৭০.মাআরিজ- উন্নয়নের সোপান
- প্রশ্নকারী সেই আযাব সম্পর্কে প্রশ্ন করল যা অবশ্যই সংঘটিত হবে।
- কাফিরদের উপর, তা প্রতিরোধ করার কেউ নেই।
- আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি মায়ারিজের অধিকারী। [মায়ারিজ- সিঁড়িসমূহ, সোপান, ধাপ, স্তর]
- ফেরেশতাগণ ও রূহ আল্লাহর পানে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যার পরিমাণ (তোমাদের দুনিয়ার হিসেবে) পঞ্চাশ হাজার বছর। [13:17, 22:47, 32:5, 35:10, 78:38, 97:4]
- সুতরাং ধৈর্য ধারণ কর‑স্নিগ্ধ‑সুন্দর ধৈর্য।
- তাদের দৃষ্টিতে সে জিনিস অনেক অনেক দূরে।
- কিন্তু আমার দৃষ্টিতে তা যে খুবই কাছে।
- সেদিন আসমান হয়ে যাবে গলিত ধাতুর মতাে।
- আর পাহাড়-পর্বতগুলো হবে রঙিন পশমের মত।
- কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু আরেক বন্ধুকে কোনো কথাই যে জিজ্ঞাসা করবে না/খবরও নেবে না।
- (যদিও) তাদের পরস্পর পরস্পরকে দেখানো হবে। (অর্থাৎ সবাই সবাইকে দেখলেও কেউ কারো খোঁজ‑খবর নেবে না।) অপরাধী সেদিন শাস্তি থেকে বাঁচার বিনিময়ে দিতে চাইবে নিজের সন্তান‑সন্ততিকে। [ফিদিয়া- বিনিময়, মুক্তিপণ, ক্ষতিপূরণ]
- আর তার সঙ্গী-সাথী (স্বামী বা স্ত্রী) এবং নিজের ভাই (বোনকে)ও-
- আর পরিবার‑পরিজন‑স্বজন, যাদের সাথে সে বাস করেছে।
- আর দুনিয়া-জাহানের বুকে যত লোক রয়েছে, তাদের বিনিময়ে সে নিজেকে আজাব থেকে মুক্ত করতে চাইবে।
- না, কক্ষনো তা হবে না। নিঃসন্দেহে তা তো এক (ভয়ানক জাহান্নামের) জ্বলন্ত অগ্নিশিখা।
- দেহের চামড়া ঝলসে তুলে ফেলবে।
- (জাহান্নামের আগুনের শিখা) তাদেরকে ডাকতে থাকবে, যে (কুরআনের সত্যকে) এড়িয়ে পিঠ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
- এবং (অর্থ‑সম্পদ) সঞ্চয় করেছিলো অতঃপর তা সযত্নে সংরক্ষণ করে আগলে রেখেছিলো।
- নিঃসন্দেহে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থিরমনা-অধৈর্য করে।
- যখন তাকে দুঃখ‑কষ্ট‑বিপদ স্পর্শ করে তখন সে অত্যন্ত অস্থির‑অতিমাত্রায় উৎকন্ঠিত হয়ে ঘাবড়ে যায়।
- আর যখন তাকে সুখ‑স্বাচ্ছন্দ্য‑কল্যাণ স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিশয় কৃপণ‑হাড় কিপটে।
- তবে (আল্লাহ ও তার কুরআনের সাথে) সংযোগ স্থাপনকারীরা এ রকম নয়।
- যারা তাদের সংযোগে সদা নিষ্ঠাবান‑নিয়মিত।
- যাদের ধন-সম্পদে নির্দিষ্ট হক (ন্যায্য অধিকার) আছে-
- সাহায্যপ্রার্থী ও বঞ্চিতদের জন্য। [ ছাবিল- প্রশ্নকারী, জিজ্ঞাসাকারী, সাহায্যপ্রার্থী]
- যারা (সত্যিকারের) দ্বীন/বিধান (কায়েম) দিবসকে সত্য বলে জানে ও মানে।
- আর যারা তাদের রবের শাস্তি সম্পর্কে ভীত সন্ত্রস্ত‑কম্পিত,
- নিশ্চয়ই তাদের রবের শাস্তি থেকে কেউই নিরাপদ নয়।
- আর যারা তাদের লজ্জাস্থান/গোপন অঙ্গের হিফাযতকারী।
- তবে নিজেদের জোড়া (স্বামী কিংবা স্ত্রী) অর্থ্যাৎ যারা অঙ্গীকারসূত্রে তাদের অধিকারভুক্ত হয়েছে তারা ছাড়া। তাহলে সে ক্ষেত্রে তারা নিন্দনীয় হবে না। [আও- Or=That is=And ; Sabbir Ahmed Translation 23:5–7]
- কিন্তু যে কেউ এর বাইরে অন্য কাউকে খুঁজবে, তারাই সীমালংঘকারী-বিদ্রোহী।
- আর যারা তাদের আমানত ও ওয়াদা রক্ষা করে,
- আর যারা তাদের সাক্ষ্য দানে (ইনসাফের ওপর) সুদৃঢ়-অটল-অবিচল।
- আর নিজেদের সংযোগে হাফেজ। [হাফেজ- যত্নবান, সংরক্ষক, হেফাজতকারী]
- তারাই হবে জান্নাতে সম্মানিত‑মর্যাদাবান।
- কাফেরদের কী হল যে, তারা তোমার দিকে ছুটে আসছে (তোমার কুরআন প্রচার ও পাঠ শুনে তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য)
- ডান দিক আর বাম দিক থেকে দলে দলে,
- তাদের প্রত্যেকেই কি এই আশা করে যে, তাকে নিয়ামাতে-পরিপূর্ণ (মহাসুখের) জান্নাতে দাখিল করা হবে?
- কক্ষনো নয়-তা হবেনা, আমি তাদেরকে যা থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে।
- পূর্ব আর পশ্চিম দিকসমূহের রবের শপথ! আমিই তো মহাশক্তির অধিকারী- সব কিছু করতে সক্ষম।
- তাদের পরিবর্তে তাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানুষ নিয়ে আসতে, আর আমরা তাতে অক্ষম নই।
- কাজেই তাদেরকে অহেতুক যুক্তিতর্ক- বাক‑বিতন্ডা ও খেল তামাশায় মত্ত থাকতে দাও যতক্ষণ না তারা সেদিনের মোকাবেলা করে যে দিনের ও‘য়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে।
- যেদিন তারা আজদা থেকে দ্রুত বের হবে; (মনে হবে) যেন তারা কোন এক লক্ষ্যের দিকে প্রচন্ড বেগে ছুটছে,
- এমন অবস্থায় যে তাদের চোখগুলো নুয়ে থাকবে-দৃষ্টি হবে অবনত, লজ্জা-অপমান‑লাঞ্ছনা তাদের চেহারা ঘিরে রাখবে। এটাই সেই দিন, যার ওয়াদা তাদের সাথে করা হয়েছিলো।
(Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)
(Quran Research intelligence Team ড্রাফট অনুবাদ)