আল মুতাফফিফীন‑প্রতারণা

দি গ্রেট কুরআন (বাংলা ভার্সন)

আল মুতাফ্ফিফীন: প্রতারণা

  1. ধ্বংস হোক তারা, যারা ওজন ও পরিমাপে কম দেয়।
  2. যারা মানুষের কাছ থেকে যখন মেপে নেয় তখন পুরোপুরি নেয়।
  3. আর যখন তাদেরকে মেপে কিংবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।
  4. এরা কি মোটেই ভাবে না? যে, (মৃত্যুর পর) তাদেরকে আবার উঠানো হবে।
  5. ভীষণ এক কঠিন দিনে।
  6. যেদিন মানুষ বিশ্বজগতের রবের সামনে দাঁড়াবে?  [45:36–37, 84:6–8, 89:16–22]
  7. না, না, কখনই না; নিশ্চয়ই পাপীষ্ঠদের ‘আমালনামা সিজ্জীনে (সংরক্ষিত) আছে।
  8. তুমি কি জান, সিজ্জীন কি?
  9. (তা হচ্ছে পাপিষ্ঠদের) কিতাবের দফতর।
  10. সেদিন সত্যপ্রত্যাখ্যানকারী-মিথ্যাচারী দল ধ্বংস হবে।
  11. (সত্যিকারের) দ্বীন/বিধান (কায়েমের) দিবসকে যারা প্রত্যাখ্যান করে।
  12. আর সীমা লংঘনকারী পাপীষ্ঠ ছাড়া কেউই তা প্রত্যাখ্যান করেনা।
  13. যখন তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন সে বলে, “এ তো অতীতকালের লোকদের গল্প‑কিসসা-কাহীনি।
  14. কক্ষনো না, বরং তাদের (জঘণ্য) কৃতকর্মের ফলেই তাদের অন্তরে মরিচা জমে জং ধরে গেছে। [2:7]
  15. কখনও নয়! অবশ্যই তারা সে দিন তাদের রবের দীদার (দর্শন) থেকে বঞ্চিত থাকবে। (অর্থাৎ তারা কিছুতেই আল্লাহকে দেখতে পাবে না।)
  16. তারপর তাদেরকে (ভয়ংকর) জাহান্নামে প্রবেশ করতে হবে।
  17. তারপর (তাদেরকে) বলা হবে, “এটা তো তাই, যা তোমরা অসত্য ভাবতে ।”
  18. না, না, কখনই না; নিশ্চয়ই নেককার‑পূণ্যবান‑মহৎ লোকদের ‘আমালনামা ইল্লিয়্যীনে (সংরক্ষিত) আছে।
  19. তুমি কি জান, ইল্লিয়্যীন কি?
  20. (তা হচ্ছে পূণ্যবান‑মহৎ লোকদের) কিতাবের দফতর।
  21. আল্লাহর সান্নিধ্য প্রাপ্তরাই তা সরাসরি দেখে। 
  22. নিঃসন্দেহে পুণ্যবান লোকেরা থাকবে অফুরন্ত নি‘আমাতে ভরা (জান্নাতের) মাঝে।
  23. সুসজ্জিত আলিশান‑বিলাসবহুল‑রাজকীয় আসনে বসে তারা (জান্নাত সাম্রাজ্যের সবকিছু) দেখতে থাকবে।
  24. তুমি তাদের চেহারাতে সুখ‑স্বাচ্ছন্দ্যের লাবণ্যময়-দীপ্তি দেখতে পাবে।
  25. তাদেরকে মোহরাঙ্কিত সুমধুর শরাব পান করানো হবে।
  26. সেই মোহরাঙ্কন হবে মেশক্ আম্বরের মোহনীয় ঘ্রাণযুক্ত। অতএব, এর জন্য প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত।   [57:20, 102:1]
  27. আর (সেই মধুর শরাব) তৈরি হবে ‘তাসনীম দিয়ে।
  28. এটা (জান্নাতের) একটি ঝর্ণা। যা থেকে আল্লাহর সান্নিধ্যপ্রাপ্তরা পান করবে।  [2:138. 76:17]
  29. পাপিষ্ঠ‑অপরাধীরা (দুনিয়ায়) মু’মিনদেরকে উপহাস করত।
  30. আর যখন তাদের কাছ দিয়ে যেত, তখন একে অন্যকে চোখ টিপে ইশারা করত।
  31. আর যখন নিজেদের পরিবার পরিজনের কাছে ফিরত তখন (মু’মিনদেরকে ঠাট্টা ক’রে আসার কারণে) উৎফুল্ল হয়ে ফিরতো।
  32. আর যখন তারা মুমিনদেরকে দেখত তখন বলত, ‘নিশ্চয়ই এরা (হিদায়েত থেকে) পথভ্রষ্ট’।
  33. অথচ মুমিনদের উপরে খবরদারি করার জন্য তাদেরকে পাঠানো হয়নি।
  34. তার পরিণাম এই যে, আজ মুমিনরা (জান্নাত হতে) আয়াত উপেক্ষা-অবজ্ঞা-গোপনকারী কাফেরদের (পরিণতির) উপর হাসছে।  [7:43, 15:47]
  35. সুসজ্জিত আলিশান‑বিলাসবহুল‑রাজকীয় আসনে বসে তারা (সাম্রাজ্যের সবকিছু) দেখবে।    [76:20]
  36. কাফেররা (দুনিয়ায়) যা করত, তার প্রতিদান‑প্রতিফল-সওয়াব (এখন) পেল তো?

(Quran Research intel­li­gence Team ড্রাফট অনুবাদ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *