(106) নামাজের ওয়াক্ত মানুষের বানানো? ২০ টি কারন ( কুরআন থেকে দলিলভিত্তিক প্রমাণসহ) — YouTube
https://www.youtube.com/watch?v=Uh1yiMZuT30
Transcript:
সালামুন আলাইকুম, বিতাড়িত শয়তান থেকে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই, সকল প্রশংসা সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য যিনি পরম দয়ালু অসীম দয়াময়। শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে।
ওয়াক্ত, ইসলামী পরিভাষায় নামাজের নির্দিষ্ট সময়কেই বলা হয় ওয়াক্ত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কুরআনে কেন এই ওয়াক্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি? অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের ছয় নাম্বার সূরার 114 নাম্বার আয়াতে 11 নাম্বার সূরার এক নাম্বার আয়াতে 41 নাম্বার সূরার তিন নাম্বার আয়াতে এবং 17 নাম্বার সূরার 12 নাম্বার আয়াতে দাবি করছেন যে দ্বীনের
সাথে রিলেটেড সবকিছু তিনি পবিত্র কুরআনে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
(১)বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার দাবি করা সত্ত্বেও কেন কুরআনে আমরা ওয়াক্তের বিস্তারিত বিবরণ খুঁজে পাই না ? তাহলে কি আল্লাহ মিথ্যে দাবি করছেন? ইজ ইট পসিবল? এটা কি সম্ভব?(২) দুই নাম্বার আর্গুমেন্ট:- ওয়াক্ত যদি কোরআনে বর্ণনা করা হয়েই থাকে তাহলে কেন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ, মুমিন এবং মুসলিমরা এই ওয়াক্ত সম্পর্কে এত মতভেদের সৃষ্টি করছে? কেউ তিন ওয়াক্ত পড়ছেন কেউ পাঁচ ওয়াক্ত পড়ছেন? কেউ 10 ওয়াক্ত পড়ছেন ? অথচ হাদিসের বইতে বলা আছে যে আল্লাহর রাসূল মিরাজে গিয়ে 50 ওয়াক্ত নামাজ থেকে কমিয়ে পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ এনেছেন। আবার একই হাদিসে আমরা দেখতে পাই যে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জায়গায় 10 ওয়াক্ত নামাজ। ফজর যোহর আসর মাগরিব ইশা এর সাথে সাথে ইশরাক চাশত জাওয়াল আওয়াবিন ও তাহাজ্জুদ? এই পাঁচ ওয়াক্ত মিলিয়ে মোট 10 ওয়াক্ত নামাজ কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে? আল্লাহর রাসূল তাহলে কি মিরাজে গিয়ে 10 ওয়াক্ত নামাজ এনেছেন? তা তো হওয়ার কথা নয়।
তাহলে বাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কোন মিরাজে গিয়ে তিনি এনেছিলেন? যদি আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দিয়েই থাকেন তাহলে কেন 10 ওয়াক্ত নামাজের বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে? ইশরাক চাশত জাওয়াল আওয়াবিন ও তাহাজ্জুদ? এই পাঁচ
ওয়াক্ত কোথা থেকে আসলো? এবং কোন মেরাজের মাধ্যমে আসলো?
(৩) তিন নাম্বার আর্গুমেন্ট:- সালাত বা নামাজ যদি এমন একটা প্রার্থনা হয়েই থাকে যেটা নির্দিষ্ট ওয়াক্তে পড়তে হবে এবং এটা সকল প্রজন্মের সকল মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে তাহলে কেন এই সালাত প্রতিষ্ঠার আদেশ মহান আল্লাহ শুধুমাত্র তার নবীকে দিয়েছেন? আমরা দেখতে পাই 17 নাম্বার সূরার 78 থেকে 79 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ আকিমি শব্দ ব্যবহার করেছেন যেটা সেকেন্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার এবং 11 নাম্বার সূরার 114 নাম্বার আয়াতে আমরা দেখতে পাই আকিমু শব্দটি যেটা সেকেন্ড পার্সন প্লুরাল নাম্বার। এমনকি দু
নাম্বার সূরার 43 নাম্বার আয়াতেও আমরা দেখতে পাই সেকেন্ড পার্সন প্লুরাল। কেন আল্লাহ শুধু তার নবীকে আকিমুস সালাত করতে বলছেন?
(৪) চার নাম্বার আর্গুমেন্ট:- নামাজ যদি নির্দিষ্ট ওয়াক্তেই পড়া হয় তাহলে কেন একজন মাত্র ইমাম একের পর এক জামাত পরিচালনা করবেন? একের পর এক দলকে? চার নাম্বার সূরা নিসার 102 নাম্বার আয়াতে আমরা দেখতে পাই যে, একই ওয়াক্তে একজন মাত্র ইমাম একের পর এক নামাজ পরিচালনা করছেন। অথচ তাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে বা দলে ভাগ করে বিভিন্ন ইমামের আন্ডারেই নামাজ পড়ানো যেত। কারণ অনেক নামাজই আমরা জানি যে খুব অল্প সময়ের ওয়াক্ততে থাকে। যেমন মাগরিবের নামাজ।
সেক্ষেত্রে কি একজন মাত্র ইমামের নেতৃত্বে যারা মুসল্লি তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একের পর এক গ্রুপ ভিত্তিক নামাজ আদায় করবে? চার নাম্বার সূরার 102 নাম্বার আয়াতে তো আমরা সেরকমটাই দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কেন ?
(৫)পাঁচ নাম্বার আর্গুমেন্ট:- সালাত যদি প্রচলিত নামাজ হয়েই থাকে এবং এটা হয় তিন ওয়াক্ত অথবা পাঁচ ওয়াক্ত অথবা 10 ওয়াক্ত পড়া হয়ে থাকে তাহলে মুসল্লিদের জন্য সেটা কোন নামাজ যেই নামাজ 24 ঘন্টাই আল্লাহ পড়তে বলছেন 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 21 থেকে 23 আয়াতে? আল্লাহ যে বলছেন দাইমুন সালাত এই দাইমুন বা কনস্ট্যান্ট বা 24 ঘন্টা সারা দিন‑রাত ব্যাপী মুসল্লিরা কিভাবে আদায়
করবে?
(৬) ছয় নাম্বার আর্গুমেন্ট:- সালাত যদি প্রচলিত নামাজ হয়ে থাকে এবং এটা দিনের বিভিন্ন খন্ডাংশে ওয়াক্ত অনুযায়ী আদায় করতে হয় তাহলে একজন মানুষ কিভাবে একই সময়ে অনবরত সারা দিন রাত এই নামাজ পড়বে 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত সে কিভাবে অনুসরণ করবে? নাকি 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত পৃথিবীর কোন মুসল্লিদের পক্ষেই আমল করা সম্ভব নয়? যদি আমল করা সম্ভব নাই হয় তাহলে আল্লাহ কেন এই দাইমুন সালাত আদায় করতে বলছেন? যেটা 24 ঘন্টা কনস্ট্যান্ট চলমান থাকে?
(৭)সাত নাম্বার পয়েন্ট:- 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যেহেতু সালাত সবসময়- মানে ঘুম থেকে উঠা
থেকে শুরু করে আবার ঘুমানো পর্যন্ত মানুষকে কায়েম রাখতে হবে- তাহলে কেন এটাকে কমিয়ে তিন ওয়াক্ত বা পাঁচ ওয়াক্ত বা 10 ওয়াক্ত রিচুয়ালের মধ্যে আটকে ফেলা হলো? কেন এটাকে কমিয়ে ফেলা হলো? সারাদিন এই সালাতে দাইমুন থাকা কি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হতো না ?
(৮) আট নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি প্রচলিত নামাজ হয়েই থাকে এবং একজন মুসল্লিকে সারা দিনরাতব্যাপী এটা বাস্তবায়ন করতেই হয় 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী তাহলে কেন আমরা তিন ওয়াক্ত বা পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে এটাকে আটকে ফেলছি? আমরা যখন জেগে থাকি তখন কি এটাকে সারাদিন বাস্তবায়ন না করে অল্প
কিছু সময়ে আটকে ফেলে নিজেদের ক্ষতি করছি না? আল্লাহর আদেশ ভায়োলেট করছি না? লংঘন করেছি না?
(৯) নয় নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সালাত মানুষকে ২৯ নাম্বার সুরা আনকাবুতের ৪৫ আয়াত অনুযায়ী ফাহেশা আর মুনকার অর্থ্যাৎ অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে? প্রটেক্ট করে? এবং যদি এই সালাতকে আটকে ফেলা হয় তিন ওয়াক্ত বা পাঁচ ওয়াক্ত বা 10 ওয়াক্তের মধ্যে? তাহলে কিভাবে একটা মানুষ দিনের বাকি সময়টা এই ফাহেশা আর মুনকার অর্থ্যাৎ অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে? কারণ সে যখন ওই তিন ওয়াক্ত বা পাঁচ ওয়াক্ত বা 10 ওয়াক্ত সালাতে থাকে সে ঠিকই ফাহেশা আর মুনকার অর্থ্যাৎ অশ্লীল এবং খারাপ বা পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু যখনই সে ডানে বায়ে সালাম ফিরিয়ে এই সালাত থেকে বেরিয়ে যায় তখন
তো আর ফাহেশা আর মুনকার থেকে সে বাঁচতে পারছে না? এ কারণেই তো আমরা দেখি নির্দিষ্ট ওয়াক্তে নামাজ পড়ার আগে বা পরে মানুষ সুদে ঢুকে যাচ্ছে, ঘুষে ঢুকে যাচ্ছে, মিথ্যা কথায় ঢুকে যাচ্ছে, জুলুমে ঢুকে যাচ্ছে, গীবতে ঢুকে যাচ্ছে, পরের হক ঠকানোর মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু ওয়াক্তে এই সালাতকে আটকে আমরা কিভাবে সারাদিন ফাহেশা আর মুনকার থেকে বিরত থাকতে পারব? এবং সেই নামাজ কিভাবে আমাদের এই পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে ‑গুনাহের কাজ থেকে আমাদের প্রটেক্ট করবে? রক্ষা করবে? হাউ ইট উইল বি পসিবল ? িএটা কিভাবে সম্ভব?
(১০) 10 নাম্বার পয়েন্ট:- সালাতে যদি মানুষকে দাইমুন থাকতেই হয় সুরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী সবসময় এর মধ্যে থাকতে হয় তাহলে কেন বিভিন্ন স্কলাররা,হুজুররা মানুষকে সূর্য উদয় এবং সূর্য অস্তের সময় সালাত পড়তে নিষেধ করে? সালাতের নিষিদ্ধ সময় কেন তারা আবিষ্কার করল ? কেন নিষিদ্ধ সময় মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো? তাহলে কি সুরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত তারা ভায়োলেট করছে না?
(১১) 11 নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি ওয়াক্ত ভিত্তিক হয়ে থাকে এবং সূর্য উদয় বা সূর্য অস্ত বা ওয়াক্ত শেষ হওয়ার কারণে সে সালাত পড়তে না পারে? নামাজ আদায় করতে না পারে ? সালাত বা নামাজ তার মিস হয়ে যায় বা ছুটে যায় তাহলে সেটা সে পরে আবার
আদায় করতে পারে। তাহলে কেন কোরআন বলছে যে ছুটে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া সালাত আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব শুধুমাত্র নিজেকে সংশোধনের মাধ্যমে? ভালো কাজ করার মাধ্যমে? নেক আমল করার মাধ্যমে? 19 নাম্বার সূরা মারিয়ামের 59 থেকে 60 নাম্বার আয়াতে? কেন সূরা মারিয়ামের 59 এবং 60 নাম্বার আয়াতে এই ওয়াক্তের কথা না বলে ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গেলে বা কোনভাবে এই নামাজ নষ্ট করে ফেললে লোভ‑লালসা বা কুপ্রবৃত্তির কারণে যদি সেটা আদায় করতে না পারে তাহলে পুনরায় এই রিচুয়াল না করে আল্লাহ তাকে সৎকর্মের মাধ্যমে নেক আমলের মাধ্যমে, কর্মকে সংশোধন করার মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশের গ্যারান্টি দিচ্ছেন? কেন কাজা নামাজ আদায় করার কথা আল্লাহ বলছেন না? কেন?
(১২) ১২ নাম্বার পয়েন্ট:-এই সালাত যদি ওয়াক্ত ভিত্তিক করা হয় বা ঘড়ির সময় ধরে করা হয় তাহলে কেন এই আকিমুস সালাত এর সাথে বারবার আল্লাহ আকিমুস যাকাত বিষয়টাকে জুড়ে দিচ্ছেন? অথচ আমরা তো জানি যে স্কলাররা বলে থাকেন যাকাত হচ্ছে বছরে মাত্র একবার অন্যদিকে নামাজ তো দিনে কমপক্ষে পাঁচবার? যেই জিনিস প্রতিদিনই মানুষকে করতে হয় সকালে, দুপুরে, বিকেলে রাতে, সবসময় করতে হয় সেই জিনিসের সাথে কি এমন কিছু যুক্ত থাকার কথা ছিল না যেটাও সবসময় করতে হয়? সকালে দুপুরে রাতে বিকেলে সন্ধ্যায় সেটা না করে কেন আকিমুস সালাতু
ওয়াতুজ্জাকাত বলে আল্লাহ যেই জিনিসটা বছরে মাত্র একবার করলেই চলে সেটাকে এর সাথে জুড়ে দিলেন? তাহলে কি আমরা ওয়াতুজ যাকাত বিষয়টাকে ভুল ভাবছি? সূরা লাইলের 18 নাম্বার আয়াত পড়লে তো সেরকমটা মনে হয় না। বরঞ্চ ওয়াতুজ যাকাত বিষয়টাও সকাল দুপুর রাত সন্ধ্যা সবসময়- এমনকি 70 নাম্বার সূরা মাআরিজের 23 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী কনস্ট্যান্টলি সবসময় মানুষের করা উচিত মনে হয়। তার আত্মশুদ্ধির জন্য। যেই আত্মশুদ্ধি মানুষকে জান্নাতে পৌঁছে দিতে পারে। সূরা শামস এর ৭,৮,৯ এবং সুরা আলার ১৪, সূরা ফজর এর ২৭ থেকে ৩০ আয়াত অনুযায়ী?
(১৩) 13 নাম্বার পয়েন্ট:- এই সালাত যদি ওয়াক্ত ভিত্তিক হয়ে থাকে? বিশেষ করে
সূর্যের উপর নির্ভর করে। সূর্য উদয় হলো না অস্ত হলো? মাথার উপরে রইলো না হেলে পড়লো? এর উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে? তাহলে কিভাবে সেইসব দেশ বা এলাকার মানুষ এই ওয়াক্ত ভিত্তিক সালাত আদায় করবে যেখানে দিন বা রাত খুব ছোট হয় বা খুব বড় হয়? এমনকি অনেক অনেক জায়গায়, অনেক অনেক দেশে, অনেক অনেক অঞ্চলে- মাসের পর মাস সূর্যই দেখা যায় না ‑টানা ছয় মাস টানা বা এক বছরও দিন থাকে বা রাত থাকে তাহলে কি আল্লাহ এমন একটা ওয়াক্ত ভিত্তিক সালাত দিলেন?নামাজ দিলেন? যেটা পৃথিবীর সবার পক্ষে- সব অঞ্চলের মানুষের পক্ষে- উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুর মানুষের পক্ষে- আদায় করা সম্ভব না? যেটা
সবার পক্ষে আদায় করা সম্ভব না এমন একটা ওয়াক্ত ভিত্তিক রিচুয়াল আল্লাহ মানুষকে চাপিয়ে দিয়ে কিভাবে সবার সাথে ইনসাফ করলেন? তাহলে কি আল্লাহ জানতেন না যে পৃথিবীর বহু জায়গা আছে যেখানে মাসের পর মাস সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না? অথবা দিনের দেখা পাওয়া যায় না? অথবা রাতের দেখা পাওয়া যায় না ? অথবা ওয়াক্ত সূর্যের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না?
(১৪) 14 নাম্বার পয়েন্ট:- দু নাম্বার সূরার 238 নাম্বার আয়াতের স্কলার বা হুজুর ভিত্তিক ব্যাখ্যা হলো যোহরের নামাজ। তাহলে কেন এই যোহরের নামাজ বা দুপুরের নামাজকে অস্বীকার করা হচ্ছে কোরআনের অজস্র
আয়াতে? 78 নাম্বার সূরা নাবার 11 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন “ওয়া জা‘আলনা-নাহারা মা‘আ‑শা।” ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদ করেছে–“ এবং করেছি দিবসকে জীবিকা আহরণের সময়” — বয়ান ফাউন্ডেশন অনুবাদ করেছে “আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময়।” আল্লাহ নাহারকে অর্থ্যাৎ দিনকে মানুষের জীবিকা সংগ্রহের- জীবিকা আহরণের সময় হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছেন। তাছাড়া সূরা মুজাম্মিলের সাত নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন,-“ ইন্না লাকাফিন নাহারি সাবহান।” ‑বয়ান ফাউন্ডেশন অনুবাদ করেছে- “নিশ্চয়ই তোমার জন্য দিনের বেলায় রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা ।“ মুফতি ত্বকি উসমানি অনুবাদ করেছে- “দিনের বেলা তো তোমার থাকে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।” তাহলে যেই আল্লাহ দিনকে কর্মব্যস্ত ঘোষণা দিয়েছেন, দিনকে মানুষের জীবিকা অর্জনের সময় বলে ঘোষণা দিচ্ছেন সূরা নাবার ১১ এবং সূরা মুজাম্মিলের সাত নাম্বার আয়াতে। এছাড়া 23 নাম্বার সূরার দুই, নয় এবং ; 2:143, 68:28, 24:58 ইত্যাদি আয়াতগুলোতে আমরা ভিন্নতা খুজে পাই? তাহলে কেন হুজুররা দুই নাম্বার সূরা বাকারার 238 নাম্বার আয়াতের উপর ভিত্তি করে এই যোহরের নামাজ বানালো তাহলে কি আল্লাহ এই দিনকে মানুষের জীবিকা অর্জনের সময় হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভুল করেছেন? মানুষ জীবিকা অর্জনের সময় জীবিকা আহরণ না করে, কর্মব্যস্ত না থেকে, এই ওয়াক্তের মধ্যে, ওয়াক্তিয়া নামাজের মধ্যে কেন যাবে? কিভাবে যাবে? কারণ গেলে তো তার এই আয়াতগুলো লঙ্ঘন করতে হয়? তাছাড়া
সূরা বাকারার 238 নাম্বার আয়াতে পরিষ্কারভাবে যোহর শব্দটাও আল্লাহ ব্যবহার করেননি?
(১৫) 15 নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সালাতুল উস্তা দুপুরের নামাজ মানে যোহর অথবা আসরের নামাজ হয়ে থাকে তাহলে কেন এটার আগে আল শব্দটা আল্লাহ ব্যবহার করেছেন? সূরা বাকারার 238 আয়াতে? অন্যদিকে 24 নাম্বার সূরা নুরের 58 নাম্বার আয়াতে সালাতুল ফজর বা সালাতুল ইশা? এ দুই ক্ষেত্রে কেন আল্লাহ আল শব্দ ব্যবহার করেননি? কেন আল্লাহ আল সালাতুল উস্তা বললেও আল সালাতুল ফজর অথবা আল সালাতুল ইশা বলেননি? এটা কি 78 নাম্বার সূরা নাবার 11 এবং 73 নাম্বার সূরা মুজাম্মিলের সাত নাম্বার আয়াতের বাস্তব জীবন ভিত্তিক প্রতিফলন নয়?
(১৬)16 নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সূরার রুমের ১৭ থেকে ১৯ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হুজুররা ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন- যে এখানে যোহর এবং আসরের নামাজের কথা বলা হচ্ছে তাহলে কেন এই আয়াতগুলোতে আমরা সালাত শব্দটাই খুঁজে পাই না? আল্লাহ কি এই আয়াতগুলোতে সালাত শব্দ ব্যবহার করতে বা নামাজ শব্দ ব্যবহার করতে ভুলে গিয়েছেন? এখানে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আল্লাহ তার প্রশংসাগীতি গুণকীর্তন বা তার তাসবি পাঠ করতে বলছেন? যেমনটা আল্লাহ কোরআনের আরো অজস্র আয়াতে বলেছেন? আসমান জমিন স্বর্গ নরক সবখানের সবাই আল্লাহর এই প্রশংসা গীতি করে 57 নাম্বার সূরা হাদীদের এক থেকে ছয় 17 নাম্বার সূরা বাণী ইসরাইলের 12 43 44 49 নাম্বার আয়াত,
তিন নাম্বার সূরা আল ইমরানের 27 থেকে 29 নাম্বার আয়াত; দু নাম্বার সূরা বাকারার ১৬৩ থেকে ১৬৪; ছয় নাম্বার সূরা আনআমের 95 থেকে 96 নাম্বার আয়াতে আমরা দেখতে পাই। এ সকল আয়াতে দিন রাত, স্বর্গ নরক ‚জীবিত মৃত, সবার কথা বলা হচ্ছে। তাহলে আলাদাভাবে 30 নাম্বার সূরা রুমের 17 থেকে 19 নাম্বার আয়াতকে নামাজের মধ্যে বা ওয়াক্তের মধ্যে ঢোকানোর যৌক্তিকতা কি?
(১৭) 17 নাম্বার পয়েন্ট:- যদি কোরআনকে এই বিভিন্ন ওয়াক্তেই আল্লাহর সামনে নামাজের মাধ্যমে পড়ে শোনানো হয় তাহলে কেন শুধুমাত্র এই কোরআন পড়া 17 নাম্বার সূরার 78 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী শুধুমাত্র ফজরে পর্যবেক্ষন করা হয়? উইটনেস করা হয়? ফেরেশতাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়? বা
ফেরেশতাদের উপস্থিতির সময় হিসেবে বলা হয়? অন্য ওয়াক্ত গুলোতে কেন ফেরেশতারা উপস্থিত হয় না? আর যদি এই ফজরের সময়ের কুরআন পাঠ ফেরেশতাদের উপস্থিতি হয় বা ফেরেশতাদের সাক্ষী হয় তাহলে যারা মুসল্লি তারা কিভাবে এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে? আর ফেরেশতাদের সাক্ষীর সাথে এই ওয়াক্তের সম্পর্কই বা কী? এবং অন্যান্য অর্থ্যাৎ বাকি পাঁচ বা তিন বা 10 ওয়াক্তে ফেরেশতারা কেন উপস্থিত হয় না? বা কেন সাক্ষ্য হয় না?
(১৮) 18 নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সালাত রিচুয়াল হয়ে থাকে এবং কোরআন পরিষ্কারভাবে তিনটা নামাজের সময় বলে না- তিনটা সালাতের সময় বলে- না? কেন কোরআন বলে যে- তিনটা প্রাইভেসির সময় বা ব্যক্তিগত সময় বা গোপনীয়তার সময়? 24 নাম্বার সূরা নুরের 58 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ কি নামাজের সময় বা সালাতের সময় বলতে ভুলে গেছেন ?মাআজাল্লাহ। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কেন কখনো নামাজের ওয়াক্ত যতবার ( 83 বার) পবিত্র কুরআনে নামাজ বা সালাত শব্দ আল্লাহ ব্যবহার করেছেন কোথাও তিনবার নামাজের সময় বা তিনবার সালাতের সময় বা ওয়াক্ত একটি বারের জন্য আল্লাহ বলেননি? এই 83 বার এর মধ্যে একটিবার কি আল্লাহ বলতে পারতেন না? ওয়াক্ত শব্দটা সূরা নুরের 58 নাম্বার আয়াতে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি- যে আল্লাহ গোপনীয়তার সময় বলছেন? গোপনীয়তার
ওয়াক্ত বলছেন? নামাজের ওয়াক্ত কেন বলছেন না?
(১৯) 19 নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি এই ওয়াক্ত ভিত্তিক হয়ে থাকে যেটা আমরা হাদিসের মিরাজের ঘটনার মাধ্যমে জানতে পারি তাহলে কেন এই মিরাজের ঘটনা ইরানের জরথ্রষ্টু ধর্মের বিরাজের গল্পের সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়? ইরানের জরথ্রষ্টু ধর্মের এই বিরাজের গল্প বা ভিরাজের ঘটনা কেন মিরাজের ঘটনা বা গল্পের সাথে মিলে যাচ্ছে? কেন নবী মোহাম্মদ আলাইহিস সালামের চেয়ে মুসা আলাইহিস সালাম অধিক জ্ঞানী? প্রাজ্ঞ ? এবং দূরদর্শী এটা প্রমাণ করা হয়েছে ? মিরাজের ঘটনায়? এর কারণটা কি? ইহুদিরা মনে করে যে মুসা নবী শ্রেষ্ঠ সেজন্য? তিনি দুনিয়াতে বসেই তুর পাহাড়ে গিয়ে আল্লাহর সাথে অসংখ্যবার কথা বলেছেন সেজন্য? সেই ইহুদিরা তাদের নবী, অর্থ্যাৎ মুসা নবীকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্যই কি এই জরথ্রষ্টুদের বিরাজের গল্প কপি করে হাদিসের বইতে ঢোকালো? যদি তা নাও হয়ে থাকে তাহলে যেই আল্লাহ বলছেন সূরা আনআমের 115 নাম্বার আয়াতে যে “আল্লাহর কথার পরিবর্তন হয় না”- সুরা কাফের ২৯ আয়াতে “আল্লাহর কথার পরিবর্তন হয়না” সুরা বণি ইসরাইল এর ৭৭; সুরা ফাতিরের ৪৩; সুরা আহজাবের ৬২; সুরা ফাতহের‑২৩ আয়াতে বলেছেন “আল্লাহর সুন্নতের পরিবর্তন হয়না” সেই আল্লাহ 50 ওয়াক্ত নামাজের কথা বলেও কেন সেই কথা রদবদল বা পরিবর্তন করে পাঁচ ওয়াক্তে নিয়ে গেলেন? আর যেই যুগে ঘড়ি আবিষ্কৃত হয়নি সেই যুগে কিভাবে 50 ওয়াক্ত নামাজ মানুষ পড়বে? প্রতি 28 মিনিট পর পর ? অথচ 78 নাম্বার সূরা নাবার 11 আয়াতে এবং 73 নাম্বার সূরা মুজাম্মিলের সাত আয়াতে আমরা দেখতে পাই যে আল্লাহ দিনকে মানুষের জন্য জীবিকা অর্জনের সময় হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছেন তাহলে মানুষ জীবিকা অর্জন না করে প্রতি 28 মিনিট পর পর এই ওয়াক্ত ভিত্তি নামাজ কিভাবে পড়বে? শুধু জীবিকা অর্জনই নয় মানুষের নাওয়া খাওয়া ঘুম বাথরুম সবকিছুই মানুষকে জলাঞ্জলি দিতে হবে? মানুষ ঘুমাতেও পারবে না? আল্লাহ কি এমন কিছু চাপিয়ে দিতে পারেন? এমন ওয়াক্ত চাপিয়ে দিতে পারেন? 28 মিনিট পর পর যেটা করলে মানুষ জীবনে কোনদিন ঘুমোতেই পারবে না? অন্যদিকে আল্লাহ বলছেন সূরা বাকারায় ২৮৬; সুরা আনআম আয়াত ১৫২; সুরা আরাফের ৪২ আয়াতে যে আল্লাহ মানুষের উপর তার সাধ্যের বেশি বোঝা চাপিয়ে দেন না। এই ঘটনা কি প্রমাণ করে যে আল্লাহ মানুষের সাধ্যের বেশী বোঝা চাপিয়েছেন? জুলুম করেছেন? নাকি জরথ্রষ্টু ধর্মের বিরাজের গল্প থেকে কপি হওয়ার কারণেই আল্লাহকে এইভাবে মানুষের উপর জোর জবরদস্তি বা জুলুম করে সাধ্যের বেশি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হচ্ছে?
(২০) 20 নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি ওয়াক্ত ভিত্তিক হয়ে থাকে তাহলে এই ওয়াক্তগুলো কেন সেই ইরানের জড়থ্রষ্টদের যে প্রার্থনা- সেই প্রার্থনা যে প্রতিদিন পাঁচবার করা হয় বা পাঁচ ওয়াক্ত করা হয় সেই পাঁচ ওয়াক্তের সাথে কাকতালীয় ভাবে মিলে গেল? তাহলে কি সেই ইরানের পার্শিয়ান ইমামরা জড়থ্রষ্টদের পাঁচ ওয়াক্ত প্রার্থনার টাইমিং কে কপি পেস্ট করে ইসলামের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল? কারণ আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর পর তখনকার সবচেয়ে প্রভাবশালী যেই পার্শিয়ান সাম্রাজ্য ছিলো সেই সাম্রাজ্য মুসলিমদের হাতেই ধ্বংস হয়ে যায়। এটা কি পার্শিয়ান বা ইরানীদের প্রতিশোধ ?
20 টা পয়েন্ট উল্লেখ করা হলো। এবার আমরা কিছু এনালাইসিস করি। বিশ্লেষণ করি। সেটা হচ্ছে রাসূলের যুগে সালাত কেমন ছিল এটা নিয়ে আলাদা একটা ভিডিও করা হয়েছে চ্যানেলে। তো 11 নাম্বার সূরার 114- 17 নাম্বার সূরার 78 থেকে 79– 24 নাম্বার সূরার 58 –ছয় নাম্বার সূরার 52– সাত নাম্বার সূরার 205– 18 নাম্বার সূরার 28– 25 নাম্বার সূরার পাঁচ –33 নাম্বার সূরার 41 42– 48 নাম্বার সূরার নয় –76 নাম্বার সূরার 25 আয়াত অনুযায়ী
আমরা জানি যে আল্লাহর রাসূলের যুগে সালাত সেশন ছিল সকালে আর সন্ধ্যায় এবং কেনা বেচা ব্যবসা-বাণিজ্য বা কর্মব্যস্ত দিনেও হঠাৎ হঠাৎ এই সালাত সেশনের আয়োজন করা হতো। যেটা আমরা 62 নাম্বার সূরার নয় থেকে 11 নাম্বার আয়াতে দেখতে পাই। 73 নাম্বার সূরার সাত আয়াতে যেহেতু বলা হচ্ছে যে দিন হচ্ছে আমাদের জন্য ব্যস্ততার বা জীবিকা অর্জনের সময় সেই প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে 62 নাম্বার সূরার নয় থেকে 11 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী মাঝে মাঝে কর্মব্যস্ততার সময়েও ব্যবসা-বাণিজ্যের সময়েও এই সালাত সেশন হতো। এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আল্লাহর রাসূলকে একা ফেলে রেখে অন্যরা চলে যেত। যেহেতু 78 নাম্বার সূরা নাবার 11 নাম্বার আয়াত এবং 17 নাম্বার সূরা বাণীইনরাইলের 12 নাম্বার আয়াত বলছে যে দিন হচ্ছে মানুষের জন্য জীবিকা আহরণের সময়। এবং 73 নাম্বার সূরার সাত নাম্বার আয়াত বলছে যে দিন হচ্ছে মানুষের কর্মব্যস্ততার সময়। তাহলে কি দু নাম্বার সূরা বাকারার 238 নাম্বার আয়াতকে মিস ইন্টারপ্রেট করে অপব্যাখ্যা করে কোরআনের অন্যান্য আয়াতের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে হুজুররা এই দিনের বেলা , কর্মব্যস্ততার সময়ে এই ওয়াক্ত চালু করে কোরআনের সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করল না?
আমরা কোরআন পড়লে দেখি যে কোরআনে আল্লাহ মানুষকে নির্দেশ দিচ্ছেন, আদেশ দিচ্ছেন, উপদেশ দিচ্ছেন যাতে করে মানুষ সবসময় আল্লাহর স্মরণ করে, আল্লাহর জিকির করে, আল্লাহর আদেশ‑নিষেধ সবসময় মেনে চলে, দায়ীমুন সালাতে রত থাকে, সবসময় আল্লাহ অভিমুখী হওয়ার চেষ্টা ও সাধনা করে, রব্বানী হয়ে যায় এবং আল্লাহ কখনোই এই ওয়াক্তর উপর মানুষকে ডিপেন্ডেন্ট করেননি, নির্ভরশীল করেন নি। আল্লাহ চান যে মানুষ 24 ঘন্টাই তার সাধনায় রত থাকুক ।তার আনুগত্যে রত থাকুক। তার আদেশ উপদেশে মেনে চলায় রত থাকুক। তার জিকিরে রত থাকুক। তার সাথে রিলেশন বিল্ড আপে- সম্পর্ক স্থাপনে রত থাকুক। কারণ আল্লাহ সুরা বাকারার ১৫২ ও ১৮৬ আয়াতে বলছেন যে তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। কোন ওয়াক্ত তিনি স্পেসিফিক করেননি, সুনির্দিষ্ট করেন নি। আল্লাহ সুরা বাকারার ১৮৬ আয়াতে বলছেন “যে তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করে
আল্লাহ কোথায়? বলো আমি তো তাদের কাছেই আছি?” (ঘাড়ের রগের চেয়েও কাছে) আল্লাহ আমাদের কাছেই থাকেন আমাদের ডাক, দোয়া, প্রার্থনা,মোনাজাত সবসময়ই তিনি শুনতে পান এবং যখনই ডাকি তখনই তিনি সাড়া দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন যতক্ষন আমরা সুরা বাকারার ১৮৬ আয়াত পুরোপুরি অনুসরণ করি।
– রিজওয়ান মাহমুদ খান (ডিরেক্টর জেনারেল) তাজকিয়া নফস।
A great piece of work. Keep it up Rizwan. God bless you.
Nazim from Canada
আপনার প্রতি আমার শেষ অনুরোধ যে আপনার বা আপনাদের বাংলা অনুবাদ কুরআন টি কখন ও কিভাবে পাবো ? আমি আপনার সেই ফলোয়ার যেটা আমি সজল স্যার কে ফলো করতে (৩বছর আগে ) পাই, আমাকে যিনি সজল স্যার এর প্রতি নিয়ে গেছিলেন, সে এখন অনেক দূরে রিজুয়ান সাহেবের প্রতি, কারণ সে প্রকৃতি নামাজী,
বর্তমান অবস্থা আমি রিজয়ান স্যার এর পথে আর সে (QBS) রাশিদ (৪:১০২)এর পথে?? আমি আপনার ওয়াটস্যাপ গ্রূপের এক জন নিয়মিত শুনা সদস্য
আপনাকে অনুরোধ করি যে আপনি আমাকে আল্লাহর পথে চলার সাহায্য করবেন