লাহ । ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম তুমি আমাকে সঠিক সহজ সরল সিরাতুল মুস্তাকিম এর পথ দেখাও।  সিরাতাল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম। আল্লাহ গো- যেই পথে চলে তোমার পেয়ারা বান্দারা তোমার পেয়ারা গোলামেরা জীবনে সফল হয়েছে সেই  সিরাতাল মুস্তাকিম এর পথ দেখাও।  সেই সহজ সরল পথ দেখাও। ইয়াকা নাবুদু ইয়াকা নাস্তাইন আল্লাহ গো আমি তোমার গোলামী করি আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ আমি তোমার দাসত্ব করি আল্লাহ আল্লাহ আমি তোমার সকল হুকুম আহকাম মেনে চলি আল্লাহ।  আল্লাহ তুমি যা বলেছো আমি তাই করি। আমি সুদ খাই না আমি ঘুষ খাই না আমি মানুষের উপর জুলুম করি না আমি গীবত করি না আমি মিথ্যা বলি না আমি চোগলখোরি করি না।  আল্লাহ গো তোমার সকল আদেশ নিষেধ আমি মেনে চলি আল্লাহ।

আমি মানুষকে দান করি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করি মানুষের সাথে মিথ্যা বলি না গীবত করি না কাউকে কষ্ট দেই না কারো উপর জুলুম করি না আল্লাহ।  আল্লাহ আমি তোমার সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলি আল্লাহ আমি তোমার পারফেক্ট গোলাম আল্লাহ । আমি তোমার খাটি দাস আল্লাহ। 

 একজন গোলাম যেমন তার মালিকের সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলে আল্লাহ আমিও তেমনটাই করি।আমি শুধু তোমার কাছেই সাহায্য চাই গো আল্লাহ।  কি সাহায্য চাই জানো আল্লাহ?  তুমি আমাকে সহজ সরল সঠিক সিরাতুল মুস্তাকিম এর পথ দেখাও । সিরাতুল মুস্তাকিম এর সেই পথ আল্লাহ,  যেই পথে তোমার প্রিয় বান্দারা গিয়েছে। আল্লাহ সেই পথটা আমাকেও দেখাও।

 আল্লাহ গো আমি তো ইয়াকা নাবুদু আল্লাহ। আল্লাহ গো আমি তো তোমার গোলামী করি আল্লাহ।  আল্লাহ গো আমি তো তোমার দাসত্ব করি। আল্লাহ গো গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম। আল্লাহ গো সেই পথ আমাকে দেখিও না আল্লাহ যেই পথে মানুষ চললে তোমার গজব পড়ে। সেই পথটা কোন পথ আমি তো জানি আল্লাহ। সেই পথে চললে ঘুষ খেতে হয়, সুদ খেতে হয়, মানুষের উপর জুলুম করতে

হয়। গীবত করতে হয় মিথ্যা বলতে হয়  শুধু অপকর্মই করতে হয়।

 আল্লাহ গো সেই পথে তুমি আমাকে চালিও না আল্লাহ।

 তাহলে কি হবে জানি তো আমি। আল্লাহ গো-গাইরিল মাগদুবি আলাইহুম হয়ে যাবে আল্লাহ। তখন আমার উপর গজব পড়বে আল্লাহ। আল্লাহ গো তখন আমার উপর অভিশাপ পড়বে। আমি তখন অলাদ দল্লিন হয়ে যাব আল্লাহ। আমি তো তখন পথভ্রষ্ট হয়ে যাব আল্লাহ। আমাকে তুমি সেই পথে চালিও না আল্লাহ।

 এইভাবে যখন আপনি অর্থ বুঝে জীবনে একটিবারের জন্যও এই সূরাটার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নামাজ পড়বেন প্রার্থনা করবেন ভিক্ষা চাইবেন কাকুতি মিনতি সহকারে- তখন দেখবেন যে নামাজের প্রকৃত রহস্য প্রকৃত পরিতৃপ্তি আপনি উপলব্ধি

করতে পারবেন। আল্লাহর সাথে তখনই আপনার সালাত কায়েম হবে আল্লাহর সাথে তখনই আপনার সম্পর্ক স্থাপিত হবে সম্পর্ক তৈরি হবে। তখনই আপনি আপনার অন্তরে আল্লাহর ফয়েজী নূর উপলব্ধি করতে পারবেন। 

 আর যদি আপনি না বুঝে দিনের 50 ওয়াক্ত পড়েন 500 বছর 1000 বছরও প্রতিদিন 1000 রাকাত করেও এই নামাজ পড়েন কোনদিনই আপনি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন না। কোনদিনই আপনি পরিপূর্ণ হেদায়েত পাবেন না, প্রার্থনায় পরিতৃপ্তি পাবেন না।

 এবার আসি দ্বিতীয় পয়েন্টটাতে। আমরা আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে তার নিকট আত্মসমর্পণ করে মানে মুসলিম হয়ে  এই সূরা ফাতেহার মাধ্যমে তার প্রশংসা করে তার গুণগান করে তার কাছে মনের আকুতি-বিনতি-মিনতি করি এবং তার যে সকল হুকুম আহকাম আমি মেনে চলে পরিপূর্ণ গোলাম বা দাস হয়েছি ইয়াকা নাবুদু ইয়াকানাস্তাইন হয়েছি সেই দাস হয়ে সেই অধিকার নিয়ে যেহেতু আমি তার সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলি তার পরিপূর্ণ গোলাম বা দাস আমি হতে পেরেছি তার ইবাদত যেহেতু আমি করি সেই অধিকার নিয়েই আমি আল্লাহর কাছে আরেকটা আবেদন করি যে “আল্লাহ গো আমাকে তুমি সহজ সরল সিরাতু মুস্তাকিমের পথ দেখাও যেই পথে তোমার প্রিয় গোলামেরা গিয়েছে আর সেই পথ দেখখিও না যেই পথে চললে মানুষের উপর তোমার অভিশাপ বা গজব নাযিল হয়। এই আকুতি মিনতি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে ডানে বায়ে সালাম ফিরিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে আমি বিদায় নেই।

 এখন আমার প্রশ্ন যখন আমি ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে বিদায় নেই তখন তো আমি আর নামাজে রত নেই, আমার নামাজ আমার প্রার্থনা আমার দোয়া শেষ বা সমাপ্ত করি। ঠিক তারপরই দুই হাত তুলে আপন সন্তান থেকে শুরু করে 14 পুরুষ পর্যন্ত দোজখ মাফ করিয়ে বেহেশতে ঢুকিয়ে নেয়ার যে সুপারিশ আর শাফায়াত গুলো আল্লাহর কাছে করি এবং  টাকা-পয়সা ঘরবাড়ি ধন দৌলত চাই দুই হাত তুলে। নামাজটা শেষ করে , সমাপ্ত করে। কার কাছে চাই?

 তার দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকে হাজির নাজির জেনে নামাজে দাঁড়িয়ে তামার সকল আবেদন নিবেদন বলে  সালাম ফিরিয়ে যখন আমি সব শেষ করে ফেললাম পূর্ণাঙ্গ করে ফেললাম সমাপ্ত করে ফেললাম । তখন এই দুই হাত তুলে আমরা কোন আল্লাহর কাছে এই দোয়াগুলো করি?

 আর আল্লাহর রাসূল কি এমন অন্যায় করেছিলেন?কি এমন পাপ করেছিলেন? কি এমন অপরাধ করেছিলেন যে কারণে অমুকের মত আলেম আর আমার মত জালেম মুরতাদ ঘুষখোর ধর্ম ব্যবসায়ী আমার মত গীবতকারী আমার মত মহাপাপিষ্ঠ আল্লাহর রাসূলের জন্য শান্তি আর বেহেশত নসিবের সুপারিশ করি যুগ যুগ ধরে? আল্লাহর রাসূল কি এমন অন্যায় কি এমন পাপ করেছিলেন? আবার আযানের সময় আল্লাহকে অভিযুক্ত করে আমরা বলি তুমি তো ওয়াদা ভঙ্গ করো না?

 কেন এখনো নবীর উপর রহমত বর্ষণ করছো না? কেন এখনো তাকে মাকামে মাহমুদে

পৌঁছাচ্ছ না? এটা আল্লাহর প্রতি কি পরিমাণ ঠাট্টা আর উপহাস কি পরিমাণ বেয়াদবি আপনি ভাবতে পারছেন?

 তারপর আবার দুরুদ পড়ছেন? সেই দুরুদও কিন্তু প্রার্থনা বা মোনাজাত। কিন্তু আশ্চযের বিষয় হচ্ছে মোনাজাত মানেও প্রার্থনা নামাজ মানেও প্রার্থনা আবার দুরুদ মানেও প্রর্থনা মোল্লারা বলে।  এই দুরুদ কোথা থেকে আসলো? এটা কি আরবী শব্দ? এক কেন মোল্লােরা সালাত বলে আরবিতে? রহ্স্য কি? 

সূরা আহযাবের 56 নাম্বার আয়াত অপব্যাখ্যা করে আপনি নবীর প্রতি দুরুদ পড়ছেন? কেন ? যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি উত্তরে বলেন সূরা আহযাবের 56  আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ইন্নাল্লাহা ওয়ামালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান নাবী নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি সালাত করে বা নবীর প্রতি সাল্লু করে। এজন্য ইয়া  আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লুনাআলাইহি ওয়াসাল্লিমু

তাসলিমা।  তোমরাও নবীর প্রতি সালাত করো সাল্লু করো। আমি মেনে নিলাম আপনার তাফসীর আপনার ব্যাখ্যাটা সঠিক। আমি ধরেই নিলাম উহা সত্য ব্যাখ্যা। তাহলে আপনি বলুন তো আল্লাহ এই আয়াতে কি বলছেন? আল্লাহ বলছেন যে তিনি নবীর প্রতি সল্লু করেন, তার ফেরেশতারাও নবীর প্রতি সল্লু করে। সুতরাং হে মুমিনগণ তোমরাও নবীর প্রতি সল্লু করো। আল্লাহ তো বলছেনই যে তিনি নিজেই প্রথমে সল্লু করছেন তার ফেরেশতারাও সল্লু করছে তোমরাও সল্লু করো। তাহলে আপনি কেন সল্লু করছেন না?

 আপনি কেন উল্টো ঘুরিয়ে আল্লাহকেই বলছেন যে আল্লাহ তুমি সাল্লু করো? আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদ? আল্লাহ তুমি নবীর

উপর সল্লু করো? মোম্মদের উপর সাল্লু করো? আরে বাবা আল্লাহ তো প্রথমেই বলেছেন এই আয়াতের শুরুতেই যে তিনি নিজেই সাল্লু করেন। ফাস্ট কাজটাই তিনি করেন তিনি নিজেই আল্লাহর নবীর প্রতি সল্লু করেন। তারপর করে ফেশেতারা। এবার আল্লাহ আপনাকে থার্ড স্টেপে অর্ডার দিয়েছেন যে তোমরা মুমিন যারা আছো তোমরা নবীর প্রতি সল্লু করো। আপনি সল্লু না করে উল্টো আল্লাহকে অর্ডার দিচ্ছেন আল্লাহ তুমি করো? আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ- তুমি নবীর প্রতি সল্লু করো? আপনি কি বোকা না গাঁধা না গর্ধব? আপনি উর্টো ঘুরিয়ে কেন আল্লাহকেই অর্ডার দিচ্ছেন?

 আল্লাহ কি আপনার গোলাম না দাস? আল্লাহ তো আপনাকে আয়াতের প্রথমেই বলেছেন যে তিনি নিজেই ছল্লু করছেন। তারপর আপনাকে অর্ডার দিয়েছেন সাল্লু করতে। এবার আপনার কাজ নবীর প্রতি সল্লু করা আপনি কেন সালাত করছেন না? কেন ঘুরিয়ে আল্লাহকেই আবার অর্ডার দিচ্ছেন যে তুমি এখন নবীর প্রতি সল্লু করো- আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ?

 আমি বুঝিনা মানুষ কিভাবে এতটা অজ্ঞ হতে পারে মূর্খ হতে পারে এবং কিভাবে পারে এমন ধৃষ্টতা দেখাতে যে উল্টো আল্লাহকেই অর্ডার দেয় যে আল্লাহ তুমি নবীর প্রতি সল্লু করো।

 তারপরও আমি ধরে নিলাম যে আল্লাহ এখানে দরুদ পড়তে বলেছেন এ কারণে আপনি দরুদ পড়েন। নবী সারাজীবন অনেক পাপ করেছে অন্যায় করেছে আপনি দরুদ না পড়লে সেই পাপ থেকে তার নিষ্কৃতি মিলবে না আপনি দরুদ না পড়লে তাকে মাকামে মাহমুদে আল্লাহ পাঠাবেন না। আপনি দরুদ না পড়লে তার কপালে জান্নাত নসিব হবে না। 

আচ্ছা ভালো কথা আপনি নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর প্রতি দুরুদ করেন । এই আয়াতে নাকি আল্লাহ তার প্রতি দুরুদ করতে বলেছেন । ঠিক আছে আপনি তার প্রতি দরুদ করেন।  কিন্তু আপনি তার সাথে সাথে তার ছেলেমেয়ে স্ত্রী জামাতা নাতি নাতনিদের কেন ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? আল্লাহ তো নাকি এই আয়াতে বলেছেন আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সল্লু করেন সুতরাং তোমরাও নবীর প্রতি সল্লু করো।  তাহলে আপনি নবীর প্রতি সল্লু করবেন । তাহলে দুরুদের মধ্যে তার ছেলেমেয়ে নাতিপুতিদের কেন ঢুকিয়ে দিচ্ছেন? ছেলে মেয়ে নাতিপুতি আহলে বাইত স্ত্রী-জামাতাদের এর মধ্যে কি আল্লাহ ঢোকতে বলেছেন নাকি শুধু নবীর প্রতি সাল্লু করতে বলেছেন? তিনি ও তার ফেরেশতারা কার কার প্রতি সাল্লু করেন?

 আপনি এলাকার এমপি সাহেবের কাছে গেলেন। এমপি সাহেব আপনাকে ৳1000 টাকা দিয়ে বলল তোমার এলাকাযর মসজিদে যে ইমাম সাহেব ছিল সে তো অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে এই নাও সামনে কোরবানির ঈদ আসছে এই ৳1000 টাকা নাও সেই গরীব লোকটাকে দিও।  আপনি গ্রামে আসলেন এসে ওই ৳1000 টাকার 100 টাকা সেই ইমাম সাহেবকে দিলেন আর বাকি টাকা তার ছেলেমেয়ে নাতিপুতি জামাইদের এবং তার আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে ভাগ করে দিলেন। এটা কি ধরনের ফাজলামো হলো? এই 100 টাকা 200 টাকা দিয়ে সেই লোকটার কতটুকু উপকার হবে? দ্বিতীয়ত 

এমপি সাহেব কি বলেছিলো? বলেছিলেন ইমাম সাহেব নিদারুণ অসহায় অবস্থায় আছে।  আপনি সেই ইমাম সাহেবকে না দিয়ে বা তাকে একটু আধটু দিয়ে এমপি সাহেবের আদেশ লংঘণ করে একই  সাথে তার ছেলেমেয়ে নাতিপুতি শালক‑শ্যালিকা সবাইকে সেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন কেন? এটা কি ধরনের ফাজলামি? আপনাকে কি এমপি সাহেব এরকম অর্ডার দিয়েছেন যে তুমি ইমাম সাহেবকে 1000 টাকা

দিবা বা 500 টাকা দিও বা 100 টাকা দিও আর বাকি টাকা তার ছেলেমেয়ে নাতিপতি বাকি সবাইকে ভাগ করে দিও? আপনাকে এমপি সাহেব সামনে পেলে তো তার গালের দাঁতগুলো ফেলে দিত। এত বেশি তুমি কেন বোঝো? এত হালের আগে তুমি কেন হাঁটো? এত ফাদার অ্যাডভান্স কেন তুমি? আমি তো তোমাকে অর্ডার দিয়েছি শুধু ইমাম সাহেবকে টাকা দিতে তার ছেলেমেয়ে নাতিপুতি শ্যালক শ্যালিকাকে তো দিতে আমি বলিনি।

 আর ছেলেমেয়ে হলেই যে তারা একেবারে জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে এমন কোন কথাও তো আমি বলিনি? আমি তো উল্টো কুরআনে বলেছি যে নূহ নবীর ছেলেও পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং নূহ নবী যখন বলেছিল যে “আল্লাহ আমার ছেলে পানিতে ডুবে যাচ্ছে। আল্লাহ ওতো আমার আহল-আমার পরিবার। আল্লাহ বলেছেন, খবরদার নূহ! সে তোমার পরিবারের কেউ নয়। ইব্রাহিম নবীর যখন দোয়া করেছিল তার বাবার জন্য আল্লাহ বলেছিলেন ইব্রাহিম খবরদার! তোমার বাবা তোমার পরিবারের কেউ নয়। লুত নবীর স্ত্রীর কথাও আমরা জানি। সে কথাও আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আমাদের বুঝিয়েছেন শিখিয়েছেন যে লুত নবী, তোমার স্ত্রী তোমার পরিবারের কেউ নয়।

 সেখানে আপনি আল্লাহর নবীর স্ত্রী পুত্র সন্তান বাবা-মা ভাই বোন নাতিপুতি শালক‑শালিকা তালই মাওই জামাই সবাইকে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন?

 ১৪ গোষ্ঠীকে ঢোকানোর কথা কি আল্লাহ সূরা আহযাবের 56 আয়াতে বলেছেন?  আমি আপনার কথা মেনেই নিলাম যে আল্লাহ নবীর প্রতি সল্লু করতে বলেছেন। দরুদ পড়তে বলেছেন। আপনি নবীর প্রতি পড়বেন, তাহলে পড়েন। অন্তরের অন্ঃস্থল থেকে নবীর প্রতি পড়েন। আপনি তার ছেলেমেয়ে ভাই ভাতিজা নাতিপুতির প্রতি কেন পড়ছেন? এটা কোন যুক্তি?

 এটা কি আল্লাহর আদেশ লংঘন করা নয়? আল্লাহ তো আপনাকে বলেছেন শুধু নবীর প্রতি দুরুদ করতে আল্লাহ তো আর কারো কথা বলেনি অন্য কাউকে যুক্তও করতে বলেন নি। তাহলে আল্লাহর আদেশ ভায়োলেট করে কেন অন্যান্যদের নাম ঢোকাচ্ছেন শুধু সেখানেই আপনি থেমে নাই এর মধ্যে আপনি আবার নবী ইব্রাহিম এবং তার ছেলেমেয়ে নাতিপতি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন কেন এখানে কি ইব্রাহিম নবীর কথা বলা হচ্ছে আল্লাহ বলেছেন আর

আপনার আপনার কি মনে হয় যে আল্লাহ ইব্রাহিম নবীকে খুব ভালোবাসেন অন্যান্য নবীদের খুব খারাপ জানেন অথবা আল্লাহর নবী মোহাম্মদ সালামু আলা মুহাম্মদকে খুব ভালো জানেন অন্যান্য নবীদেরকে খারাপ জানেন আল্লাহ ঈসা নবীকে খারাপ জানেন আল্লাহ মুসা নবীকে খারাপ জানেন যার সাথে তিনি প্রায়ই কথা বলতেন আল্লাহ ঈসা নবীকে খারাপ জানেন যাকে তিনি রুহুল্লাহ বলেছেন আল্লাহর রুহু বলেছেন। আপনি ঈসা নবীর প্রতি দরুদ পড়েন না কেন আপনি মুসা নবীর প্রতি দরুদ পড়েন না কেন? পড়ছেন না তবে জিজ্ঞেস করলে তো বলবেন যে না আল্লাহ তো বলছে নবীর প্রতি পড়তে তাহলে নবীর প্রতি আপনি পড়েন। আপনি এর মধ্যে স্বতন্ত্র নবী কেন নিয়ে আসছেন? 

যেই অর্ডার আল্লাহ আপনাকে সূরা আহযাবে দেননি আপনার তাফসীর আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী আপনাকে আমি যুক্তি দিয়ে বলছি আল্লাহ  নবীর প্রতি দরুদ পড়তে তার ছেলেমেয়ে নাতিপতি বংশধরদের প্রতি তার আহলদের প্রতি দোয়া করতে আপনাকে সূরা আহযাবের 56 নাম্বার আয়াতে দেননি আপনি এটা কেন করছেন তাও আমি একটা অনুমান করতে পারি সেটা হচ্ছে ইহুদি এবং খ্রিস্টান থেকে যারা ধর্মান্তরিত হয়েছিল তারাই আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর 150 200 বছর পরে এই দরুদ ঢুকিয়ে দিয়েছে আপনাকে নবী পূজারি বানিয়ে তাদের মতো কারা যেভাবে ঈসা ও মুসা নবীকে পূজা করে সেরকম পূজা করানোর জন্য।আর এটাই তো বিতাড়িন শয়তানের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার‑মানুষ আল্লাহওয়ালা ও আশেকে মাওলা না হয়ে হবে আশেকে রাসুল। লংঘন করবে সুরা বাকারার ১৬৫ আয়াত। ধীরে ধীরে মনের অজান্তে হয়ে যাবে পথভ্রষ্ট।

রিজওয়ান মাহমুদ খান , পরিচালক (তাজকিয়া নফস)

1 thought on “নামাজ ও সালাত সিরিজ পর্ব ২/৫

  1. ইয়া আল্লাহ, আমাকে এবং সকল মুসলিম ভাইদের সালাত কায়েম করার তৌফিক দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *