আকিমুস সালাত মানে কি ?

নামাজ সালাত

(18) আকিমুস সালাত কেন নামাজ নয়? ৪০টি কারন ( দলিলসহ)। রিফর্মেশন সংশোধন ও সংস্কার বিপ্লবই সালাত

আমরা এর আগে দুরুদ শরীফ ভিডিওতে আলোচনা করেছি সালাত শব্দটা শাব্দিকভাবে কি অর্থ প্রদান করেছে

সাল্লু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যে আল্লাহ নবীর প্রতি সাল্লু করে ফেরেশতারা সাল্লু করে ঈমানদারদের প্রতি মুমিনদের প্রতি আবার মুমিনদের বলা হয়েছে তোমরা নবীর প্রতি সাল্লু করো আবার সাধারণ মুমিনদের বলা হয়েছে তোমাদেরকে সাল্লু করা হয় আল্লাহ তোমাদের সাল্লু করেন ফেরেশতারাও তোমাদের সাল্লু করে এভাবে সালাত শব্দটা শাব্দিকভাবে কিভাবে ব্যবহৃত হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেই দুরুদ শরীফ ভিডিওতে আজকে আমরা কোরআনের এমন অনেকগুলো আয়াত পর্যালোচনা করে দেখবো যে আসলে সালাত শব্দটা কিভাবে একটা মানুষকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে সালাত শব্দের মাধ্যমে কিভাবে সামাজিক সংস্কারের কথা বলা হয়েছে সংশোধনের কথা বলা হয়েছে ব্যক্তি পরিবার সমাজ সব ক্ষেত্রে পরিশুদ্ধতা সংশোধন এবং সংস্কার অর্থে কত চমৎকার ভাবে মহান আল্লাহ কোরআনে ব্যবহার করেছেন আমরা প্রথমে দেখব 19 নাম্বার সূরা মারিয়ামের 59 নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন তাদের পরে আসলো এমন এক অপদার্থ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল ও কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল সুতরাং শীঘ্রই তারা জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।”

এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে একটা বংশধর আসবে- একটা অপদার্থ বংশধর- যারা সালাত বিনষ্ট করবে আমরা যদি এই আয়াতে সালাত শব্দটা রিচুয়াল অর্থে নেই- মানে নামাজ অর্থে নেই ‑তাহলে এর পরের আয়াতটা কি হওয়ার কথা একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবি। এর পরের আয়াতটা হওয়ার কথা যেহেতু যারা নামাজ নষ্ট করে তারা জাহান্নামের- শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে সুতরাং যারা নামাজ নষ্ট করবে না ‑ঠিকমত রুকু করবে, সিজদা করবে, তাকবীর বলবে সহিহ তেলাওয়াত করবে, শেষ বৈঠক করবে রাফুল ইয়াদাইন করবে, খুশু খুজু থাকবে, ঠিকমত অযু করবে, ঠিকমত সালাম ফেরাবে, ঠিকমত দোয়া মাসুরা পড়বে আত্তাহিয়াতু পড়বে- তারা জান্নাতে যাবে। রাইট? এমন ভাবেই তো হওয়ার কথা পরবর্তী আয়াতটা? কিন্তু খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঠিক পরের আয়াতে আল্লাহ রুকু সিজদা আত্তাহিয়াতু দুরুদ শরীফ শেষ বৈঠক সালাম ফিরানো তাকবীর রাফুল ইয়াদাইন, কিচ্ছু বলেননি, কোন প্রসঙ্গই টানেননি, তিনি বলেছেন- তবে তারা নয় যারা তাওবা করেছে ঈমান এনেছে এবং কর্মকে সংশোধন করেছে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এবং তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না।”

আশ্চর্যজনক বিষয় যে একটা অপদার্থ বংশধর আসবে যারা সালাত নষ্ট করবে তারা জাহান্নামে যাবে। কিন্তু পরের আয়াতে আবার আল্লাহ বলছেন যে আরেকটা দল থাকবে যারা জান্নাতে যাবে তাদের তিনটা কোয়ালিটি থাকবে। এক নাম্বার- তওবা করার কোয়ালিটি, দুই নাম্বার ঈমান আনা, তিন নাম্বার কর্মকে সংশোধন করা। এবং আমরা খুব ভালো করেই জানি যে কোরআনে অজস্রবার আল্লাহ জান্নাতে গ্যারান্টি দিয়েছেন এই দুটা বিষয়ের উপরে- ঈমান এবং কর্মকে সংশোধন করার উপরে। এখানেও সেই একই বিষয়টাই পুনরুল্লেখ করা হয়েছে। তার সাথে যোগ করা হয়েছে তাওবা। তাহলে এখানে কেন আল্লাহ সেই রিচুয়াল নামাজের একটা প্রসঙ্গও টানলেন না? তাকবীর উল্লাহ থেকে শুরু করে শেষ বৈঠকের সালাম ফিরানো পর্যন্ত কোন একটা অংশের কথাও উল্লেখ করলেন না? আল্লাহ আশ্চর্যজনকভাবে এখানে তিনটা জিনিসের কথা বললেন যে এই তিনটা কাজ যারা করবে তারা জান্নাতে যাবে। এক তওবা দুই ঈমান আনা তিন কর্মকে সংশোধন করা।

চলুন আমরা আরো কয়েকটা দলিল দেখি আরো কয়েকটা রেফারেন্স দেখি যেগুলোতে আমরা হতবাক হয়ে খেয়াল করব যে রিচুয়ালের কোন কথাই আল্লাহ বলছেন না। 11 নাম্বার সূরা হুদের 87 থেকে পরের আয়াতগুলো আমাদের খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। 87 নাম্বার আয়াত তারা বলল “হে শুয়াইব তোমার সালাত কি তোমাকে এই নির্দেশ প্রদান করে যে আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাদের ইবাদত করতো আমরা তাদের ত্যাগ করি অথবা আমাদের সম্পদে আমরা ইচ্ছামত যা করি তা ত্যাগ করি? তুমি তো বেশ সহনশীল ভালো মানুষ!” তারা বলল হে শোয়াইব তোমার সালাত কি তোমাকে এই নির্দেশ প্রদান করে? ভাবুন তো একবার- সালাত কি কখনো মানুষকে নির্দেশ প্রদান করতে পারে? ৮৮ নাম্বার আয়াত- সে বলল হে আমার কওম তোমরা কি মনে করো আমি যদি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকি এবং তিনি আমাকে তার পক্ষ থেকে উত্তম রিজিক দান করে থাকেন তাহলে কি করে আমি আমার দায়িত্ব পরিত্যাগ করব? যে কাজ থেকে আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি? তোমাদের বিরোধিতা করে সে কাজটি আমি করতে চাই না। আমি আমার সাধ্যমত সংশোধন৷ সংস্কার করে দিতে চাই যে পর্যন্ত আমার সাধ্যে হয় আমি তো সংশোধন করে দিতে চাচ্ছি আর আমার যা কিছু প্রচেষ্টা তা শুধু আল্লাহরই সাহায্যে হয়ে থাকে।। আমি তার উপর ভরসা রাখি এবং তার দিকে প্রত্যাবর্তন। 89 হে আমার সম্প্রদায় হে আমার কওম আমার সঙ্গে বিরোধ তোমাদেরকে যেন কিছুতেই এমন কাজে উদ্বুদ্ধ না করে যাতে তোমাদের উপর এমন বিপদ আসে যেমন বিপদ এসেছিল নূহের জাতির কিংবা হুদের জাতির কিংবা সালের জাতির উপরে আর লুতের জাতির অবস্থান তো তোমাদের থেকে মোটেই দূরে নয়। 90 নাম্বার আয়াত- আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো অতঃপর তারই কাছে তওবা করো নিশ্চয়ই আমার রব পরম দয়ালু অতিব ভালোবাসা পোষণকারী। 91 তারা বলল হে শুয়াইব- তুমি যা বলো তার অনেক কিছুই আমরা বুঝিনা আর তোমাকে তো আমরা আমাদের মধ্যে দুর্বলই দেখতে পাচ্ছি। যদি তোমার আত্মীয়-স্বজন না থাকতো তবে আমরা তোমাকে অবশ্যই পাথর মেরে
হত্যা করতাম আর আমাদের উপর তুমি শক্তিশালী নও সে বলল হে আমার কওম আমার স্বজনরা কি তোমাদের কাছে আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সম্মানিত আর তোমরা তাকে একেবারে পেছনে ঠেলে দিলে তোমরা যা করো নিশ্চয়ই আমার রব তা পরিবেষ্টন করে আছেন।। একটু আগে যে আমরা সূরা 59 এবং সাত সেখানে আমরা দেখতে পেলাম যে আল্লাহ ঈমান সৎকর্মের আগে একটা কথা বলেছিলেন তওবা খুবই আশ্চর্যের বিষয় এইখানে 90 নাম্বার আয়াতটি আমরা সেটাই পাচ্ছি আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো তওবা করো আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো অতএব অতঃপর তারই কাছে তওবা করো ঠিক তার একটা আয়াত আগে
তিনি কি বলছেন আমি তো তোমাদের সংশোধন করে দিতে চাচ্ছি। তার মানে যা করেছো করেছো ‑যত ঘুষ খেয়েছো যত জুলুম করেছো যত মিথ্যা বলেছ যত অপকর্ম করেছো যত মানুষ ঠকিয়েছো যত চুরি করেছো ডাকাতি করেছো খাদ্যে ভেজাল দিয়েছো যত নোংরামি অশ্লীলতা করেছো? ৮৮ নাম্বার আয়াতে কি বলা হচ্ছে? শুয়েব নবী কি বলছেন?? আমি তো সংশোধন করে দিতে চাচ্ছি! কিভাবে সংশোধন হবে? ৮৯, ৯০নাম্বার আয়াতে আমরা দেখছি তিনি বলছেন তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো অতঃপর তার কাছেই তওবা করো

এবার কি আপনারা মিলাতে পারছেন? নবী চাচ্ছেন যে তারা সংশোধিত হোক তারা যা অপকর্ম করেছে সেগুলো পরিত্যাগ করে ভালো মানুষ হয়ে যাক। সংস্কার করুক রিফর্ম করুক এ কারণেই তারা এই হুমকি দিচ্ছে যে- হে শুয়েব তোমার সালাত কি তোমাকে এই নির্দেশ প্রদান করে? তাহলে সালাত এইভাবেই নির্দেশ প্রদান করে! সালাত হচ্ছে যা করেছো করেছো। এবার রিফর্ম করো নিজেকে সংশোধন করো সংস্কার করো আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করো তওবা করো তারপর ঈমান আনো কর্মকে সংশোধন করো তার বিনিময়ে জান্নাত নাও। কি চমৎকার অদ্ভুত মিল খেয়াল করেছেন? সূরা মারিয়ামের 59 60 এবং সূরা হুদের এই শোয়েব নবীর সাথে তার কওমের কথোপকথনের মাধ্যমে? এখানেও আমরা দেখলাম যে সালাত ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। পুরো একটা পরিবার একটা সমাজ একটা এলাকায় একটা কওমকে পরিপূর্ণভাবে ভয়াবহ মহা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারা যা যা করেছে যা যা অন্যায় অপরাধ জুলুম অপকর্ম করেছে সবকিছু পরিত্যাগ করে ইস্তেগফার করে তওবা করে আল্লাহর কাছে স্যারেন্ডার করার কথা বলা হচ্ছে। এগুলো করতে তারা ইচ্ছুক ছিল না দিস ইজ দা বেসিক টিচিং অফ কোরআন। এটাই হচ্ছে কোরআনের আসল শিক্ষা- আমরা যারা সালাতকে রিচুয়ালের নামাজ ধরে নেই তাদের মুখের উপরে এই সূরা হুদের 87 থেকে 91 নাম্বার আয়াত হচ্ছে বিরাট এক চপেটাঘাত।সালাত যে রিচুয়ালের নামাজ নয় এখানে তার সুর্যের ঝকঝকে আলোর মতো পরিষ্কার। এ কারণেই আমরা দেখি যে বিসিএস চাকরির প্রতারক আবেদ আলী মত লোকের সেই রিচুয়াল৷ নামাজ ঠিকই পড়ে দাড়ি রাখে টুপি পড়ে জুব্বা পড়ে তাকবীরুল্লাহ পড়ে পেটে হাত বাঁধে নামাজ পড়ে রুকু করে সিজদা করে সালাম ফিরায় কিন্তু কোন রিফর্ম হয় না কোন সংস্কার হয়না কোন সংশোধন নাই তাদের মধ্যে। তারা তাদের চুরি বাটপারি ঘুষ দুর্নীতি জুলুম সবকিছু চালিয়েই যায় দিস ইজ নট সালাত দিস ইজ রিচুয়াল।

তাহলে এই সালাতে আসতে হলে আপনাকে কি করতে হবে? হে শুয়াইব তোমার সালাত কি তোমাকে এই নির্দেশ প্রদান করে? আপনাকে পরিশুদ্ধ হতে হবে আপনাকে রিফর্মড হতে হবে আপনাকে সংশোধিত হতে হবে। আপনি যা অন্যায় জুলুম বা অপকর্ম করেছেন সবকিছু বাদ দিয়ে, পরিত্যাগ করে, সংশোধিত হয়ে সংস্কার করে আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার তওবা করে পুরোপুরি স্যারেন্ডার করবেন আত্মসমর্পণ করবেন। এই আত্মসমর্পণকেই আরবিতে বলা হয় মুসলিম। পরের আয়াত দেখার আগে আমরা এই শোয়েব নবীর ঘটনা দিয়ে তিনটা প্রশ্ন করি? একটু নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করি। প্রশ্ন নাম্বার এক- যদি এখানে সালাত অর্থ সেই রিচুয়াল নামাজ হয় তাহলে কিভাবে শোয়েব নবীর এই রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ তার কওমের মানুষদের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারবে? দু নাম্বার প্রশ্ন ‑যদি এই শুয়েব নবীর সালাত অর্থ রিচুয়াল নামাজ হয় তাহলে এই নামাজ কিভাবে মানুষকে নির্দেশ দিতে পারে আদেশ দিতে পারে যে- তোমাদের পূর্বপুরুষরা যা করেছে সেটা পরিত্যাগ করো? বর্জন করো? তিন নাম্বার প্রশ্ন ‑এখানে যদি সালাত মানে রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ হয় তাহলে একজন রাসূলের নামাজ কিভাবে কাউকে কোন কিছু করার নির্দেশ দিতে পারে? নামাজের কি নির্দেশ দেওয়ার কোন ক্ষমতা আছে? নামাজ তো নিজেই একটা অদৃশ্য রিচুয়াল ভিত্তিক প্রসেস?

এবার আমরা তিন নাম্বার পয়েন্টে আসি। সালাত প্রতিষ্ঠা যদি নিজেকে সংস্কার করা না হয় সমাজকে রিফর্ম করা না হয় সংশোধন করা না হয় তাহলে কেন কোরআনে বারবার বলা হয়েছে যে আকিমুস সালাত হচ্ছে মানুষ যা করে তার সংস্কার তার সংশোধন তার রিফর্মেশন? সূরা বাকারার 277 নাম্বার আয়াতে সূরা আরাফ সাত নাম্বার সূরার 170 নাম্বার আয়াতে 19 নাম্বার সূরার 59 থেকে 60 নাম্বার আয়াতে 21 নাম্বার সূরার 73 নাম্বার আয়াতে 11 নাম্বার সূরার 114 নাম্বার আয়াতে তিন নাম্বার সূরার 39 নাম্বার আয়াতে এবং 98 নাম্বার সূরার পাঁচ থেকে সাত নাম্বার আয়াতে কেন বলা হয়েছে?

চার নাম্বার প্রশ্ন ‑সূরা আরাফ মানে সাত নাম্বার সূরার 170 নাম্বার আয়াতে কেন আল্লাহ বলেছেন যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে মুসল্লিন তারা হচ্ছে মুসলিহীন মানে সংশোধনকারী রিফর্মার সংস্কারক? কেন বলেছেন যারা কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে সালাত প্রতিষ্ঠা করে? তাদের সঙ্গে আল্লাহ কি নির্ধারণ করেছেন? তারা হচ্ছে মুসলিহীন তারা হচ্ছে সংশোধিত পরিশোধিত সংস্কারবাদি?আল্লাহ তাদের কিন্তু নামাজি বলেননি আল্লাহ তাদের কি বলেছেন? মুসলিহীন ‑সংশোধিত,সংস্কারী- কারা? যে ঘুষ খায় যে জুলুম করে যে বাটপারি করে চুরি করে ডাকাতি করে গীবত করে মিথ্যা বলে তারা কি সংশোধন হয়েছে? মোটেই না। এ সমস্ত অপকর্ম যারা পরিত্যাগ করে নিজেকে সংশোধন পরিশোধন করে তারাই তো মুসলিহীন। তাই নয় কি? তাহলে এখানেও আমরা দেখলাম সূরা আরাফের 170 নাম্বার আয়াতে সালাত কায়েমকারীদেরকে বলা হচ্ছে তারা হচ্ছে মুসলিহীন। মানুষ তখনই মুসলিহীন হয় যখন সে অতীতের সকল অপকর্ম পরিত্যাগ করে নেক আমল করতে থাকে সৎ কাজ করতে থাকে সংশোধিত হয়ে যায় মুসলিহীন হয়ে যায়।

এবার পাঁচ নাম্বার পয়েন্টে আমরা আসি ‑এই সালাত যদি সেই রিচুয়ালই হয় এবং সংশোধন বা রিফর্মেশন না হয় তাহলে কেন এই সালাতকে 74 নাম্বার সূরার 42 থেকে 44- 107 নাম্বার সূরার এক থেকে সাত এবং 69 নাম্বার সূরার 30 থেকে 37 আয়াতে মানুষদের ‑সমাজের, পরিবারের, এলাকার, কওমের লোকদেরকে সাহায্য করা, সহযোগিতা করা, গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কথাটাকেই আল্লাহ আকিমুস সালাত বলে উল্লেখ করেছেন? কেন আল্লাহ সেই রুকু সিজদা শেষ বৈঠক এই বিষয়গুলোর কথা এই আয়াতগুলোতে উল্লেখ করলেন না? তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি না যে এই গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানো অভাবী আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে যে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়ে যাবে পুরো সমাজটা ঘুরে দাঁড়াবে পুরো এলাকাটা পুরো গ্রামটা পুরো উপজেলাটা রিফর্মড হয়ে যাবে সংশোধিত হয়ে যাবে মানুষের মধ্যে ভালোবাসাও সম্প্রীতির বন্ধন জাগরিত হবে সেই বিষয়টাই হচ্ছে আকিমুস সালাত?

আমরা আয়াতগুলো একটু পড়ে দেখি 74 নাম্বার সূরার 42 থেকে 44 আল্লাহ বলছেন — “কিসে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করালো? তারা বলবে আমরা সালাত আদায়কারী ছিলাম না, আমরা অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করতাম না আর আমরা অনর্থক আলাপকারীদের সাথে মগ্ন থাকতাম। ” 107 নাম্বার সূরায় বলা হচ্ছে “তুমি কি দেখেছো যে কর্মফল দিবসকে প্রত্যাখ্যান করে ? সে ইয়াতিমকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ প্রদান করে না সেই সালাত আদায়কারীর জন্য দুর্ভোগ যারা নিজেদের সালাতে অমনোযোগী, উদাসীন যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে আর গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিস অন্যকে দিতে নিষেধ করে বিরত থাকে?

69 নাম্বার সূরা হাক্কার 31আয়াত থেকে বলা হচ্ছে ‑অতঃপর তাকে তোমরা নিক্ষেপ করো জাহান্নামে তারপর তাকে বাঁধো এমন এক শেকলে যার দৈর্ঘ্য হবে 70 হাত সে তো মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করতো না অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহিত করতো না

অতএব আজ এখানে তার কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না। ”

এই প্রত্যেকটা সূরায় আমরা একটা জিনিস কমন দেখলাম সেটা হচ্ছে অভাবগ্রস্তদের খাদ্য দান করতো না তাহলে এই যে সূরা বাকারা ১৭৭, ২১৫ সূরা তওবার ৬০ সহ অন্যান্য সূরাগুলোতে আমরা দেখছি যে -“দান করা, মানুষকে খাওয়ানো, মানুষের পাশে দাঁড়ানো অভাবগ্রস্ত প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের কথা বারবার ঘুরে ফিরে বলা হয়েছে। এখানেও আমরা দেখলাম সূরা হাক্কায় সূরা মাউনে এবং সূরা মুদাসসিরে যে এই অভাবগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সালাত। এই কাজটা যে না করে আল্লাহ তার কথাই বলছেন যে তারা তাদের সালাতে উদাসীন। এখানে একটি বারও রুকু কিয়াম শেষ বৈঠক রাফুল ইয়াদাইন, দোয়া মাছুরা আত্তাহিয়াতু দুরুদ শরীফ ছানা তাকবিরুল্লাহ উঠাক ব্যায়ঠাক — কোন কিছুর কথাই আল্লাহ উল্লেখ করেননি। ব্যাপারটা কি একটু আশ্চর্যের নয়?

ছয় নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি রিচুয়াল নামাজই হয় এবং সমাজ সংস্কার না হয় সংশোধন না হয় রিফর্মেশন না হয় তাহলে এই নামাজ কোন ধরনের নামাজ যেই নামাজে সূরা মাউন এর এক থেকে সাত নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তাদেরকে সালাতে উদাসীন বলেছেন যারা প্রতিবেশীকে সাহায্য করে না সাহায্য করা থেকে বিরত থাকে যারা অভাবগ্রস্তের পাশে দাঁড়ায় না ইয়াতিমকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় এটা আবার কোন ক্যাটাগরির সালাত? কোন ক্যাটাগরির নামাজ?

সাত নাম্বার পয়েন্ট:- 29 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াতে এবং 20 নাম্বার সূরার 14 নাম্বার আয়াতে যেহেতু আল্লাহ বলেছেন সালাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর স্মরণ তাহলে কেন আল্লাহ এই আল্লাহর স্মরণকে সবসময় নেক কর্ম করা ভালো কাজ করা সৎ কাজ করা, সংস্কার করা, সংশোধন করা এর সাথে সম্পর্কিত করেছেন? সাত নাম্বার সূরা আরাফের 170 নাম্বার আয়াতে 11 নাম্বার সূরার 114 নাম্বার আয়াতে 19 নাম্বার সূরার 60 61 নাম্বার আয়াতে 20 নাম্বার
সূরার 14 নাম্বার আয়াতে 21 নাম্বার সূরার 73 নাম্বার আয়াতে এবং 29 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াতে?

আট নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সালাত রিচুয়াল নামাজ হয় এবং সংস্কার না হয় রিফর্মেশন না হয় সংশোধন না হয় এবং এটা ইসলামের শ্রেষ্ঠতম একটা খুঁটি হয়েই থাকে তাহলে কেন কোরআনে কখনো বলা হয়নি যে ইব্রাহিম নবী আল্লাহর কাছে নিজেকে পূর্ণসমর্পণ বা আত্মসমর্পণ করেছেন এই রিচুয়াল ভিত্তিক রাফুলিয়াদাইন উঠাক বেয়ঠাক, রুকু সেজদা, শেষ বৈঠক, সালাম ফিরানোর মাধ্যমে? এবং অমুক অমুক ছানা,দরুদ শরীফ, আত্তাহিয়াতু দোয়া মাসুরার মাধ্যমে? কেন এগুলোর বর্ণনা একবারও দেয়া
হলো না? বরং শুধু এটাই বলা হলো যে তিনি সংস্কারের মাধ্যমে সৎকর্মের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করেছেন, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ভাবনা গবেষণার মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছেন দু নাম্বার সূরা বাকারার 125 থেকে 131 নাম্বার আয়াতে ছয় নাম্বার সূরার 79 নাম্বার আয়াতে ছয় নাম্বার সূরার 161 নাম্বার আয়াতে 16 নাম্বার সূরার 120 থেকে 123 নাম্বার আয়াতে?

নয় নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ হয় এবং কোন রিফর্মেশন কোন সংশোধন কোন সংস্কার ব্যক্তি পরিবার সমাজে না হয়ে থাকে তাহলে কেন 21 নাম্বার সূরার 51 থেকে 70 নাম্বার আয়াতে ইব্রাহিম নবীর সালাতকে বর্ণনা করে করা হয়েছে এইভাবে যে তিনি সকল মিথ্যা অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ এবং যুক্তিভিত্তিক বিতর্ক করেছিলেন সংশোধনের নিমিত্তে? সবার চিন্তা ভাবনার আকাশে আঘাত করেছিলেন লজিকের মাধ্যমে আর্গুমেন্টের মাধ্যমে?

দশ নাম্বার পয়েন্ট:- যদি সালাত প্রার্থনা হয়ে থাকে এবং দোয়াও একটি প্রার্থনা হয়ে থাকে। যেটা( ফার্সি ইরানি আলেম দ্বারা প্রভাবিত) আলেমরা বলে থাকেন যে নামাজ হচ্ছে প্রার্থনা দোয়া মোনাজাত এগুলো হচ্ছে আল্লাহরই কাছে প্রার্থনা এবং নামাজ হচ্ছে সকল প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা তাহলে যদি এই নামাজ প্রার্থনা হয় এবং দোয়াও প্রার্থনা হয় তাহলে কেন ইব্রাহিম নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন যে তার দোয়া যেন কবুল করা হয় তার সালাত কবুলের কথা তো তিনি বলেননি- 14 নাম্বার সূরার 40 নাম্বার আয়াতে? দুটোই যদি দোয়া হয়ে থাকে প্রার্থনা হয়ে থাকে তাহলে তো তার বলা উচিত ছিল যে ‑আল্লাহ তুমি আমার নামাজও কবুল করো কিন্তু তিনি তার নামাজ কবুলের প্রার্থনা একটি বারও করলেন না পুরো কোরআনে বরঞ্চ 14 নাম্বার সূরার 40 নাম্বার আয়াতে তিনি তার দোয়া কবুলের প্রার্থনা করলেন। দোয়া যদি নিজেই প্রার্থনা হয়ে থাকে তাহলে সেটার প্রার্থনা কেন করলেন তিনি? আর নামাজও যদি প্রার্থনাই হয়ে থাকে তাহলে সেই নামাজ কবুলের প্রার্থনা তিনি কেন করলেন না? একইভাবে যখন জাকারিয়া নবী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করল তিন নাম্বার সূরার 38 থেকে 39 নাম্বার আয়াতে তখনও তিনি কেবল শুধু তার দোয়া কবুলের প্রার্থনা করলেন- কেন তার নামাজ কবুলের প্রার্থনা করলেন না?

এগারো নাম্বার পয়েন্ট:- এই সালাত যদি রিচুয়াল হয়ে থাকে, নামাজ হয়ে থাকে, প্রার্থনা হয়ে থাকে, দোয়া যেমন একটা প্রার্থনা তেমনি একটা প্রার্থনাই হয়ে থাকে? তাহলে কোরআনে যে 111 টা দোয়া আল্লাহ শিখিয়েছেন আমাদেরকে আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য সেখানে কেন তিনি একবারও এই সালাত প্রার্থনার কথা শেখালেন না?

বার নাম্বার পয়েন্ট:- সালাত যদি রিচুয়ালই হয়ে থাকে সেই রিফর্মেশন সংস্কার সংশোধন না হয়ে থাকে তাহলে এই সালাত আদায়কারীরা কিভাবে ইব্রাহিমের পদচিহ্ন অনুসরণ করবে? ইব্রাহিমের পদচিহ্ন ওইখানে কি সারা পৃথিবীর সকল মানুষের উপস্থিত হওয়া সম্ভব ইব্রাহিমের পদচিহ্ন দাঁড়িয়ে মাকামে ইব্রাহিমে তিনি কিভাবে এই রিচুয়াল গুলো করেছেন তার কোন বর্ণনা কি কোন হাদিসে বা কোন কোরআনে আছে নেই তাহলে মানুষ কিভাবে তার এই পদচিহ্ন অনুসরণ করবে এই পদ চিহ্ন কি রিচুয়ালের পদচিহ্ন
(22:02) না তিনি যেই সমাজ সংস্কার করেছেন সংশোধন করেছেন অপকর্ম অশ্লীলতা পাপকর্ম থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে নেক ও সুন্দর মহৎ কর্মের মাধ্যমে পরিবার সমাজ জাতিকে আলোকিত করেছেন সেইভাবে আমাদেরও পরিবার সমাজ কওমকে আলোকিত করা সংশোধন করা রিফর্ম করাটাই বোঝানো হয়েছে তাকে আমাদের ভাবা উচিত নয় 13 নাম্বার পয়েন্ট সালাত যদি কোরআনেরই একটা দায়িত্ব হয় কর্তব্য হয় যে সকল শান্তিপ্রিয় আত্মসমর্পণকারীর মানে মুসলিমদের যেমনটা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার বংশধররা করে গিয়েছেন তাকে এজন্য জাতির নেতা বলা হয়েছে মুসলিম জাতির এই সংশোধনটা তিনি কিভাবে করেছেন 14 নাম্বার সূরার 37 থেকে
(22:50) 40 নাম্বার আয়াতে আমরা দেখি যে তিনি এটা করেছেন এই সংস্কারিক বিপ্লবের মাধ্যমে রিফর্মেশন এর মাধ্যমে তাহলে কিভাবে একটা মানুষ এই রিচুয়ালের মাধ্যমে রুকু সেজদা শেষ বৈঠকের মাধ্যমে এই প্রচলিত নামাজের মাধ্যমে বারবার দিনে পাঁচ বার ছয় বার 10 বার করে কিভাবে তার পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকে সংশোধন করতে পারবেন কারণ ওখানে কি বলা হয় তা তো যারা অনারব মানুষ তারা 1% বোঝেনা যে কি আদেশ বলা হচ্ছে আর কি নিষেধ করা হচ্ছে এভাবে দিনের মধ্যে যদি 50 বার সেই রিচুয়াল করতে থাকে তাহলে কি তার নিজের বা পরিবারের বা সমাজের বিন্দুমাত্র সংস্কার সম্ভব 14 নাম্বার পয়েন্ট কেন মুসা নবীকে
(23:39) 20 নাম্বার সূরার 14 নাম্বার আয়াতে সালাত প্রতিষ্ঠা করতে বলা হলো প্রথম সাক্ষাতে তাকে কোন কিছু না শিখিয়ে দিয়ে সেই রিচুয়ালের যেখানে আমরা দেখতে পাই পাঁচ নাম্বার সূরার 92 নাম্বার আয়াতে পাঁচ নাম্বার সূরার 99 নাম্বার আয়াতে 16 নাম্বার সূরার 35 নাম্বার আয়াতে 16 নাম্বার সূরার 82 নাম্বার আয়াতে যেহেতু তিনি একজন রাসূল ছিলেন তার একমাত্র দায়িত্ব ছিল বার্তা পৌঁছে দেয়া বাণী তার উপর যা নাযিল করা হয় সেগুলো পৌঁছে দেয়া তাহলে এই যে একমাত্র দায়িত্ব পালন না করে প্রথম সাক্ষাতেই কোন রিচুয়ালের বিস্তারিত না শিখিয়ে দিয়ে তাকে কেন 20 নাম্বার
(24:17) সূরার 14 নাম্বার আয়াতে এই রিচুয়াল করতে বলা হলো তাহলে এই রিচুয়াল কি উঠাক বৈঠক নাকি তার পরিবার তার সমাজ তার কওমকে জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে এনে রিফর্মেশন এর মাধ্যমে সংশোধনের মাধ্যমে নেক ও সৎকর্মশীল হিসেবে গড়ে তোলার বিপ্লব ছিল আমাদের ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখতে হবে 15 নাম্বার পয়েন্ট 20 নাম্বার সূরা তহার 24 থেকে 47 নাম্বার আয়াত পড়লে আমরা বুঝতে পারি যে মুসা নবীকে আদেশ করা হয়েছিল এই সমাজ সংস্কারের কম সংস্কারের 16 নাম্বার পয়েন্ট 20 নাম্বার সূরার 24 থেকে 47 নাম্বার আয়াত পড়লে আমরা বুঝি তার মিশন ছিল টার্গেট ছিল অত্যাচারী জালিম ফেরাউনের
(25:03) হাত থেকে নিগ্রহীত নির্যাতিত মানুষকে বাঁচানো 28 নাম্বার সূরার ছয় নাম্বার আয়াতে 28 নাম্বার সূরার 38 নাম্বার আয়াতে আমরা দেখি যে দুর্নীতিবাজ যেই মোল্লাতন্ত্র ছিল হামানের নেতৃত্বে এবং 28 নাম্বার সূরার 76 থেকে 81 এবং 29 নাম্বার সূরার 39 নাম্বার আয়াতে দেখি যে কারণের মাধ্যমে যে পুঁজিবাদ পুঁজিতন্ত্র ধর্মতন্ত্র যে ক্যাপিটালিজম স্টাবলিশড হয়েছিল সেগুলো ধ্বংস করাই ছিল তার মিশন এই যে কারুনের ক্যাপিটালিজম পুঁজিবাদ ধ্বংস করা হামানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সেই মোল্লাতন্ত্র এবং ফেরাউনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত যেই জালিমতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত
(25:44) হয়েছিল এগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও বিপ্লব ঘটানোই যেহেতু তার উদ্দেশ্য ছিল সেহেতু কি আমরা বলতে পারি যে তিনি এই মিশনগুলো পরিপূর্ণ না করে দিনের মধ্যে পাঁচবার বা 10 বার উঠক ব্যাঠক এগুলো করে বেরিয়েছেন 17 নাম্বার পয়েন্ট কেন বনী ইসরাইলদেরকে বলা হয়েছিল যে তোমরা সমাজের সবাইকে উপকার করবে মানুষের কল্যাণ চাইবে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে সব কর্ম সম্পাদন করবে সালাত সম্পাদন করবে কেন বলা হয়েছিল বনী ইসরাইলের কওমদেরকে 18 নাম্বার পয়েন্ট 11 নাম্বার সূরার 87 সাত নাম্বার সূরার 85 29 নাম্বার সূরার 36 থেকে 37 নাম্বার আয়াতে কেন নবী শুয়েবের সালাতকে
(26:31) বর্ণনা করা হয়েছে যে সামাজিক কল্যাণ হিসেবে যা মানুষকে ন্যায়বিচার দেয় সম্পদের সুষম বন্টন করে এবং অভাবগ্রস্তকে অভাব মুক্ত করে কেন বলা হয়েছে 19 নাম্বার পয়েন্ট কিভাবে শোয়েব নবীর এই রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ তার কওমের যে অর্থনৈতিক সিস্টেম আছে ইকোনমিক সিস্টেম আছে সেটা সংস্কার করে সংশোধন করে ন্যায়নীতি ও সাম্যতার অর্থব্যবস্থা এস্টাবলিশ করতে পারে 20 নাম্বার পয়েন্ট শোয়েব নবীর এই নামাজ কিভাবে মানুষকে নির্দেশ দেয় যে তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষের রীতিনীতি পদ্ধতি ছেড়ে দাও পরিত্যাগ করো 21 নাম্বার পয়েন্ট শুয়েব নবীর নামাজ কিভাবে মানুষকে কোন কিছু করতে
(27:20) নির্দেশ দিতে পারে 11 এর 87 নাম্বার আয়াতে 22 নাম্বার পয়েন্ট তিন নাম্বার সূরার 38 থেকে 39 নাম্বার আয়াতে জাকারিয়া নবীর সালাতকে বর্ণনা করা হয়েছে সংশোধন হিসেবে নেকর্ম হিসেবে সৎকর্ম হিসেবে এবং এই সংশোধন সৎকর্ম নেক কাজ এটাকে আলাদা করা হয়েছে তার দোয়া থেকে তার প্রার্থনা থেকে যদি এই সালাত নামাজি হয়ে থাকে রিচুয়ালি হয়ে থাকে তাহলে কেন কোরআনে নবী রাসূলদের যত গল্প বলা হয়েছে যত ঘটনা বলা হয়েছে 11 নাম্বার সূরায় দুই নাম্বার সূরায় তিন নাম্বার সূরায় সাত নাম্বার সূরায় 11 12 15 21 26 38 37 কোথাও কোন নবী বা কোন রাসূলের ক্ষেত্রে
(28:06) একটি বারও তারা তাদের কওমকে বা পরিবারকে বা সমাজের কাউকে এই রিচুয়ালের একটা মাত্র পদ্ধতিও শিখিয়েছেন তার কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না 24 নাম্বার পয়েন্ট এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কেন কুরআনে কখনো কোন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে কোন জাতির উপর গজব পতিত হয়েছে এ কারণে নয় যে তারা দাড়ি রাখতো না টুপি পড়তো না হিজাব পড়তো না বোরখা পড়তো না জুব্বা পড়তো না এই অপরাধে একটি বারও কেন আল্লাহ কোরআনে যতগুলো কওমকে ধ্বংস বা গজবে নিপতিত করেছেন তাদের কারো অপরাধ হিসেবে এই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো না বরঞ্চ বারবার তারা নেক কর্ম করতো না অসৎকর্ম করতো অপকর্ম করতো
(28:55) চুরি বাটপারি ধান্দাবাজি প্রতারণা জুলুম এগুলো বলেই তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে গজব বর্ষণ করা হয়েছে এই বিষয়গুলো আল্লাহ বারবার বারবার বলেছেন কেন বলেছেন ছয় নাম্বার সূরার ছয় নাম্বার আয়াতে 45 নাম্বার আয়াতে নয় নাম্বার সূরার 66 নাম্বার আয়াতে 10 নাম্বার সূরার 13 নাম্বার আয়াতে 15 নাম্বার সূরার 70 থেকে 75 নাম্বার আয়াতে 22 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াতে 28 নাম্বার সূরার 69 নাম্বার আয়াতে 30 নাম্বার সূরার 41 থেকে 47 নাম্বার আয়াতে আমরা বারবার দেখতে পাই যে যতগুলো কওমকে জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে তাদের কাউকেই দাড়ি টুপি জুব্বা উঠক বৈঠক
(29:35) রুকু সিজদা শেষ বৈঠক রফুলিয়াদাইন পেটে হাত বুকে হাত এর একটা রিচুয়ালের অপরাধেও কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি বরং সবাইকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তাদের অধঃপতনের জন্য তাদের অপকর্মের জন্য তাদের চুরি বাটপারি ধান্দাবাজি জুলুম প্রতারণা ব্যভিচার এসব ভয়ঙ্কর অপরাধ করার জন্য কেন 25 নাম্বার পয়েন্ট কেন আল্লাহর রাসূল মোহাম্মদ বারবার সমাজের অত্যাচারী জালিম যারা আছে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন হুমকি দিয়েছেন এবং তারা পাল্টা আঘাত প্রতিঘাত করেছে তিনি যদি তার ঘরের মধ্যে বা তার লোকজনকে নিয়ে এই উঠক‑ব্যাঠক করতে থাকতেন না খেয়ে থাকতেন রোজা রাখতেন এতে তো কারো
(30:21) কিছু যায় আসে না কেন তিনি বারবার সমাজে চলমান অন্যায় অত্যাচার জুলুম এগুলোর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন এগুলো বন্ধ করতে বলেছেন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন জুলুমমুক্ত শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা করার কথা বলেছেন কেন বলেছেন তিনি কেন তিনি একটি বারও কাউকে বলেননি যে তোমরা রাফুলিয়াদান করো জোরে জোরে আমিন বলো আত্তাহিয়াতু পড়ো দোয়া মাসুরা পড়ো এই রিচুয়াল গুলো করো কেন তিনি বারবার সমাজের চলমান অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন এগুলোর বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন কেন কেন কুরআনে একবারও তার মুখ দিয়ে এই রিচুয়াল এর একটি পার্টের কথাও আমরা খুঁজে
(31:02) পাই না কেন পাই না এই সালাত যদি এই রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ হয়ে থাকে এবং সংস্কার সংশোধন রিফর্মেশন না হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে একটা মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অবদান রাখতে পারে যে সে এই সম্পদ রাসূলকে সাদকা হিসেবে দিয়ে তার আরো কাছাকাছি তার আরো নিকটবর্তী তার আরো ক্লোজ হতে পারার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে যেটা আমরা দেখি নয় নাম্বার সূরা তওবার 99 নাম্বার আয়াতে তাহলে এখানে কেন এই ফাইনান্সিয়াল কন্ডিশন এখানে কেন তার অর্থনৈতিক অবস্থা তাকে নবীর আরো কাছাকাছি আনার এবং আসার সুযোগ করে দেয় কেন তার আরো বেশি রিচুয়ালিক পারফর্ম আরো বেশি
(31:51) রাফুলিয়াদাইন দোয়া মাসুরা আত্তাহিয়াতু তাকে রাসূলের নিকটবর্তী করে দেবে এরকম ঘোষণা আমরা পাই না এই সূরা তওবার 99 নাম্বার আয়াতে সালাত প্রতিষ্ঠা যদি নামাজ প্রতিষ্ঠায় হয়ে থাকে রিফর্মেশন না হয়ে থাকে সংশোধন সংস্কার না হয়ে থাকে তাহলে কেন সুন্দর পরিবেশ পেলে এবং কর্তৃত্ব পেলে ক্ষমতা পেলে এই জমিনে আবার ঘুরে ফিরে সেই সালাত প্রতিষ্ঠার কথাই বলা হচ্ছে চার নাম্বার সূরার 103 21 নাম্বার সূরার 73 এবং 22 নাম্বার সূরার 41 নাম্বার আয়াতে 30 নাম্বার পয়েন্ট সালাত যদি বাধ্যতামূলক হয় হয়ে থাকে এবং কোরআনে অসংখ্যবার এই সালাতের সাথে সাথে যাকাত শব্দটা আল্লাহ
(32:35) উল্লেখ করে দিয়ে থাকেন আকিমুস সালাত ওয়াতুজ্জাকাত বারবার বারবার অসংখ্যবার এই কনসেপ্টকে আল্লাহ কোরআনে মনে করিয়ে দিচ্ছেন এবং এই যাকাত যেকোনো এলাকার যেকোনো কওমের যেকোনো সমাজের যেকোনো রাষ্ট্রের যেকোনো শহরের যেকোনো গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থাকে পুরোপুরি বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে এই যাকাতের মাধ্যমে যার যার প্রয়োজন যে অভাবী যে দরিদ্র তার মুখে হাসি ফুটতে পারে তাহলে কি এই সালাত এমন জিনিস নয় যা মানুষকে এই যাকাত প্রদানে সবচেয়ে বেশি তারিত করবে সবচেয়ে বেশি ইন্সপায়ার করবে সবচেয়ে বেশি ইনফ্লুয়েন্স করবে যার মাধ্যমে ঘটবে
(33:21) সামাজিক বিপ্লব অর্থনৈতিক বিপ্লব যার মাধ্যমে সকল গরীব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটবে 31 নাম্বার পয়েন্ট যদি সালাতের উদ্দেশ্যই হয়ে থাকে আল্লাহর স্মরণ আল্লাহর বাণীর স্মরণ তার বাণীগুলোকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা ব্যক্তিজীবনে এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তাহলে আল্লাহর এই বাণী আদেশ এবং নির্দেশ সমাজে প্রতিষ্ঠা না করে একে শুধুমাত্র কিছু উঠক বৈঠক শেষ বৈঠক রাফুলিয়াদানের মাধ্যমে কেন ক্ষুদ্র পরিসরে আটকে ফেলা হলো নাম্বার পয়েন্ট আকিমুস সালাত যদি নামাজ হয়ে থাকে রিচুয়ালের মাধ্যমে যদি নিজের ব্যক্তি জীবনে পরিবার জীবনে আল্লাহর আদেশ নিষেধ
(34:11) নিয়ামত রহমত স্মরণের মাধ্যমে তার বাণীগুলো প্রতিষ্ঠা না হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে এটা একটা মানুষকে ফাইসা আর মুনকার থেকে বিরত রাখবে যেই বিরত রাখার কথা আল্লাহ 29 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াতে বলেছেন নাম্বার পয়েন্ট সালাত যদি রিচুয়াল হয়ে থাকে সমাজ সংস্কার সংশোধন রিফার্মেশন না হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে তা বেশ্যাবৃত্তি বা প্রতিতাবৃত্তি রুখে দিতে পারবে খুন ধর্ষণ ঘুষের মত মুনকার কাজ থামাতে পারবে 34 নাম্বার পয়েন্ট সালাত যদি রিচুয়াল হয়ে থাকে এবং 29 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী যদি এটা সকল ফাসা আর মুনকার কাজগুলোকে বন্ধ করতে
(35:01) পারে বিরত রাখতে পারে তাহলে কেন আমরা দুর্নীতিবাজ নেতাদেরকে থামাতে পারছি না কেন আমরা অসত্য ব্যবসায়ীদের থামাতে পারছি না কেন আমরা আইএসএস আলকায়দা জেএমবি বকুহারাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম টিটিপি আলশাবাব সিপাহী সাহাবা আল নুসরা এদের কেন থামাতে পারছি না এই অসৎ দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর সিন্ডিকেটকারী চাঁদাবাজ এদের মধ্যে বহু হাজার লক্ষ মানুষ আছে যারা পাঁচ ওয়াক্ত না 10 ওয়াক্ত নামাজ পড়ে হজ করে সবকিছু করে তারপরও কেন 29 নাম্বার সূরার 45 নাম্বার আয়াত অনুযায়ী এদেরকে এই রিচুয়াল নামাজ থামাতে পারছে না তাহলে কি সালাত এই সংস্কার সংশোধন রিফর্মেশন নয় 35
(35:52) নাম্বার পয়েন্ট সালাত মানে যদি এই রিচুয়াল ভিত্তিক নামাজ হয়ে থাকে যায় একটা ব্যক্তি তার ঘরে তার রুমে তার বেডরুম রুমে বা মসজিদে গিয়ে সে পড়তে পারবে বা পড়বে এক ইলাহেকে সে স্মরণ করবে তাহলে কেন আমরা কোরআনের অজস্র জায়গায় এই সালাতের বিভিন্ন রকম প্রয়োগ দেখতে পাই কেন শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির রিচুয়ালকে উদ্দেশ্য করে এই সালাত শব্দটা আল্লাহ ব্যবহার করেননি এত অজস্র আয়াতগুলোতে 36 নাম্বার পয়েন্ট যদি সালাত প্রতিষ্ঠা করা যায় দিনে তিনবার বা পাঁচ বার বা 10 বার রিচুয়াল করার মাধ্যমে উঠক‑ব্যাঠক করার মাধ্যমে প্রত্যেকদিন তাহলে কেন যারা সালাত
(36:35) প্রতিষ্ঠা করে না তাদেরকে তাওয়াল্লা বলা হয়েছে 75 নাম্বার সূরার 31 থেকে 32 নাম্বার আয়াতে যারা লালসা রাখে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে 19 নাম্বার সূরার 59 নাম্বার আয়াতে যারা চুক্তি ভঙ্গ করে নয় নাম্বার সূরার চার থেকে পাঁচ নাম্বার আয়াতে এবং যারা অসহায় অভাবগ্রস্তদের খাদ্য দান করে না 74 নাম্বার সূরার 42 নাম্বার থেকে 44 নাম্বার আয়াতে 69 নাম্বার সূরার 30 থেকে 37 নাম্বার আয়াতে 107 নাম্বার সূরার এক থেকে সাত নাম্বার আয়াতে এদেরকে সালাত বিরোধী বলা হয়েছে এদেরকে সালাতের প্রতি অমনোযোগী বলা হয়েছে এদেরকে সালাতহীন জাহান্নামী বলা হয়েছে
(37:15) কেন সালাত যদি আল্লাহকে স্মরণ করা এবং আল্লাহর রহমত পাওয়ার রিচুয়াল ভিত্তিক কর্ম হয়ে থাকে যা দিনের মধ্যে কখনো দুই রাকাত কখনো চার রাকাত কখনো ছয় রাকাত কখনো 10 রাকাত কখনো 20 রাকাত অজস্র বার করতে হয় বিভিন্ন সময় করতে হয় সকালে দুপুরে বিকেল বিভিন্ন বার করতে হয় এটা কোন প্রক্রিয়ায় করবে কতটুকু করবে কি কি পড়বে এর বিভিন্ন ধরণ আছে প্রক্রিয়া আছে কেন একটি বারও আল্লাহ এই প্রক্রিয়া গুলোর কথা বললেন না অথচ দু নাম্বার সূরার 282 নাম্বার আয়াতে সামান্য ঋণও যদি কেউ নেয় সেটাও আল্লাহ লিখে রাখতে বলেছেন তাহলে এই যে রিচুয়ালের প্রসেস এগুলো কেন নবী
(38:03) ডিটেইলস লিখে রাখেননি কেন সাহাবীরা ডিটেইলস লিখে রাখেননি কেন আল্লাহর রাসূলের মৃত্যুর 200 250 বছর পরে বুখারী তিরমিজি এদেরকে খুঁজে খুঁজে খুঁজে খুঁজে এগুলো লিখতে হলো এবং সেগুলো লিখেও তারা কুল কিনারা করতে পারলো না চারটা মাযহাব বানাতে হলো সেই মাযহাবেও তারা ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারলো না শুধুমাত্র হাত বাঁধা নিয়েই তারা ঐক্যমত্বে পৌঁছাতে পারলো না 1200 বছর ধরে এক মাযহাব বলতে বুকে হাত বাঁধো এক মাযহাব বলছে পেটে হাত বাঁধো এক মাযহাব বলছে হাত ছেড়ে দাও এক মাযহাব বলছে নাভির নিচে হাত বাঁধো এক মাযহাব বলছে পেট আর বুকের মাঝে হাত বাঁধো এই একটা পদ্ধতিও পরিপূর্ণভাবে
(38:44) অনুসরণ করতে কেন তাদের গলদ ঘর্ম হতে হচ্ছে কেন কোন নবী রাসূল সাহাবীরা তাবেঈরা পদ্ধতিগুলো লিখে রাখলেন না যেখানে বাকারা সূরার 282 নাম্বার আয়াতে সামান্য ঋণ দিলে সেই বিষয়টুকু পর্যন্ত আল্লাহ লিখে রাখার অর্ডার দিয়েছেন তাহলে এত বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখার অর্ডার আল্লাহ কেন দিলেন না যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেই যে আল্লাহ ভুলে গিয়েছেন তাহলে নবী সাহাবী তাবেঈরা কেন এগুলো লিখে রাখলেন না লিখে রাখার আদেশ তো আল্লাহ কোরআনে দিয়েছেন যে যখন তোমরা ঋণ দেবে তা লিখে রাখবে তাহলে লেখাপড়া তো তখনও চালু ছিল এটাই তো বোঝা যায় এই আয়াতে তাহলে লেখাপড়া চালু থাকা
(39:28) অবস্থায়ও কেন এই বিস্তারিত বিষয়গুলো লিখে রাখা হলো না আর এই বিভিন্ন রকম ফের তারাবির 20 রাকাত না আট রাকাত নিয়ে মারামারি এই হাত বাঁধা নিয়ে মারামারি জোরে আমিনবালা নিয়ে মারামারি দাপাদাপি লড়াই ঝগড়া ফেসাদ এই 1200 বছর ধরে এই আলেম ওলামা মোল্লা মৌলভীরা করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে তাহলে এমন একটা বিষয় কেন দাঁড়ালো যার ঐক্যমত্ত্ব ভিত্তিক সমাধান যার পুরো প্রসেস আজ পর্যন্ত এত হাদিস ঘেটেও কেউ বের করতে পারলো না 39 নাম্বার পয়েন্ট আমরা যে সময় যেখানে কোরআন নাযিল হয়েছে সেই এলাকার সেই শহরের সেই জেলার পরিবেশ যদি দেখি তাহলে দেখব যে কোরআন
(40:19) নাযিল হয়েই তা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সেই সমাজের সেই কওমের অত্যাচারী জালিম মানুষদের প্রতি সমাজের বৈষম্যের প্রতি মানবাধিকারের প্রতি বাক স্বাধীনতার প্রতি অর্থনৈতিক অরাজকতার প্রতি কেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কিভাবে এই উঠাক ব্যাঠক রিচুয়াল এই সকল অনাচার নির্যাতন বৈষম্য নিপীড়ন বন্ধ করতে পারে বা আজ অবধি কি বন্ধ হয়েছে 40 নাম্বার পয়েন্ট সালাত যদি রিচুয়াল হয়ে থাকে এবং সময়ের আবর্তনে আমরা দেখছি যে এই রিচুয়ালে মানুষ কি বলে কেন বলে নিজেও বোঝেনা বোঝার চেষ্টাও করে না ধ্যান জ্ঞানহীন উঠাক ব্যাটকের মধ্যে এখন তা পর্যবেশিত হয়েছে তাহলে কিভাবে এরকম ধ্যান
(41:08) জ্ঞানহীন মনোযোগহীন কিছু রিচুয়াল কোরআনের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা নির্দেশ হতে পারে যেখানে কোরআনে বারবার বলা হয়েছে যে তারা কি চিন্তা করে না তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না যারা কুরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা গবেষণা করে না তারা পশু পশুর চেয়েও খারাপ তারা জানোয়ার তারা নরাধম কেন আল্লাহ এই এইভাবে যারা কোরআন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না গবেষণা করে না তাদেরকে জানোয়ারের সাথে তুলনা করেছেন এবং যারা এই কোরআন পড়াশোনা করে চিন্তা ভাবনা করে গবেষণা করে সে অনুযায়ী চলে তাদেরকে সৃষ্টির সেরা বলেছেন কেন কোরআনের অধ্যয়ন কোরআনের গবেষণা কোরআনের আদেশ‑নিষেধ মানার
(41:49) উপর আল্লাহ এত জোর দিয়েছেন কেন আল্লাহ এই রিচুয়ালের উপর এত জোর দেননি কেন যারা রিচুয়াল করে না তাদেরকে পশু বা জানোয়ার বলেননি اللہ

2 thoughts on “আকিমুস সালাত মানে কি ?

  1. সালামুন আলাইকুম,
    সালাত সম্পর্কিত ব্যাখ্যা/যুক্তি খুবই সুন্দর হয়েছে। তবে রিচুয়াল সালাত সমর্থক আয়াতগুলোর ভিন্ন ব্যাখ্যা পেলে আরও সুন্দর হোত, নিশ্চিত হতে পারতাম। দীর্ঘ সময়ের অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন কাজ। তাই চুড়ান্ত যুক্তি চাচ্ছি।

    ১. প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখবে …..৭:২৯ (শুধু সংস্কার নয়, বিভিন্ন ধরনের সালাত রয়েছে; অনুষ্ঠানিক সালাতও এর অন্তর্ভুক্ত)।
    ২. … সালাতের স্বর উচ্চ করোনা ও বেশি ক্ষীণও করোনা …. ১৭:১১০ (সালাতে পড়ার বিষয় রয়েছে, অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকতা আছে)
    ৩. … আমি আমার বংশধরদের কতককে তোমার পবিত্র গৃহের কাছে এক অনুর্বর উপত্যকায় বসবাস করলাম। হে আমার প্রতিপালক! যেন ওরা সালাত কায়েম করে ১৪:৩৭, (আনুষ্ঠানিকতা না থাকলে সালাত কায়েম করতে পবিত্র গৃহের কাছে কেন যেতে হবে? নিজের সংস্কার যেকোন স্থানেই করা সম্ভব )
    ৪. তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষ করে মাঝের সালাত …. ২:২৩৮; (মাঝের সালাত থাকলে এর আগে এবং পরে সালাত আছে; সালাতের সময় নির্ধারিত। অনুষ্ঠানিকতা বিদ্যমান)।
    ৫. …. নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা বিশ্বাসীদের জন্য আবশ্যকর্তব্য ৪:১০৩;(নিশ্চয় সালাতের সময় নির্ধারণ করা আছে। অনুষ্ঠানিকতা বিদ্যমান)।
    ৬. হি বিশ্বাসীগণ ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াও তখন….৫:৬, (সালাতের জন্য দাঁড়াতে হবে, অর্থাৎ সালাতে অনুষ্ঠানিকতা রয়েছে)।

  2. সালাতের তাৎপর্য যেটা ছিলো সেই সময়ে এখন তা বাস্তবে একেবারেই নেই এটা ঠিক। প্রচলিত সালাত নামাজ যাই বলি না কেন এটা বিকৃত হয়েছে। কুরআন ভিত্তিক সংশোধন অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু প্রচলিত সালাতের অস্বীকার করলে সাহাবিদের কুরআন গবেষণার বিষয়টি সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে কেমন ছিল আপনার সেক্স সেন্স কি বলে? তখন ঘরে ঘরে কুরআন ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *